নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশ কয়েদি ও কারাগার সমাচার, আমেরিকা ও বাংলাদেশ নির্বাচন ও গণতন্ত্র সমাচার
সাদেক আহমেদ॥ দৈনিক তৃতীয় মাত্রা নামের পত্রিকার ১৫ নভেম্বর পড়ে দেখলাম যে, আন্তর্জাতিক ডেক্স ও বিবিসি অনলাইন প্রতিবেদন প্রকাশ করে নেদারল্যান্ডের কারাগারের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে যে, কারাগারে ভরে রাখার মতো কয়েদির বড় অভাব। কারাগারটি দেশটির পূর্বাঞ্চলের নরগার হ্যাভেনে। আসলে নেদারল্যান্ডের মানুষ বা পূর্বাঞ্চলের মানুষ বোধ হয় শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে পৃথিবীর বেহেস্ত বা হ্যাভেনে বাস করে। নেদারল্যান্ডে ১৯ টি কারাগার কয়েদির অভাবে বন্ধ। আগামী বছর আরো কিছু বন্ধ হবে। এর প্রেক্ষিতে বলতে হয়, যাহা ভাবছিলাম এই সংবাদের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কারাগারগুলোর অত্যাধিক সীমা মহাসীমা পেরিয়ে মানুষ ধরে এনে কয়েদি বানিয়ে কারাগারগুলো ভরে ফেলা হয়েছে। হায়রে আল্লাহর সৃষ্টির সেরাজীব মানুষ, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের একি হাল হকিকর। কারাগারগুলোতে নাকি সন্ত্রাসীদের ধাপট যারা টাকা খরচে করে সব সুযোগ সুবিধা এমনকি নেশা জাতীয় ঔষধ অনায়াসে পাচ্ছে। বাহিরে যারা সন্ত্রাসে রাজত্ব করেছে যদিও তাদের সংখ্যায় হাতে গোনা তবু নিরীহ কয়েদিদের উপর তাদের প্রভূ সূলভ আচরণ গেলেই ভিতরে টাকা খরচ করে জমিদার স্টাইলে তারা কর্তৃত্ব করে চলে, সবই যে টাকার খেলা। এর সাথে যুক্ত হয় পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্যের ফসল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে বিভিন্ন মামলায় আটকিয়ে কারাগারে ভরা। বাংলাদেশের কারাগারগুলোকে উপছে পড়া কয়েদিদের ভিড় ৩/৪ গুনের বেশি কয়েদিদের অবস্থান। পুলিশের কথা আর কি বলব? রাজনৈতিক বলির পাঠা বানিয়ে তারা কারগারগুলোতে নিক্ষেপ করেছে। যখন নেদারল্যান্ড এর মতো দেশের সংবাদটি কারাগারগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে আমার চোখে পড়লো তখন ভাবলাম আমাদের দেশ থেকে নিরীহ কয়েদিদের জেলে রেখেও আমরা ঠিকমতো আবাসস্থল দিতে পারছি না। তাদেরকে যদি ঐ দিকে স্থানান্তর করা যেত তাহলে মহান আল্লাহর কাছে ওই নিরীহ কয়েদিদের দোয়া নেদারল্যান্ড দেশ বা সরকারের পক্ষে যেত। এছাড়া আমাদের দেশের পুলিশকে যদি নেদারল্যান্ডে ট্রেনিংয়ে পাঠনো যেত, তাহলে নেদারল্যান্ড থেকে কিছুটা হলেও পুলিশ যে জনগণের সেবক তা শিক্ষা লাভ করে এসে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে পারতো। পুলিশি গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কারাগারগুলোকে ভরে ফেলেছে প্রায়, পুরো বাংলাদেশই যেন একটা কারাগার। আবার নেদারল্যান্ডের কারাগারগুলো ভরার জন্য বাংলাদেশ থেকে পুলিশ নিয়ে বেতন না দিয়েও জনগণকে কারাগারগুলো ভরাতে পারতো। নেদারল্যান্ডের পুলিশ বাহিনী নিশ্চয়ই সৎ ও সুনামের অধিকারী। তাই তাদের দেশ থেকে যদি পুলিশ এনে বাংলাদেশের কল্যাণের কাজে লাগানো যেত তাহলে বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয়ই ভালো ব্যবহার পেতো, মিথ্যা মামলায় কারাগারে যেতে হতো না। অনেকে এও মন্তব্য করে যে, বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতা ৩/৪ গুণ বেশি আছে তাদের সমুদ্রের জাহাজে চড়িয়ে নিয়ে যদি নেদারল্যান্ডের কারাগারগুলোতে রাখা যেত তাহলে ঐ কারাগারগুলো বন্ধ হতো না। আমি শুধু একজন জনগণের তৃতীয়পক্ষের হয়ে তৃতীয় মাত্রার নামের পত্রিকায় সংবাদে একটু যোজনা সংযুক্ত করলাম। প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার অধিকার আছে। আমরা আরেকটা সংবাদের দিকে বাংলাদেশের মানুষ এর চোখ নিশ্চয়ই গেছে তাহলো মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সারা বৎসরে মাত্র ১ ডলার বেতন নিবেন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যেখা যাক ইমিগ্রেন্ট দেশ হলো আমেরিকা, বহু জাতির সম্মিলিত গণতান্ত্রিক দেশ আমেরিকা তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়েছে। নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের কল্যাণে, শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার বলয়ে তিনি আমেরিকাকে কিভাবে বিশ্ববাসীর সম্মুখে নতুন ইমেজে আমেরিকাকে তুলে ধরবেন। সে দিকে আমরা চেয়ে থাকলাম। এছাড়া আমার বলার কিছুই নেই। বাংলাদেশ তথা এশিয়ার অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, চীন ও আমেরিকান শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ ভুলে নতুন মেরুকরণে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকৃত জনগণের ও বিশ্ববাসীর কল্যাণে বিশ্ববাসীকে নতুন আমেরিকা উপহার দেন, তাহলে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন থেকে জনএফ কেনেডি, মার্কিন লুথার কিং, আব্রাহাম লিংকন সহ আরো যারা আমেরিকার জন্য কাজ করে গেছেন তাদের সবার আত্মা শান্তি পাবে। আমেরিকার সাথে বিশ্ববাসীর সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ থেকে আমরা জনগণের লক্ষ্য আমেরিকার নির্বাচনের দিকে ছিল, তাই গণতান্ত্রিক ভাবে বাংলাদেশ ও যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বার্থে বাঁচতে তথা সরকার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে তাই হোক ভবিষ্যতের স্বপ্ন। বাংলাদেশ ও আমেরিকার জনগণের কল্যাণ হোক এই দোয়া করি। আল্লাহ হাফেজ।
মন্তব্য করুন