পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে সৌন্দর্য বর্ধনে ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য বর্ধনে অবশেষে অবৈধ দোকানপাট ও টিন সেডের বর্ধিত অংশ উচ্ছেদে নেমেছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর শহরের ষ্টেশন রোড, হবিগঞ্জ রোডসহ বিভিন্ন সড়কে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলসহ পৌর কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে পর্যটনগরী শ্রীমঙ্গলের স্টেশন রোড, হবিগঞ্জ রোডসহ শহরের অধিকাংশ সড়কের উপর ফুটপাত দখল করে দোকানপাট বসানো ও সেখানে টিন শেড তৈরি করে দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এতে করে পর্যটকসহ সাধারণ পথচারীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হন। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষেরর নজরে আসলে পৌরসভার পক্ষ থেকে টিনের সেড দ্রুত অপসারণ করে নিতে ব্যবসায়ীদের মাইকিং করে অনেকবার অনুরোধ জানানো হয়। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে বৃহস্পতিবার পৌরসভার পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১, কাজী আব্দুল করিম, কাউন্সিলর মো. হানিফ চৌধুরী, চয়ন রায় সহ পৌরসভার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে এবং শহরের সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শহরের কিছু ব্যবসায়ী আছে তারা তাদের দোকানের সামনে পৌরসভার ফুটপাতের উপর অতিরিক্ত টিনশেড নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তাদেরকে পৌরসভার পক্ষ থেকে বারবার বলার পরও কোন প্রতিকার পায়নি। তাই পৌরসভা থেকে নিজ উদ্যোগেই এগুলো ভেঙ্গে অপসারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন কিছু ব্যবসায়ী দোকানের ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ফেলে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করেছে প্রতিনিয়ত। এছাড়া বারবার অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করার পরও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পুনরায় ফুটপাতে ব্যবসা পেতে বসে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে।
মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু বলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত এবং স্বজন প্রীতির ঊর্ধ্বে রেখেছি। পৌরসভায় সেবা নিতে এসে কাউকে হয়রানির শিকার হতে হয় না। এছাড়া পৌর এলাকায় কোন প্রকার চাঁদাবাজি নেই। অনৈতিক কাজে জড়িত এরকম কাউকে কোন প্রকার প্রশ্রয় দেয়া হয় না। তিনি আরো বলেন মানুষ আমাকে বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাই আমার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের ভালো-মন্দ দেখা এবং মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়া। তিনি বলেন শহরকে যানজট মুক্ত ও সুন্দর রাখতে কোন প্রকার আপোষ করা হবে না।
মন্তব্য করুন