পাহাড়ী ও অতিবৃষ্টিতে কমলগঞ্জের বন্যা: ধলাই নদীর তিনটি স্থানে ভাঙ্গন ॥ ৫শত হেক্টর উঠতি আমন ফসল ক্ষতিগ্রস্থ

November 7, 2016,

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মুন্সীবাজার, রহিমপুর ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩টি স্থান ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে ৭ টি গ্রাম। তলিয়ে গেছে কৃষকের প্রায় ৫শত হেক্টর আধাপাকা আমন ধান। কমলগঞ্জ পৌরসভা এলাকার একটি বসত ঘর নদী গর্ভে বিলিন হলেও ১৪টি বসত ঘর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এছাড়া আরো ৪টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপুর্ণবাঁধ ও বন্যা কবলিত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহদুুদল হক, পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ, মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীসহ প্রশাসনের লোকজন।
বঙ্গপোসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির ফলে শনিবার ও রোববারের টানা বৃষ্টিতে কমলগঞ্জের ধলাই নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর, রহিমপুর ইউনিয়নের কুশালপুর ও কমলগঞ্জ পৌরসভার করিমপুর গ্রাম এলাকায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধে ৩টি ভাঙ্গন দিয়েছে।

pic-kamal-4প্রায় পাঁচ শত ফুট চওড়া করে ভাঙ্গন দিয়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি দ্রুত গতিতে ফসলি জমিতে প্রবেশ করছে। ঢলের পানিতে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, মুন্সীবাজার, শমশেরনগর, রহিমপুর ও পতনঊষার ইউনিয়নের ব্যাপক এলাকার শষি আসা আমন ফসল তলিয়ে গেছে। ঢলের পানিতে মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ঠাকুরের বাজার এলাকায় কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের বেশ কিছু এলাকা নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ধলাই নদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধের ভাঙ্গনে কমলগঞ্জ পৌরসভার আলেপুর গ্রামের মনাই মিয়ার বসত ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়। একই গ্রামে আরও ১৪টি বসত ঘর ঝুঁকিরপূর্ণ অবস্থায় আছে। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ বলেন, এ গ্রাম এলাকায় আগে ১৫ ফুট চওড়া বাঁধ ছিল। পানির বেড়ে স্রোতের আঘাতে এ গ্রামের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে এখন অবশিষ্ট ৫০ ফুটে এসে দাঁড়িয়েছে। একটি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হলেও আরও ১৪টি বসত ঘর বিলিনের অপেক্ষায় আছে। এসব বসত ঘরের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন ৭ নভেম্বর সোমবার সকালে মুন্সীবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের ৩টি স্থানে ভাঙ্গন ও ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করে আমন ফসল তলিয়ে যাবার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ৫শ হেক্টর জমির আমন ফসল তলিয়ে গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহমুদুল জানান, ধলাই নদে প্রতিরক্ষা বাঁধের ২টি স্থানে ভাঙ্গনের কারনে ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন বন্যার বিষয়টি সার্বক্ষনিক নজরদারী করছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com