পাহাড়ি ঢলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের রাস্তায় ধস
আবদুর রব॥ দুইদিনের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত ও দ্বিতীয় বৃহৎ ইকোপার্ক মাধবকু-ের অভ্যন্তরীণ রাস্তার একাংশ ধসে পড়েছে। জলপ্রপাতের মূল কেন্দ্রস্থলের সিঁড়ির নিচের পাথাে মাটিও সরে গেছে। এতে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোববার রাতের ভারি বর্ষণের পর থেকে এই অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও এসএম আব্দুল¬াহ আল মামুন। বনবিভাগ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে মাধবকু- জলপ্রপাত ও ইকোপার্কের সড়কের পর্যটন রেস্তোরাঁ এলাকা সংলগ্ন প্রায় ৪০ ফুট জায়গা প্রায় দুই ফুট নিচের দিকে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া অংশটি ক্রমশ নিচের দিকে নামছে। এছাড়া রোস্তারাঁর কাছে উপরে উঠার সিঁড়ির বামপাশের নিচের প্রায় ৪০ ফুট এবং জলপ্রপাতে নামার সিঁড়ির ডান পাশের নিচের প্রায় ৩০ ফুট জায়গার মাথর মাটি সরে গেছে।
এতে ইকোপার্কের সড়ক ও সিঁড়ি দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। যেকোনো মুহূর্তে এ স্থানে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ভিতরে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে যাওয়ার রাস্তার কয়েকটি অংশ দেবে যাওয়ার এ দৃশ্য দেখা গেছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান সোমবার সন্ধ্যায় জানান, ‘আমি স্থানটি পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটকদের এখানে আপাতত না যাওয়াই ভালো।’
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএসএম মনিরুল ইসলাম জানান, ‘গত বছরেই সড়কটি একবার দেবে গিয়েছিল। এলজিইডি কাজ করছিল। এবারও ভারি বর্ষণে দেবে গেছে। এছাড়া সিঁড়ির মাটি সরে গিয়ে স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তায় পানি। মালামাল নেওয়া যাচ্ছে না। বালির বস্তা ফেলে প্রটেকশন দেয়ার চেষ্টা করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ সম্পন্ন করা হবে।’
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আব্দুল¬াহ আল মামুন সোমবার রাত ৮টায় জানান, খবর পেয়েই সন্ধায় তিনি স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। এলাকাটি পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, বন উজাড় ও মাটির টপ সয়েল উন্মুক্ত হওয়ার কারণে বৃষ্টির পানি মাটির ভিতরে প্রবেশ করে এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যসহ এটাকে রক্ষা করতে হলে বড় পরিকল্পনার দরকার।
মন্তব্য করুন