পানি কমে গেলেও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে বিদ্ধস্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলা
বিকুল চক্রবর্তী॥ শ্রীমঙ্গলের জনপদ থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি সরে গেছে। কিন্তু শ্রীমঙ্গলকে দিয়ে গেছে এক বিদ্ধস্ত এলাকার রুপ।
সম্প্রতি ভারি বর্ষন ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে নিমজ্জিত হয় শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরতলীসহ উপজেলার কয়েক হাজার বাড়িঘর। ঘরের ভিতরে পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয় সাধারণ জনগণের কোটি কোট টাকা মুল্যের বিভিন্ন মুল্যবান সামগ্রী। ক্ষতিগস্থ হয় কাঁচা ঘর বাড়ি। আর পানি কমে যাওয়ার পর দেখা যায় শ্রীমঙ্গলের সদর ইউনিয়নসহ ৯টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ অবস্থায় শ্রীমঙ্গলের বর্তমান রুপ যেন কোন বিদ্ধস্ত নগরীর রুপ। এর ফলে মানুষের চলা ফেরায় মারাত্মক আকারে বাঁধা সৃষ্টি করছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পড়েছেন ভুগান্তিতে। এ ব্যপারে শ্রীমঙ্গল পূর্ব শ্রীমঙ্গল এলাকার বাসিন্দা ডা: আশিষ চক্রবর্তী জানান, এবারের ফ্লাস ফ্লাডে তার ঘরের ভিতরে কোমর সমান পানি হয়। এতে তার ঘরের ফ্রিজ, কম্পিউটার, টেবিল ফ্যান, আইপিএস সহ কয়েক লক্ষটাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। তিনি জানান, এ অবস্থা শুধু তার নয় এলাকার সবকয়টি বাসা বাড়িতে।
এর প্রধান প্রতিবন্দকতা হিবেবে তিনি জানান, তাদের এলাকার উপর দিয়ে বয়ে চলা বুড়বুড়িয়া ছড়ার নাব্যতা কমে গেছে এবং দুই পাড় দখল হয়ে সুরু হয়ে গেছে। এ সময় আরও এক ভুক্তভোগী সুশান্ত দাশ গুপ্ত ভজু জানান, অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মানও এর আরও একটি কারন। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় জানান, ৫/৬ দিনের ভারি বর্ষনে তার ইউনিয়নের সকল মাটির কাজ পানিতে বাসিয়ে নিয়ে গেছে। চার দিক থেকে জনগনের চাপ আসছে। কিন্তু বরাদ্ধ না আসলে কোন কাজ করাই সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যে তিনি অধিক জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নিজের টাকায় মেরামত করছেন।
এদিকে সরজমিনে দেখা যায় সবুজবাগ থেকে শ্রীমঙ্গল বালুচর এলাকায় মাহমুদ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটির প্রায় ৫০ ফুট সম্পুন্নরুপে ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোবাশশেরুল ইসলাম বেশ কিছু রাস্তাঘাট ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপাদত ক্ষতিগস্থ পরিবারে চাল ও নগদ টাকা দিচ্ছেন। তিনি জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ক্ষতিগস্থেরজন্য তিনি ১৯ টন চাল ও নগদ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ পেয়েছেন। যার ৫০ ভাগ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন