পরিবহন ধর্মঘটে অচল বড়লেখা সড়ক অবরোধ, টায়ারে অগ্নিসংযোগ
আব্দুর রব॥ পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে শনিবার অচল হয়ে পড়ে বড়লেখার সদর রাস্তা থেকে শুরু করে গ্রামীণ প্রত্যন্ত রাস্তা পর্যন্ত।
৬ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলে পরিবহন শ্রমিকসহ ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ওপর বিজিবি’র বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিক নেতারা জেলার প্রত্যেকটি রোডে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিলে যানবাহনে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
সরেজমিনে বড়লেখা উপজেলার সিঅ্যান্ডবি সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে শ্রমিকরা ব্যারিকেট দিয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে। অনেক স্থানে টায়ার পুড়িয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। সকাল ৮টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনী, উত্তরবাজার, মধ্যবাজার, দক্ষিণবাজার, পাখিয়ালা চৌমুহনী, উপজেলার কাঁঠালতলী, রতুলীবাজার, দক্ষিণভাগ, সুজানগর, দাসেরবাজার, চান্দগ্রামবাজারে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ও টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায়। বিকেল চারটায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের অবরোধ অব্যাহত থাকে। তবে অবরোধ চলাকালে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। মৌলভীবাজার থেকে বড়লেখা-সিলেটের আঞ্চলিক মহাসড়কে লোকাল কিংবা দুরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করতে দেয়নি ধর্মঘট সমর্থনকারী শ্রমিকরা।
পরিবহন ধর্মঘটে চাকুরীজীবি ও পর্যটকরা মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে পিকনিকে আসা লোকজন বিভিন্ন পয়েন্টে আটকা পড়েন। বিশেষ করে নারী ও শিশু পর্যটকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
বেলা আড়াইটায় জুড়ী নাইট চৌমোহনা পয়েন্টে ও বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারে জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ শাহাব উদ্দিন এমপি ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফেরার পথে আটকা পড়েন। পরিবহন শ্রমিকরা হুইপের গাড়ীসহ তাকে প্রায় আধঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের অনুরোধে শ্রমিকরা ব্যারিকেট শিথিল করেন।
বড়লেখা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আ’লীগ নেতা মোহাম্মদ তাজউদ্দিন জানান, পরিবহন শ্রমিকরা জাতীয় সংদসের হুইপ শাহাব উদ্দিনের সম্মানে ব্যারিকেট শিথিল করে তাকে পাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন