পিরানেপীর শাহজালালের সিলেট : জঙ্গী-মেইড ইন-বাংলাদেশ?
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ পিরানে পীর-বীর শাহ্্জালাল ইয়েমেনী (রঃ) এবং প্রাচীন গৌড় রাজ্য প্রসঙ্গে সুরমা পারের কাব দিলওয়ার যথার্থই রক্তক্ষরন ঘটিয়েছিলেন তাঁর কালজয়ী কবিতা ও গানে-
“তুমি রহমতের নদীয়া-তুমি রহমতের নদীয় দোয়া করো মোরে হযরত শাহ্্জালাল আওলিয়া” প্রাচীন কালে সমগ্র আধুনিক বিহত্তর সিলেট অজ্ঞল যে পাঁচটি বৃহৎ সামন্ত রাজ্যে বিভক্ত ছিল তন্মধ্যে সামন্ত রাজা গোবিন্দের গৌড় ছিল প্রধান ও প্রাচীন। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে হযরত শাহজালাল পিতৃভূমি ইয়েমেন থেকে আল্লহ ও রাসুল প্রেমে ফানাপিল্লাহ হয়ে মহান আল্লাহর নাম নিয়ে ইসলাম প্রচারে বেড়িয়ে পড়েন। কথা ছিল হযরত শাহ জালালের সঙ্গে আনা মাটির সঙ্গে যে মাটির মিল পাওয়া যাবে সেখানেই হুজরা স্থাপন করবেন হযরত শাহ্্জালাল। দেশ-উপমহাদেশ পেড়িয়ে রাজা গোবিন্দের গৌড় রাজ্যে এসে সঙ্গে আনা মাটির মিল পান হযরত চাষনীপীর (রঃ)। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় এখানেই হুজরা স্থাপন করেন পীর শাহ জালাল-বীর শাহজালাল। হযরত শাহ জালালের হাতে তসবিহ এবং তলোয়ার দুটিই ছিল। তলোয়ার ইস্তেমাল করতে হয়নি এই পিরানে পীরকে। মহান আল্লাহর অপার রহমতে-বরকতে আধ্যাত্বিক শক্তিতেই গৌড় জয় করেন বীর শাহজালাল। গৌড় রাজ্য হয়-সিল্্হট-থেকে সিল্হেট-অতঃপর সিলহট থেকে সিলেট। এই পীরে কামেলের নামে পূন্য ভূমিকে-জালালাবাদ-ও বলা হয়। তাঁর সঙ্গে আসা আওলিয়ার সংখ্যা তিনশত ষাটজন থাকায় পূণ্যভূমি সিলেটকে তিনশত ষাট আওলিয়ার মুল্লুক বলা হয়। হযরত শাহ্্জালালের প্রধান সিপাহ শালার হযরত সৈয়দ নাসিরুদ্দীন হবিগঞ্জের মুড়ারবন্দে হযরত সৈয়দ শাহ্মোস্তফা ইটা রাজ্যাধীন সামন্ত শাসক চন্দ্র নারায়নের রাজ্যে তশরিফ আনয়ন করতঃ হুজরা স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে আত্বনিয়োগ করেন। তারই নামে মোস্তফাপুর ইউনিয়ন, মোস্তফাপুর গ্রাম, শাহ্্ মোস্তফা সড়ক, শাহ্ মোস্তফা কলেজ ইত্যাদি।
বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল প্রাচীন কাল থেকে সুসভ্য, সংস্কৃতি বান ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। বৃহত্তর সিলেটের আইন শৃংখলা, সাম্প্রদায়ীক সম্প্রিতি, রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা সামাজিক বন্ধন ধর্মীয় ঐতিহ্য সবিশেষ উল্লেখ যোগ্য। ধর্ম্মগত ভাবে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে হিন্দু মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান-প্রমুখ ধর্মাবলম্বী এবং খাসিয়া, মনিপুরী, ত্রিপুরী, মুরং, ইত্যাদি উপজাতি স্মরনাতীত কাল থেকে শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানের সঙ্গে বসবাস করছেন।
একাত্তোরের মহানমুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা জনতা-গৌরবোজ্জল ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এম এ জি ওসমানী বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলেরই সু-সন্তান।
দেশীয় অর্থনীতিতে বৃহত্তর সিলেট বাসির ভূমিকা অনেক। প্রবাসী অধ্যুসিত সিলেট অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী, প্রবাসে বসবাস করতঃ বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রাঅর্জন করে জাতীয় অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছেন। দেশে গৃহায়ন খাতে বিনিয়োগ করত দৃষ্টিনন্দন বাসা-বাড়ি-হোটেল-মোটেল নির্মান করে আবাসিক সমস্যার সমাধান করছেন। পাক আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে পাক সরকার দায়েরী কুখ্যাত আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বিখ্যাত বৃটিশ আইন হাজী টমাস উইলিয়ামকে পাঠিয়েছিলেন সিলেটের এই প্রবাসীগনই।
ধর্মীয় বিপথগামী কতেক দেশীয় জঙ্গীদের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কার্য্যক্রমে বৃহত্তর সিলেট এর গৌরবময় অতীত ঐহিত্য প্রশ্নের সম্মুখীন। ইতিপূর্বে হযরত শাহ জালালের দরগা প্রাঙ্গনে বাংলাদেশে বৃটিশহাই কমিশনার এই সিলেটেরই সু-সন্তান আনোয়ার চৌধুরীকে হামলা করে জঙ্গীরা সিলেটের ঐতিহ্য ইমেজ ও ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছিলেন। সেই মামলায় মাননিয় বিচারিক আাদলত যথার্থই দন্ড দিয়েছেন।
অতি সম্প্রতি সিলেটের আতিয়া মহল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন নসরতপুর এবং পৌর এলাকার বড়হাটে জঙ্গীদের উপস্থিতি, অবস্থান ও জঙ্গী কার্য্যক্রমে তারা যেনো সদম্ভে জানান দিলেন-“আমরা ছিলাম আমরা আছি-”। এলিট ফোর্স-রে্যপিড এ্যকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-সেনা বাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দল গুলশান ট্রেজেডি ও শোলাকিয়ায় সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গী মোকাবিলা করে প্রতিহত ও দমন করেছেন-মিডিয়া মহলও দেশ বাসির প্রশংশা কুড়িয়েছেন-গভীর আস্থা অর্জন করেছেন। অতি সম্প্রতি দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা র্যাব এর গোয়েন্দা প্রদান লেঃ কর্নেল আবুল কালাম আজাদ নিজের জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন-দেশের জন্য শাহদাত বরন করেছেন-তবুও কর্তব্য পালনে পিছপা হননি।
অতি সম্প্রতি নাসিরপুর জঙ্গী আস্তানায় নিহত হন লোকমান আলী (৪৫), তারি স্ত্রী শিরিন আক্তার (৩৫) তার সন্তান আমেনা খাতুন (১৪), সুমাইয়া আক্তার (৯) এবং ফাতেমা মরিওম (৫) এবং ছয়মাস বয়সী শিশু কন্যা খাদিজা। জঙ্গীদের মূল বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে। জঙ্গী লোকমানের শ্বশুড় আবু বকর দেশ থেকে এসে লাশ সনাক্ত করেছেন। পৌর এলাকাধীন বড়হাটে নিহত তিন জঙ্গীর একজনের নাম আশরাফুল আলম নাজিম। সে নোয়াখিালি জেলাধীন সুনাইমুড়ি উপজেলার বাসিন্দা। আশরাফুল আতিয়া মহলের মোবা হামলাকারি বলে জানাযায়।
হযরত শাহজালালের সফরসঙ্গী হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রঃ) র স্মৃতি বিজড়িত মৌলভীবাজারের নসরতপুর এবং বড়হাটে গোয়েন্দা বিভাগ জঙ্গী অবস্থানের খবর পেয়েই নড়ে চড়ে বসেন।
আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী ও জনগন দৃঢ়তার সাথে জনধিকৃত জঙ্গীগণকে মোকাবিলা করেন। জনগন নিঃশর্ত সমর্থন জানান ল-এনফোসিং এজেন্সিকে, প্রাসঙ্গিক সহযোগিতাও দেন। সফল অভিযান শেষে মিডিয়া বান্ধব পুলিশ সুপার মোঃ শাহ জালাল প্রেসকনফারে¯েœ জেলা ও দেশবাসীকে বিষয়টি অবহিত করেন। প্রাসঙ্গিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অপারেশন হিটব্যাক ও অপারেশন ম্যাক্সিমাস এর সফল অভিযান শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রিয় মুখ মনিরুল ইসলাম। আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাহসিকতা, জনগনের সহযোগিতা ও দৃঢ়মনোভাব এবং মিডিয়া ভুবনের আন্তরিকতার প্রশংসা করেন সকলেই। দেশের শীর্ষ স্থানীয় সাংবাদিকগণ জঙ্গীও সন্ত্রাসবাদ দমন ও নিমূলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও মতামত-অভিমত প্রকাশ করছেন। সিনিওর সাংবাদিক-কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী সম্প্রতি জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে-সন্ত্রাস নির্মূলে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন-শিরোনামের উপসম্পাদকীয় কলামে জঙ্গবাদকে জঙ্গীবাদ না বলে সন্ত্রাসবাদ বলে অভিমত ব্যক্ত করতঃ সন্ত্রাস দমনে ধর্মীয় শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাস্তবেও দেখা গেছে এসব সন্ত্রাসীগণ দাড়ি টুপিওয়ালা পাজামা পাঞ্জাবি পরিহিত মাদ্রাসা পড়–য়া তালবে আলীম নন। এরা দামী নামি ভার্সিটি পড়–য়া ধনীর দুলাল। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাই যথার্থই বলেছেন-মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গী নয়। জঙ্গীও জং প্রসঙ্গে তাই প্রাসঙ্গিক ভাবে বলা চলে জং-একটি উর্দূ শব্দ বঙ্গার্থ যুদ্ধ। করাচীতে জং নামে একটি বিখ্যাত উর্দূ দৈনিক ছিল। একজন ভারতীয় কবি ও গীতিকার বলেন-“জিন্দেগী হরকদম এক নয়ী জং হ্যায়-জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ একটি নতুন যুদ্ধ-এবং সত্যিকার অর্থেই জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ একটি নতুন যুদ্ধ, এই যুদ্ধ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ, অন্ধকারের বিরুদ্ধে আলোর যুদ্ধ। এই যুদ্ধ অস্ত্র ও বোমাবাজির যুদ্ধ নয়, কারন তা কখনও ধর্ম ও দেশে প্রচলিত আইন সমর্থনকরে না। সন্ত্রাসীগণ পবিত্র ইসলাম ধর্ম, রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে পবিত্র আল-কোরআনের বিরোধীতা করছেন। এদের ধ্বংস অনিবার্য। ইতিপূর্বে এই উপমহাদেশে মাওবাদী রাজনৈতিক সন্ত্রাসীগণ চারুমজুমদার, কানু সন্যাল সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বে শ্রেনী শত্রু খতম ও মার্ক্সসেবাদ লেনিন বাদ কায়েমের নামে গুপ্ত হত্যা সন্ত্রাস করতঃ নিজেরাই নিমূল হয়েছেন। কারন জনগন কখনও সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ সমর্থন করে না, বরং প্রশাসন জনগন ঐক্যবদ্ধ ভাবে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করেন। জানবাজ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জীবনবাজি রেখে নসরতপুর জঙ্গীদের মোকাবিলা করতঃ বোমা হামলার সম্মুখীন হয়েছেন-তবুও-পিছপা হননি। প্রসঙ্গতঃ এই প্রেক্ষিতে প্রবাসীদের কোটি টাকার খালিবাড়ি ও দায়িত্বজ্ঞান হীন কেয়ারটেকার প্রসঙ্গে নতুন করে চিন্তা ভাবনা এবং ভাড়াটিয়া প্রসঙ্গে সতর্কতা এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবী। সমাজের দাবী। যুগের দাবী। জনজরুরী দাবী।
শান্তির ধর্ম মহাপবিত্র ইসলামের নামে বিশ্বব্যাপী ত্রাসসৃষ্টিকারি সন্ত্রাসী ও বর্ণিত জঙ্গীগণ মুসলিম উম্মার কোন আলেম ওলামা ফতোয়ার ক্ষমতা ধারী মুফতি নহেন। সৌদি ধনকুবের ওসামা বিন লাদেন কিংবা আফগান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, মোল্লা ওমর এবং বাংলাদেশী সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান, মুফতি হান্নান প্রমুখ মুসলিম সমাজের ধর্মীয় নেতা নহেন। সংগঠন গত ভাবে আলকায়দা, আই.এস, আনছারুল্লা বাংলাটিম, হরকতুল জিহাদ-হুজি, জামায়েতুল মুজাহিদীন অব বাংলাদেশ-জে,এম, বিইত্যাদি সংগঠন গনধিকৃত-নিন্দিত। এসব সংগঠনের কোন সাংগঠনিক কাঠামো-কার্য্যক্রম, প্রয়োজনীয় দপ্তর নেই, নিবন্ধননেই যা নির্বাচন কমিশনের বিধি বিধান মোতাবেক প্রয়োজনীয়। ইসলামী শাসনের একমাত্র নমুনা ইসলাম ধর্মের প্রচারক-আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক মহানবী মোহাম্মদ মোস্তফার শাসনামল এবং মহানবীর বিশ্বস্থ ছাহাবী খোলাফায়ে রাশেদীন নামে পরিচিত চার খলিফার শাসনামল। অতঃপর খলিফা ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ব্যতিত পৃথিবীর কোথাও কখনও ইসলামী শাসন ছিলনা, মুসলিম শাসন ছিল। মহানবী মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) এর পরবর্তী কালে ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় কোথাও সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ ছিল না। ইসলামী দল কিংবা ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে তাদের কর্মকান্ডে ইসলামী আকিদা, অনুশাসন জীবন-দর্শন মেনে চলতে হয়। মনেরাখতে হবে ইসলামে জঙ্গীবাদ কিংবা কোন সন্ত্রাসবাদের স্থান নেই। মহান আল্লাহ কালামে পাক আলকোরআনে বলেন-আলফিতানাতু ইয়াশাদ্দু মিন কাতলে”- সমাজের অভ্যন্তরে ফেৎনা-ফ্যাসাদ-ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করা খুনের চাইতেও জঘন্যতম অপরাধ। এইসব জঙ্গীও সন্ত্রাসীগণ সমাজের অভ্যন্তরে বিভ্রান্তি-ফেৎনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে বোমা মেরে-আত্বঘাতি কর্ম্মকান্ড দ্বারা পবিত্র আল কোরআনের বিরোধিতা করছেন-গোনাহর কাজ করছেন। দেশ বিদেশের তাবত আলেম সমাজ একসুর-এক বাক্যে জঙ্গী-সন্ত্রীদের সন্ত্রসী কার্য্যক্রমের নিন্দা জানিয়েছেন।
জঙ্গীবাদ বৈশ্বিক হলেও একটি জাতীয় সমস্যায় রূপ নিয়েছে। জঙ্গী দেশীনা বিদেশী তা এখন ভাববার সময় নয়। বোমা বাংলাদেশী হলেও ফুটছে। মানুষ মরছে। দেশী জঙ্গীগণ বিদেশী জঙ্গীদের মত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সমস্যাটি জাতীয় বিধায় জাতীয় ঐক্যমত অত্যাবশ্যকীয়। সরকার যেহেতু ক্ষমতায় তাই সরকারকেই সে দায়িত্ব নিতে হবে। অহংকার ও অহংবোধের চাইতে জনগনের জীবন ও সম্পত্তির মূল্য অনেক বেশি। আমাদেরকে সেই পুরাতন প্রবাদ বাক্যটি মনে রাখতে হবে-“নগরে আগুন লাগলে মসজিদ-মন্দির-গির্জা-কোনটাই বাদ যাবে না। কারন সকল আগুন সবাইকে সমান ভাবে পুড়িয়ে মারে। আমাদের চিন্তা, চেতনা, বিবেক, বুদ্ধি শানিত হউক-বোধোদয় হউক। মহান মালিক আমাদেরকে এসব আপদ বিপদ আজাব গজব থেকে পানাহ দিন-এই মোনাজাত সহ আমীন। ছুম্মা আমীন।
(সেক্রেটারী, মৌলভীবাজার জেলা জামে মসজিদ। সিনিওর এডভোকেট, হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা। কলামিষ্ট)
মন্তব্য করুন