পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঘোষিত পে-স্কেল নিয়ে কমলগঞ্জে কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ বৈষম্যমূলক পে-স্কেল বাতিল করে সমহারে দেয়ার দাবি
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ সরকার ঘোষিত শতভাগ পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে টানা দুই দিনের আন্দোলনের মুখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দপ্তরাদেশ জারির মাধ্যেমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পে-স্কেল ঘোষণা করেছে। ফলে এই পে-স্কেলে ব্যাপক বৈষম্য দেখা দেয়ায় মৌলভীবাজার পবিস এর বিভিন্ন অফিসে কর্মরত কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। অবিলম্বে এই পে-স্কেল বাতিল করে সমহারে শতভাগ পে-স্কেল প্রদানের দাবি জানিয়েছেন পবিস কর্মচারীরা।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা জানান, সরকার ঘোষিত শতভাগ পে-স্কেল ঈদ বোনাসসহ বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সোমবার মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। পরদিন মঙ্গলবার জেলার সকল কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতিসহ শ্রীমঙ্গলস্থ জিএম অফিসের সম্মুখে সমাবেশ করেন। সারাদেশে এভাবে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা। ফলে আন্দোলনের মুখে ২৮ জুন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৫৫৩ তম সভায় ১৫১২২ সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মচারীদের পে-ন্বেল বাস্তয়নে একটি দপ্তরাদেশ জারি করে। ‘পবিস বেতন কাঠামো ২০১৬’ নামে অভিহিত দপ্তরাদেশ মোতাবেক জিএম পর্যায়ে পে-স্কেল ৮৬ শতাংশ, ডিজিএম ৭৪, এজিএম ৬৭, গ্রেড ৯ থেকে পুনর্বিন্যাসকৃত ১৫ গ্রেডে (জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ও একাউনটেন্ট) ৬৫ শতাংশ, গ্রেড ৮ থেকে পুনর্বিন্যাসকৃত ১২ গ্রেডে (সহ: জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, পাওয়ার ইউস কো-অর্ডিনেটর) ৭৬ শতাংশ, গ্রেড ৭ থেকে পুনর্বিন্যাসকৃত ৯ গ্রেডে (হিসাব সহকারী, ওয়ারিং ইন্সপেক্টর, লাইন টেকনিশিয়ান) ৭৬ শতাংশ, গ্রেড-৬ (স্টোর কিপার, অফিস সহকারী, ক্যাশিয়ার, মেটার মেকানিক কাম সুপারভাইসার, লাইনম্যান গ্রেড-১) ৫৪ শতাংশ, গ্রেড-৫ (লাইনম্যান গ্রেড-২) ৫১ শতাংশ, গ্রেড-৪ (বিলিং সহকারী, মিটার টেস্টার, ওয়ারিং পরিদর্শক, সহ: ক্যাশিয়ার, সহ:স্টোর কিপার, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর) ৪৬ শতাংশ, গ্রেড-৩ (চালক) ৬৪ শতাংশ, গ্রেড-২ (নিরাপত্তা) ৬৮ শতাংশ এবং গ্রেড-১ (মালি, সুইপার) ৭০ শতাংশ পে-স্কেল ঘোষণা করেছে। এই বেতন কাঠামো ১ জানুয়ারী ২০১৬ তারিখে কার্যকর হবে বলে গণ্য করা হয়েছে। ভাতাদি ২০১৬ সনের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামোর প্রতিবাদে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় কমলগঞ্জে এক সভায় এই বেতন কাঠামো বাতিল করে সমহারে শতভাগ বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবি জানান। লাইনম্যানরা বলেন, তারা সবচেয়ে অবহেলিত। ঈদের ডিউটির সময়ে কোন ভাতা নেই, শনিবারের কাজের অতিরিক্ত ভাতা নেই, অতিরিক্ত সময়েও ঝুঁকিভাতা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে তারা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শিবু লাল বসু বলেন, ঘোষিত বেতন কাঠামো সমগ্র বাংলাদেশের জন্য। এটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়নি। তিনি আরও বলেন, এখনও ইনক্রিমেন্ট হয় নাই, ইনক্রিমেন্ট হলে তা দেখা যাবে।
মন্তব্য করুন