পিলখানায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তা হত্যাকারীদের নিয়ে একসাথে শেরাটন থেকে খাবার খেয়েছিলেন শেখ হাসিনা-রাজীব আহসান
স্টাফ রিপোর্টার : স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান বলেছেন, বিগত দিনে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও তার অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের অপকর্ম দেশবাসীর অজানা নয়। সে দিন পিলখানায় ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তা হত্যাকারীদের শেরাটন থেকে খাবার এনে একসাথে খেয়েছিলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাপলা চত্তরে শতশত আলেমকে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্বজিৎকে ছাত্রলীগের ছেলেরা প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর রুনিকে হত্যা করা হয়েছিল।
সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরের একটি অভিজাত কনভেনশন হলে আয়োজিত যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে দিক নির্দেশনামূলক যৌথ কর্মীসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল এর সভাপতিত্বে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ আহমদ মাহফুজের সঞ্চলনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ মাগদুম মাছুম বিল্লাহ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জি.এম মুক্তাদির রাজু, সদস্য সচিব আহমদ আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোতে নৈরাজ্য ও অরাজকতা কায়েম করেছে। চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ধর্ষণ, খুন,গুম এমনকি ঘরের বউকেও তারা তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। লুটপাট, অর্থপাচার ছিলো আওয়ামী সরকারে নিত্যনৈমিত্তিক রুটিন কর্ম। ওই ঘটনাগুলোকে পুঁজি করে অনেকেই শেখ হাসিনার সাথে হালুয়া রুটির ভাগিদার হয়েছিলেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া,তারেক রহমান ও জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা সেই দিনগুলোতে এর জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলো। সবাই হালুয়া রুটির সাথে আপোষ করে ওদের অধীনে প্রতিটি জালিয়াতির নির্বাচনকে অনেকেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।
একমাত্র দল বিএনপি যে দলের আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শুরু থেকেই স্বৈচারীর অধীনে নির্বাচন বয়কট করে প্রতিবাদ করে আসছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সকল অপকর্মের দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ৮০ বছর বয়সেও মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছেন নেত্রী। দেশও নেত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এমন দৃঢ় চেতা আপোষহীন সিন্ধান্তেরই সুফল মিলেছে জুলাই ও আগষ্টের আন্দোলনে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ২য় স্বাধীনতার শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি বলেন তাদের রক্তের সাথে বেইমানী করা যাবেনা। কোনো সুবিদাভোগী, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে সহায়তাকারী কেউ নতুন করে দলে ঠাঁই পাবেনা। নতুন করে কোনো যোগদানও হবেনা।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন নিজের সামন্য স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করবেন না। মনে রাখবেন বিএনপি গণমানুষের দল আপনার আমার মতো গুটি কয়েক নেতাকর্মীর জন্য দল বাঁধাগ্রস্থ হবেনা। দলের কার্যক্রম অচল হবেনা। এরপরও যারা অপকর্মের সাথে নিজেকে জড়াবে তাদেরকে দল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সাম্যের, মানবিক ও কল্যাণকর। তিনি শেখ হাসিনার সকল অপকর্মের বিচারের দাবি জানান। এরই সাথে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা ও গায়েবী মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন