পাহাড়ি ঢল আর অতিবর্ষণ: হাকালুকির ৩ হাজার হেক্টরের বোরো ধান প্লাবিত: কৃষকের আহাজারি
আবদুর রব॥ এক সপ্তাহের ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে হাকালুকির (বড়লেখা অংশের) প্রায় ৩ হাজার হেক্টরের বোরো ধান প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশংকা করছেন। সোমবার ২ হাজার হেক্টরের বোরো ধান নিমজ্জিত ও অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় থাকলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ হিসেব ৩ হাজার হেক্টরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুল বেরুনোর আগেই ধানের ক্ষেত ভারি বৃষ্টি আর ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাওরপারের কৃষকদের মধ্যে চলছে আহাজারি।
কৃষিবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এবার হাকালুকিতে প্রায় ২৫ হাজার হেক্টরে বোরো ধান আবাদ করা হয়। এরমধ্যে হাওরের বড়লেখা উপজেলা অংশে প্রায় ৮ হাজার হেক্টরে ধান রোপন করা হয়। ৬০-৭০ ভাগ ধানে থোড় বেরোনোর সময় ভারি বর্ষণে বিভিন্ন নদী নালা দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামে। এতে হাওরে পানি বাড়তে থাকে। পানি বাড়ায় উঠতি ও ফুল বেরোনো অবস্থায় বোরো ধান প্লাবিত হতে থাকে।
সরেজমিনে উপজেলার সুজানগর, বর্নি, দাসেরবাজার, তালিমপুর, সদর, গাজীটেকা হাওর, উত্তর শাহবাজপুরসহ প্রত্যেকটি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের বোরো ধানের ক্ষেত ঢলের পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা যায়। ফসল হারানোর আশংকায় হাওরপারে কৃষকদের আহাজারি চলতে দেখা গেছে। অনেক কৃষক জানান, ধারদেনা করে তারা ফসল লাগিয়েছিলেন। ঢলের পানিতে বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় এখন তারা দিশেহারা, চোখে-মূখে অন্ধকার দেখছেন। ইতিমধ্যে হাকালুকি হাওরপারের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ শাহজাহান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন জানান, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২ হাজার হেক্টরের বোরো ধান প্লাবিত হওয়ার হিসেব থাকলেও মঙ্গলবার সকালের ভারী বর্ষণে এ হিসেব৩ হাজার হেক্টরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন