পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাতিল হলেও চলছে ইট পোড়ানো ব্রিক ফিল্ডে

কুলাউড়া প্রতিনিধি: কুলাউড়া উপজেলায় মেসার্স আরব ব্রিকস নামক একটি ইট ভাটার পরি্েশগত ছাড়পত্র বাতিল করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সেই সাথে জেলা প্রশাসককে ইট পোড়ানো লাইসেন্স বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়। এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাতিলের পর আরও জোরেশোরে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। স্থানীয় লোকজন প্রশাসনের নিকট এব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পরিবেশ ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স নিয়ে ২০২০ সালে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা মো: আমির আলী রামপাশা গ্রামে মেসার্স আরব ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা চালু করেন। ইটভাটার মালিক আমির আলী তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফি আহমেদ সলমানের ঘনিষ্টজন হওয়ায় পরিবেশ আইন অমান্য করে এবং তৎকালীন জেলা প্রশাসককে ম্যানেজ করে লাইসেন্স নিয়ে এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে ইট ভাটাটি চালু করেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে এলাকাবাসী জানান, ইট ভাটাটি চালু করার পর মালিক মো. আমির আলী এলাকায় এক মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দেখা দেন। ইট ভাটা এলাকায় অনেক মানুষের জমি জোরপূর্বক দখলে নেন। আবার অনেক অসহায় মানুষের জমির মাটি খনন করে পুকুরে রূপান্তরিত করেছেন। আশপাশ এলাকার শত শত একর জমির মাটি নিয়ে গোটা এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট করেছেন। শুধু তাই নয় জমিরও শ্রেণি পরিবর্তণ করেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: সাঈদুল ইসলামের গত ১৩ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত (স্বারক নং- ২২.০২.৫৮০০.৩৩৬.৭১.১২৯.১৮.৫৬) এক চিঠিতে ইট ভাটাটির অবস্থান নিষিদ্ধ এলাকায় হওয়ায় আরব ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আমির আলীকে ছাড়পত্র বাতিলের বিষয়টি অবহিত করেন।
আরব ব্রিকসের স্বত্ত্বাধিকারী মো. আমির আলী জানান, আমিতো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়নের জন্য আবেদন করেছি। এরপর আর কোন কিছু জানি না।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাহ জহুরুল ইসলাম জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি। এব্যাপারে কোন লিখিত চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্তব্য করুন