পরবাসে হা-হুতাশের দেশে দেশে
মুনজের আহমদ চৌধুরী॥ পরবাস অর হা-হুতাশ সমান্তরালে বোধকরি বয় নির:বধি। বিলেত-আমেরিকা পাউন্ড ডলার আর ঘুমহীন চোখে সপ্ন গড়ার দেশ। অবশ্য কারো কারো কাছে সপ্নভঙ্গেরও দেশ। বিশেষ করে,আমাদের দেশে থাকা স্বজনদের কাছে দুরপ্রাচ্য বা মধ্যপ্রাচ্যের ফটোজেনিক মেকি চাকচিক্য কেবলই তাড়া করে ফেরে। ফেসবুক আর সব সামাজিক মাধ্যমে, আমরা প্রবাসীরা ভালো পিক্সেলের সেলফোন আর ক্যামেরায় তোলা, ফটোশপে সৃজিত ফটো আপলোড দিই। সেসব ঝকঝকে ছবি পরবাসের জীবন- জীবিকার যাপিত যন্ত্রনা,বেদনা আর যাতনার ছাপকে আড়াল করে,আমরা আড়াল করি। আর ঝকমকে বর্নিল সেসব ছবি দেখে আমাদের সময়ের তরুনদের মত সব সময়ের তারুন্য বিপুল উৎসাহে উৎসুক হন দেশ ত্যাগে, পাড়ি দিতে পরবাসে।
নদীর ঐ পারের সুখের প্রবাদময়তা এখানে প্রাসঙ্গিকতার বিচারে পায় প্রাঙ্জলতা। এজন্যই আমি প্রায়ই বলি, ছবি সব সময় সত্য কথা বলে না। ছবি আসলে বাস্তবতার সৎ প্রতিবিম্ব নয় যন্ত্রবাজির এ কৌশলী সময়ে। হাসিমুখ যেমনি আনন্দের নিক্তি নয় কখনোই।ফ্রিজারে শাক-সবজি রাখলে বাইরে থেকে তরতাজা দেখালেও, খাবারের আগের সেই তাজা স্বাদ থাকে না। বিলেত,ইউরোপ বা আমেরিকায়, শীতপ্রধান দেশে আমরা যারা থাকি, তারা আসলে অনেকটা যেন রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজের মধ্যে থাকি। পরবাসের হাড়ভাঙ্গা দুপায়ে দাড়ানো শ্রম আর ঘামটা দেখা যায় না। আড়ালে থেকে যায় পরবাসীর বেদনা আর অসুস্থতা,বঞ্চনার খেরোখাতা। দুর খেকে দেখা যায় কেবল সুখের কৃত্রিমতা। মধ্যপ্রাচ্যে আবহাওয়ার তারতম্য থাকলেও প্রবাসীদের বাস্তবতা একই।
২.
আমরা প্রবাসীরা দেশে গেলে বেশিরভাগই আড়ম্বড়ে চলি। দামী পারফিউম,সবচেয়ে ভালো ব্রান্ডের জামা জুতো,এসি, নতুন মডেলের গাড়ীর বাহুল্য দেখাই। এখানে যেমন; তেমন দেশে গেলে লোক দেখানো ষ্টাটাসের ব্যাপারে বড্ড সচেতন অনেকে আমরা। সবার কথা বলছি না প্রিয় পাঠক। ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছেন। কিন্তু ব্যাতিক্রম তো আর যাপিত বাস্তবতা অতিক্রম করতে পারে না। আমরা নিজেদের শো-অফ আর বিত্তের বৈভবে দেশে থাকা স্বজনদের চেয়ে আলাদা হতে চাই । কোন কাজই ছোট নয়। কিন্তু, অনেকে রেষ্টুরেন্টে বা চেইন শপে কাজ করেন। দেশে গিয়ে গল্প করেন প্রবাসের মেইনষ্ট্রিমে কাজ করার। দেশে থাকা সহপাঠি বা স্বজন: যারা হয়তো ছিল প্রবাসী জনটির চেয়ে অপেক্ষাকৃত মেধাবী আর উচ্চশিক্ষিত, তিনি তখন ভাবতে থাকেন, আহা আমার চেয়ে কত কম যোগ্যতা নিয়ে প্রবাসী জনটি মুলধারায় বড় চাকুরী করছে। নিজের গাড়ী বাড়ি করেছে। তাঁেদর ভেতরে এভাবেই আমরা ছড়িয়ে দিই হতাশা। লন্ডনের কাউন্সিলের সরকারী ঘরে বাস করে অনেকে আমরা দেশে গিয়ে গল্প করি; ঘরবাড়ী সব এখানে নিজের। ক্যাব চালানোর জন্য ফাইনান্সের লোনের গাড়ি কিনি। আর দেশে গিয়ে গল্প করি আমার তো ২০১৫ মডেলের নিচের গাড়ী ছাড়া চলে না। অথচ দেশে থাকা ভাই বা বন্ধুটির জানা হয় না, পুরনো মডেলের গাড়ি দিয়ে এসব দেশে ক্যাব ড্রাইভারী করা যায় না আইনের বাধ্যবাধকতায়।
আমাদের এসব চাকচিক্য আর বাগাড়ম্বড়ের বাহারে দেশে থাকা ছোট ভাই আর বন্ধুটি প্রবাসের প্রতি প্রবলভাবে উৎসাহী হয়। একই সাথে তারা ভাবতে থাকেন,দেশে থেকে আসলে কিচ্ছু করার নেই। দেশের প্রতি,নিজের জীবনের প্রতি শুধু তাদের হতাশা বাড়ে। অনেকে সারাবছর বিদেশে হিসেব কষে চলে দেশে যাবার জন্য সঞ্চয় করেন। দেশে গিয়ে সেই সঞ্চিত অর্থই বেহিসেবে খরচ করেন। অনেকে দেশে যান লোন নিয়ে, ক্রেডিট কার্ডের চক্রবৃদ্ধি সুদে। অবশ্য প্রবাসীদেরও দোষ দেয়া এক অর্থে ভ্রান্তি। এতো গল্পের নদীর নদীর একপারের গল্প। তারা দেশে ছুটি কাটাতে যান, হলিডেতে। কয়েক দিনের ছুটি কাটাতে গেলে সবাই তো তার সাধ্য আর ক্ষমতার সবটুকু দিয়েই ভালো থাকতে চান।
আর বিশেষ করে আমাদের সিলেট অঞ্চলে প্রবাসীদের কাছে স্বজনরা অনেক কিছু প্রত্যাশাও করেন। সে প্রত্যাশার রঙ্গিন পরবাসের সপ্নের ঘোরজাল সৃষ্টি করেছি আমরা প্রবাসীরা,আমাদের আগের প্রজন্মের পরবাসীরা।
আমেরিকা লন্ডনে হাসপাতাল নয়তো কোন সদর দরোজার ফুলটাইম কর্মী; যার এখানকার রাজনীতি বা সমাজের সাথে সেভাবে সম্পর্কই নেই। দেশে গিয়ে তিনিই নেতা আর নেতৃত্বের গল্প শোনান। জালিয়াতি আর প্রতারনার দায়ে জেল খাটা আসামীরা দেশে গিয়ে সমাজসেবক, কমিউনিটি নেতা সেজে নিজের খরচে সংবর্ধনা নেন। এয়ারপোর্টে নিজের টাকায় লোক ভাড়া করে এনে অভ্যর্থনা কেনেন। সন্মান, আর ইজ্জতবাজির কি বিচিত্রতা !
নির্বাচনের মাঠে প্রবাসীরা প্রার্থী হন, টাকার তুবড়ি ছোটান। টাকার কাছে পরাজিত হয় যোগ্যতার আপেক্ষিকতা। প্রবাসী প্রার্থীর পক্ষে, তার টাকার তোড়ে কিছু মানুষ মাঠে নামেন। আমাদের দেশের বাস্তবতার ব্যাতয়ে প্রতিপক্ষের বিরোধী হন, মামলা-হামলায় জড়ান। আর তার সমর্থিত প্রার্থী পরাজিত হলে চুপচাপ ফিরে আসেন প্রবাসে। খোজঁ রাখেন না হামলা আর মামলার শিকার সেই কর্মীর।
দান-দক্ষিনায় সাধ্য ছাড়িয়ে আমরা অনেক প্রবাসীরা নিজেদের জাহির করার, মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের সর্বাত্বক চেষ্টা করি। পাউন্ড ডলারে প্রচার কিনি। অনেকের ফেসবুকে,মিডিয়ায় গুনকীর্তন লেখার জন্য নিয়োজিত লোকজনও আছেন। যদিও দেশী টাউটরা আড়ালে আবডালে ‘বিদেশী মোরগা ‘ বলেই ডাকেন। তারা থাকে ‘মোরগা ধরে’ ‘মাল’ কামানোর ধান্ধায়।
এসবের মাধ্যমে হয়তো আমরা অনেকে নিজেদের হতাশা আর বেদনার দহন লুকোতে চাই। কিন্তু, আমরা প্রবাসীরা নিজেদের গোচরে-অগোচরে প্রবাস দিয়ে জন্ম দিই ভুল ধারনার। ছড়িয়ে বেড়াই ভ্রান্ত সপ্ন। কলেজের গন্ডি না পেরুনো চাচার দেশে কদিনের জন্যে ঘুরতে গিয়ে জাকজমকের বাহুল্য দেখে স্কুলপড়–য়া ভাতিজাটি ভাবতে থাকে, লেখাপড়া করে কি হবে? চাচাও তো লেখাপড়া করেন নি। অথচ কত প্রতিষ্টা পেয়েছেন জীবনে! অতত্রব, সোনার হরিন ধরতে হলে যেতেই হবে বিদেশে।
৩.
এখন ইউরোপের দেশে দেশে বাংলাদেশ থেকে আসা এটেনশন আর এসাইলাম সিকারদের চোখে পড়বার মতোন প্রবল উপস্থিতি। নানা চিত্রে বিচিত্র তাদের কর্মকান্ড। বাংলাদেশে যিনি কম্পিউটারে টাইপ করা জানতেন না, তিনিও এদেশে রাজনৈতিক অথবা সামাজিক আশ্রয়ের আশায় ব্লগার সেজে যান। এসাইলামের কেস শক্ত করতে অনেকে সেজে যান সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী। বিদেশে নিজের নাগরিকত্বের মামলার শক্ত গ্রাউন্ড সাজাতে চালান বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারনা। বাংলাদেশে গেলে মারা পড়বেন, প্রানভয়, প্রাননাশের সমূহ শংকা, আর দেশে জঙ্গীবাদের গল্প সাজান ফেসবুকের মিথ্যাবাদী রাখালেরা। চেতনা ব্যাবসায়ী ব্লগার নামধারীরাও কম যান না। বিপ্লবের গল্পের ফাঁদ পেতে, সুবিধার দামে চেতনা বেচেঁ, দেশকে ছোট করে, রাষ্ট্রবিরোধী জাল ডকুমেন্ট আদালতে দেখিয়ে,কৌশল আর কুটনামীর বিনিময়ে অনেকে কেনেন নাগরিকত্ব। দেশে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন বলে জামায়াত-শিবিরের কর্মী সেজে এসাইলামের ভূয়া কাগজ বানান অনেকে। অথচ সেই ব্যাক্তিটিই আসলে দেশে থাকতে আওয়ামী রাজনীতি করতেন। অত:পর, থিতু হবার সুযোগ পেলে সুস্থরাও অসুস্থ আর কাজ করার ক্ষমতাহীন সেজে সরকারী অনুদানের ‘বেটিফিট‘ খান। আর সেই মিছে অসুস্থতায় প্রাপ্ত বেনিফিটের টাকায় অনেকের দিন কাটে আয়েশে। তখন বেকার মস্তিস্কে সাজান দেশের প্রতি মমতা আর দায়বদ্ধতার ছিচকাদুনে আবেগী গল্প। বিলেতে,মধ্যপ্রাচ্যে নয়তো আমেরিকায় বাংলাদেশী রাজনীতির কোন্দল বয়ে বেড়ান। জড়ান নিজেদের মধ্যে মারামারিতে। মসজিদের কমিটিতে নেতাগিরি নিয়ে রক্তাক্ত সংঘাতে জড়াই আমরা। প্রবাসের বুকে স্বদেশীরা হই বিভাজিত। প্রধানমন্ত্রী আর বিরোধীদলীয় নেতারা বিদেশে আসলে আমরা জুতো আর ডিম ছুড়িঁ। সেই জুতোঁ ছোড়ার ক্রেডিট নিয়ে রাজনৈতিক দলের বিদেশের কমিটিতে পদ বাগাই। নেতার সাথে তোলা ছবি স্যুটের পকেটে করে বয়ে বেড়াই। দেশে গেলে পরিচিতজনদের দেখিয়ে কৃতিত্বের অপার আনন্দ পাই।
প্রবাসে জন্ম নেয়া আমাদের প্রজন্মের বাংলাদেশ নিয়ে যে নেতিবাচক ধারনা,তারও নেপথ্যে কিন্তু আমরাই। বেশি আরও বেশি টাকা তুলতে ভয়াবহ আবেগের বালখিল্যতা দেখাতে অশ্রুসজল,ভয়ার্ত ফুটেজের চ্যারিটিবাজি,দেশ নিয়ে নেতিবাচক বাগাড়ম্বড়। এসব ছোটবেলা থেকে তাদের মধ্যে এক ধরনের বাংলাদেশ ভীতির সৃষ্টি করে চলছে। বাংলাদেশ এসব কারনে নতুন জেনারেশনের কাছে থেকে যাচ্ছে শুধু মা-বাবার দেশ! হলিডে কাটানোর নিচের সারিতে তাদের কাছে রয়ে যায় নিজ দেশের নাম। অথচ, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ধারায় প্রবাসের দেশে দেশে আপন আলোয় প্রস্ফুটিত তারুন্যকে সম্পৃক্ত করা যেত সহজেই। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় উপকৃত হতো বাংলাদেশ।
৪.
এইসব হতাশা,বেদনা আর লজ্জার গল্পের উল্টোপিঠে আশাজাগানিয়া আর পরম সম্ভাবনার সাফল্যগাথাও আছে। প্রবাসের দেশে দেশে আমাদের নতুন প্রজন্ম লেখাপড়া,চাকুরি আর উদ্ভাবনায় আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছেন। এ আমাদের গর্বের অর্জন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ, রিজার্ভ, শিল্পায়ন সহ প্রায় সব সেক্টরেই প্রবাসীদের অবদান অপরীসীম। আমাদের প্রবাসীদের এ ঘুমহীন সপ্নের দেশে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে আর ঘামে ভালো থাকেন আমাদের দেশে থাকা স্বজনেরা। আমাদের সিলেট অঞ্চলের গল্প আরও খানিকটা ভিন্ন। সেখানে অনেক পরিবারের দুজন প্রবাসী থাকলে পরিবারের বাকী উপার্জন সক্ষমেরা এখনো বেকার থাকেন। নানা ছল-ছুতোয় মাস শেষে কেবল তাগদা আসে ফোনে বাড়তি,আরও বাড়তি টাকার। তারুন্য হারায়, প্রৌড় বেলাতেও তবু স্বজনদের চাহিদার শেষ হয় না।
অনেকের বেলায়,ফোনে স্বজনেরাও প্রবাসীটি সুস্থ আছেন কি-না সেটিও অনেক সময় জানবার সময় পান না চাহিদা আর প্রাপ্তির ফর্দ জানাতে গিয়ে। মধ্যপ্রাচ্য আর বিলেত আমেরিকার অনেক অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট প্রবাসী ২৫-৩০ বছরেও ধরতে পারেন না সোনার হরিন সিটিজেশীপ,নয়তো বসবাসের বৈধতা। তাই ফেরা হয় না দেশে। ১৮ বছর বয়সে লন্ডন এসেছিলেন,এখন বয়স ৫৪। এখনো মেলেনি বসবাসের বৈধতা। তাই ফেরা হয়নি দেশে। মা-বাবা মারা গেছেন। ছোট ভাইও তার মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। তবু তার এখনো সংসার হয়নি। এতজীবনের সব রোজগারে দেশে বাড়ী ঘর করেছেন। পরিবারের চাহিদা মিটিয়েছেন। তবু হায় চাহিদার তো শেষ হয় না স্বজনদের। তাই আর হয়ে উঠে না সঞ্চয়। এমন বহু প্রিয় মুখের জীবন যাতনার গল্প শুনতে শুনতে কখন যে নিজের চোখও অশ্রুসজল হয়ে উঠে টের পাই না। অনেকে দেশে সম্পদ করেছেন,সারাজীবনের সঞ্চয় বিনিয়োগ করেছেন দেশে। এখন তা পাওয়ার পার্টির ক্ষমতাবানরা দখল করে নিয়েছে। চাদাঁ চায়। মামলায় দেশে ফিরতে পারছেন না প্রবাসী বয়োবৃদ্ধ বিনিয়োগকারীটি নিজেই। বিলেতের বাংলা পত্রিকায় ও পরে একটি টিভি চ্যানেলে প্রবাসী জীবনের প্রথম সপ্তাহ থেকে দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে এমন সব বিচিত্র বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয় প্রায়ই। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়,প্রবাসী বড় ভাইয়ের সব সম্পদ দখল করে নিয়েছেন আপন ছোট ভাই। পাওয়ার অব এটর্নী জাল,জাল দলিল কত জালিয়াতি কুড়ে খাচ্ছে প্রবাসীর সম্পদ।
ভিন্ন নামে অন্য মানুষের পাসপোর্ট আর পরিচয় নিয়ে অনেকে পরিচয়বিহীন ভাবে মারা গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে। লাশটিও দেশের মাটি ছুতেঁ পারে না শেষবধি। দেখা হয় না,প্রবাসী হবার পর জন্ম নেয়া একমাত্র সন্তানটির মুখ।
তবু জীবন আর জীবিকায় তাড়ানো জীবনে আকাশের ঠিকানায় অনিশ্চয়তার ডানায় পা রাখি আমরা। এখন বাংলাদেশ সরকার দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন করে একেবারেই সেই অনিশ্চয়তার ঘরহীন আর দেশহীনতার পথে ঠেলে দিতে চাইছেন পরবাসীদের। আমার বহুদিন আগে প্রবাসীদের নিয়ে প্রকাশিত একটি লেখার শিরোনাম ছিলো ‘প্রবাসীদের কোন দেশ নেই‘।
মুনজের আহমদ চৌধুরী,যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক,সংবাদ বিশ্লেষক।
মন্তব্য করুন