পচিশে মার্চ একাত্তোর, কমলগঞ্জে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন: ইতি কথা: স¥ৃতি কথা

March 22, 2022,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদী আন্দোলনের জনক স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সত্তোর সালের, সাধারন নির্বাচনকে – ছয়দফার – রেফারেন্ডাম হিসাবে ঘোষনাদিয়ে দেশব্যাপী নির্বাচনি জনসংযোগ শুরু করলে বাংলা ও বাঙ্গালির অর্থ নৈতিক মুক্তির সনদ ছয়দফা ও আয়মীলীগের প্রতীক নৌকার পক্ষে জনজোয়ার উঠে। সত্তোরের সাধারন নির্বাচনে বঙ্গবন্ধরুএককনেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করলে ও পাকফৌজি প্রেসিডেন্ট লেঃ জেঃ এ.এম ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করতে থাকেন। একাত্তোরের পহেলা মার্চ এ ক্ষমতালিপ্সু পাক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেসন বাতিল করলে বঙ্গবন্ধু ক্ষোভ প্রকাশ করতঃ প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদী কর্মসূচী ঘোষনা করেন। উত্তাল হয়ে উঠে মার্চ মাস।
একাত্তোরে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে মাষ্টার্স ফাইন্যাল এর ছাত্র ছিলাম। ষাটের দশকের শুরুতে ছাত্র লীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে দায়িত্ব ও নেতৃত্বে ছিলাম। প্রথমে মোলভীবাজার মহা বিদ্যালয় শাখা অতঃপর মহকুমা শাখা ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলাম।তখন দেশব্যপী ছাত্র লীগ একটি শক্তি শালী সুসংগঠিত ও ছাত্র প্রিয় ছাত্র সংগঠন। ঢাকায় অবস্থান কালে মহসিন হলের আবাসিক ছাত্র হিসাবে মিটিং মিছিলে অংশ নিতাম। সামরীক সরকার সন্ধ্যা হলেই সান্ধ্য আইন জারী করতেন।কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাবেক সম্পাদক স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্টার গোপন সংঘটন নিউক্লিয়াসের জনক তাত্বিক সিরাজুল আলম খান এর পরিকল্পনা ও নির্দেশে আমরা বাদ সন্ধ্যা-সান্ধ্য আইন বিরোধী মিছিল বের করতাম আওয়াজ তুলতাম ইয়াহির ঘোষনা মানিনা মানব না, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা,মেঘনা,যমুনা, স্বাধীন কর-স্বাধীন কর বাংলাদেশ স্বাধীন কর ইত্যাদি। তৎকালীনইকবালহলের ১৬১ নম্বার কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেনকেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সমাজ সেবা সম্পাদক অগ্রজ প্রতিম গিয়াস উদ্দিন মনির ভাই। এই হলছিল ছাত্র লীগ ও ছাত্র রাজনীতির প্রান কেন্দ্র। সিরাজুল আলম খান আশম রব, শাহজাহান সিরাজ প্রমুখ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে এখানে পাওয়াযেত। এরা আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। সন্ধ্যা হলেই ইকবাল হলে চলেযেতাম। কর্মসূচীতে অংশ নেতাম। ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন স্বাধীন বাংলাছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর চার নেতা ডাকসুর ভিপি আশমরব, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী এবং ডকসুর জিএস আব্দুল কদ্দুস মাখন বঙ্গবন্ধুর চার খলিফা হিসাবে সুপরিচিত এবং দেশব্যপী জনপ্রিয় ও বিশ্বস্থ ছাত্র নেতা ছিলেন। দোছরা মার্চ কলাভবন প্রাঙ্গণে আশম রব স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। তেছরা মার্চ পলটন ময়দানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর সভ্পাতিত্বে বিশাল ছাত্র জনসভায় শাহজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইসতেহার পাঠ করেন। আমার ছাত্র রাজতৈক জীবনের সৌভাগ্য ঢাকাবিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে দুটি কর্মসুচীতেই আমি অংশ গ্রহন করে ছিলাম। সাতই মার্চরেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার জীবনের শ্রেষ্টতম ঐতিহাসিক ভাষনাটি প্রদান করেন। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববৃন্দ, বিশেষত সিরাজ ভাইর পরামর্শ মোতাবেক নির্দেশনা এবং পোষ্টার লিপলেট সহ এলাকায় চলে আসি। মৌলভীবাজারে আমার পর বর্ত্তী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ছিলেন সুদর্শন ও সুবক্তা দেওয়ান আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরী এবং সেক্রেটারী ছিলেন দক্ষ সংঘটক নুরুল ইসলাম মুকিত। দু জনেই আমার বয়োঃ কনিষ্ট এবং আমার সঙ্গে সু-সম্পর্ক যুক্ত ফলতঃ আমরা এক সঙ্গে মিটিং মিছিল আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে থাকি। ছয়টি থানার সমন্বয়ে মৌলভীবাজার মহকুমা। আমাদের সবটি থানায়ই ছাত্রলীগের শক্তিশালী কমিটিসাংগটনিক কার্যক্রম আছে। তেইশে মার্চ একাত্তোর পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবস-প্রতিবাদ দিবস-প্রটেষ্টডে হিসাবে ঘোষনা দিলেন স্বাধীন বাংলাছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা প্রতিরোধ দিবস পালন করি। তেইশে মার্চ বিকালে চৌমুহনাচত্বরে ছাত্র লীগের সভাপতি বিপ্লবী ছাত্রনেতা দেওয়ান আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরীর সভাপতিত্বে মহকুমা ছাত্র লীগের সম্পাদক অকাল প্রয়াত নুরুল ইসলাম মুকিতের পরিচালনায় অনুষ্টিত বিশালছাত্র গনজ মায়েতে গগন বিদারী জয় বাংলা শ্লোগানের মাধ্যমে আমি সভার প্রধান অতিথি হিসাবে সভপতি সম্পাদককে নিয়ে পাকিস্তানের চানতারা খচিত পতাকা পুড়িয়ে লাল সবুজের স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করি, পাকিস্তানীজাতির জনক মিঃ জিন্নাহর ছবি পুড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি উত্তোলন করি। এই পুড়ানো উড়ানোর ছবি উঠিয়ে ছিলেন চৌমুহনাস্থ মুক্তাষ্টুডিও। যে ছবি নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথমভাগে খান সেনারা-গুন্ডা মুজিব কাহ্যা উসকা পাতা বাতাও বলে শহরে অনেককে ঝুলুম নির্যাতন করেছে। তেইশে মার্চের সকলকর্ম সূচী শেষে আমরা আনন্দ মিছিল-উল্লাস প্রকাশ করে শহর প্রদক্ষিন করি। চব্বিশে মার্চ একাত্তোর আমাদের পার্শ্ববর্ত্তী থানা কমলগঞ্জ থেকে সংবাদ আসে, মুসলিম লীগ অধ্যুসিত কমলগঞ্জ এলাকায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন হয়নি, তেইশে মার্চের কর্মসূচীও পালন করা যায়নি। ছাত্রলীগ সভাপতি সম্পাদক আমরা আলোচনা ক্রমে তারিখ দিলাম, পরদিন পচিশেমার্চেই স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন এবং সভাআহ্বান ও কর্মসূচীর তারিখ দিলাম। সীমান্ত বর্ত্তী থানা কমলগঞ্জ রাজনৈতিক গত ভাবে একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। স্বাধীনতা যুদ্ধে কমলগঞ্জের গৌরবোজ্জল ভূমিকারয়েছে। ভাষাসৈনিক-স্বাধীনতার সংঘটক প্রবীন আওয়ামীলীগনেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস কমলগঞ্জেরই সু-সন্তান। তিনি সপরিবারে বসবাস করেন শ্রীমঙ্গল পৌর এলাকায়। সেসময় কমলগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ছিলেন ডা. চেরাগ উদ্দিন আহমদ মরহুম, সেক্রেটারী ছিলেন নেতা গফুর হিসাবে সু-পরিচিত ত্যাগী নেতা মরহুম আব্দুল গফুর। থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন অধুনা ঢাকা প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবী খালিকুর রহমান। সম্পাদক ছিলেন মবশ্বির আলী। সংঘটক ছিলেন সিদ্দিক আলী, রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।সেই সময়কার ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে পরবর্ত্তী কালে রাজনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুশ শহীদ এবং কেন্দ্রীয় অওয়ামীলীগ এর সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমান উপজেলাচেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান প্রমুখ।
পচিশে মার্চ একাত্তোর।মহকুমা সদরে টান টান উত্তেজনা। জাতীয় পর্য্যায়ে মুজিব ইয়াহিয়া আলোচনার কোন সুফল নেই। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের মাথায় অনেক গৌরবোজ্জল স্মৃতি গৌরব গাঁথা স্মৃতির গভীরে হারিয়ে যাওয়ার পথে। আমাদের কমলগঞ্জ গমন, সভানুষ্টানে অংশগ্রহন স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন প্রসঙ্গেঁ আলোচনা ও স্মৃতি চারন মত বিনিময় করি মহকুমা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরীর সঙ্গেঁ। আমাদের অনেক সহযোগি আর আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই। পাক আমলে মহকুমা ছাত্রলীগ এবং স্বাধীন বাংলাদেশ আমলে জেলা আওয়ামী লীগের এর সেক্রেটারি আব্দুল অদুদ, মহকুমা ছাত্র লীগের সাবেক সম্পাদক নুরুল ইসলাম মুকিত, থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহীনির প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধাসাবেক উপজেলা চেয়রম্যান আব্দুল মছব্বির বর্তমানে পরলোকে। এরা খুবই সাহসী এবং আমাদের কমলগঞ্জ অভিযানের সহযাত্রী ছিলেন। কমলগঞ্জ থানা এলাকায় সেসময় মুসলিম লীগ নেতা কেরামত আলী সাহেব এবং তার পরিবার বর্গের প্রভাব প্রতি প্রত্তি জনবল ধনবল ছিল। কমলগঞ্জ মিটিংয়ে যেতে আমাদের অনেকের দ্বিধা দ্ধন্ধ থাকলে ও আমার একান্ত স্নেহ ভাজন ও প্রিয়জন আব্দুল মছব্বির এশ্বাদ মিয়া খুবই দঃসাহসী ছিল। আমার বাবরি চুল বিশাল গোঁফ আর দীর্ঘ দেহী, ছ ফুটি ফিগারে শক্তি না থাকলে সাহসছিল কোন দিনই ভয় পাই নি। কাজই যেভাবে হইক, যে করেই হউক আমরা কমলগঞ্জ যাবই মিটিং করবই পতাকা উড়াবই এর কোন বিকল্প নেই। তখন এখনকার মত এত যাবাহন ছিল না, আমাদের কারোই ব্যক্তিগত যান বাহন ছিল না একটি পুরাতন জীপ ভাড়া করে চলচল কমলগঞ্জ চল আওয়াজ তুলে কমলগঞ্জ থানাধীন ভানু গাছ গেলাম। সেখানে সাবরেজিষ্টারী মাঠে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ছাত্র জনসভা এবং স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাত্র জনতার উপস্থিতিও প্রচুর শ্লোগানের ও কমতি নেই। থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছাত্রনেতা খালিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং থানা ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ছাত্রনেতা মবশ্বির আলীর পরিচালনায় সেই বিশাল ছাত্র জন সভায় আমি মহকুমা ছাত্র লীগের সভাপতি দেওয়ান আব্দুল ওয়াহাবকে নিয়ে গগন বিদারী জয়বাংলা-শ্লোগানের মাধ্যমে লাল সবুজের স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করি। তেইশে মার্চ বাংলাদেশে সেনানিবাস সমূহ ছাড়া সর্বত্র স্বাধীন বাংলার পতাকা পত পত করে উড়ছিল-আমাদের যে অপূর্ণতা ছিল তা পুষিয়ে দিলাম। সেই সভায় আমি ও দেওয়ান আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরী আবেগময় ও জ্বালাময়ী ভাষন দেই, ঘোষনা করি জান যাবে তবুএই পতাকার অপমান হবে না হতে দেব না, দেব না। আমাদের প্রতিপক্ষকে রাজনীতিগত ভাবে আমাদের মোকাবেলা করার আহ্বান জানালাম।
ভানু গাছে সেই ছাত্র সভাটি ছিল পাক আমলে আমাদের জীবনের শেষ জনসভা। আর এই দিনই ছিল পাকিস্তানী জীবনের শেষ দিন- ঐ দিন রাতেই পকিস্তান নামক রাষ্ট্রের মৃত্যো হয় দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার মান চিত্রে গুনগত মৌলিক পরিবর্তন আসে। পৃথিবীর বুকে জন্মনেয় একটি নতুন রাষ্ট্রবাংলাদেশ।
কমলগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ এর সেক্রেটারি, জেলা আওয়ামীলীগ এর বিশিষ্ট নেতা, জেলা আইন জীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ.এস.এম আজাদুর রহমান একজন নির্ভীক মুজিব সৈনিক। আমার কাছে সবিনয় দাবী জানালেন পচিশে মার্চের পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত জনসভা নিয়ে একটি স্মৃতিচারন মূলক স্মৃতি কথা লিখতে। তার জেষ্ট্য ভ্রাতা মরহুম এ.এস.পি, এ.এস.এম আতাউর রহমানজলি আমার সহপাঠি, প্রিয় বন্ধু এবং ছাত্রলীগ সংঘটক ছিলেন। অনুজের অনুরোধেরপ্রেক্ষিতে আমার এই প্রয়াস। আসির কোটায় এসে ও ইনশাল্লা এখনও আমার স্মৃতি শক্তি খুবই প্রখর। এখানে তথ্য গত কমতি থাকতে পারে কিন্তু কোন ভ্রান্তি-বিভ্রান্তিনেই। তথ্য সংগ্রহে আমাকে সহায়তা করেছেন আমার কনিষ্ট কলিগ বিশিষ্ট আইন জীবী এডভোকেট হাবিবুর রহমান মুকুল এবং কমলগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া সংঘটক আলহাজ মিছবাহুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ এরচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড মারফত প্রশংসা প্রাপ্ত হচ্ছেন। কুলাউড়া উপজেলা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষন সংক্রান্ত একটি উন্নয়নকর্ম কান্ড মারফত মুক্তিযোদ্ধা জনতার প্রশংসা প্রাপ্ত হয়েছেন এই মুজিব সৈনিক। আমি তাকে জেলা পরিষদের উদ্যোগে ভানু গাছে একটি স্মারক স্থম্ভ একটি মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মিনি পাঠাগার নির্মানের প্রস্তাব দিলে জেলাপরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান নীতি গত ভাবে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
কমলগঞ্জের আদি অধিবাসি এডভোকেট এ,এস,এম আজাদুর রহমান যদি এই জাতীয় উদ্যোগ নেন তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে ইনশাল্লা।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অঙ্গিকার ঘরে ঘরে পাঠাগার, এ বার পচিশে মার্চে এই হউক আমাদের সকলের অঙ্গিকার।
[ ষাটের দশকের ছাত্রনেতা। মুক্তিযোদ্ধা। এডভোকেট হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com