পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়, যে কোনও মুল্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা হবে
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারে পুজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে আসন্ন দূর্গাপুজা নিয়ে মত বিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক। এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। সভায় বলা হয় যে কোনও মূল্যে পুজা উপলক্ষ্যে জেলার আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা হবে। জনগোষ্ঠির পুজা যাতে নির্ভিঘ্ন হসে ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বোতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিএনপি, জামায়াত, খেলাফতে মজলিশ ও হেফাজতের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। পুজা উদ্যাপন কমিটির জেলা ও উপজেলা কমিটির সকল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় সর্বসন্মতিক্রমে যেকোনও মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা কঠোরভাবে রক্ষার সিন্ধান্ত গৃহিত হয়। জেলার বিভিন্ন সীমান্তে কঠোর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানান ৪৬ বিজিবি’র সিইও লে. কর্নেল মিজানুর রহমান সিকদার।
মৌলভীবাজার জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর কমান্ডার লে. কর্নেল তাহমিদ আহমেদ বলেন, পুজার এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হবে।
জেলা প্রাশাসক বলেন, আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনীর সকল সদস্য মাঠে কাজ করবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুাপার (ডিএসবি) মো: মহসিন বলেন, যে কোন মূল্যে গুজব রটনা ব্যহত করতে কাজ করছে পুলিশ বাহিনীর একটি চৌকস দল। সভায় জেলা প্রশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পুজার সময় লোড শেডিং না করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা। পুজায় প্রতিটি মান্ডপে সিসি ক্যামেরা ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রাখার কথাও বলা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফজলুল করিম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মৌলভীবাজারের ডিজিএম মো: জিয়াউল হক, র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল খ্রাম্প কমান্ডার মাহমুদুল হোসাইন, পুজা উদযাপন জেলা কমিটির সম্পাদক মহিম দে সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জেলায় এবছর ৯৯৩ টি পুজা মান্ডপে পুজা উদযাপন হবে।
মন্তব্য করুন