পুর্ব লন্ডন থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ বাংলাদেশী পরিবার
লন্ডন প্রতিনিধি॥ পুর্ব লন্ডন থেকে দুই সন্তানসহ আচমকা নিখোঁজ হয়ে গেছে বাংলাদেশী বংশোব্দুত একটি খ্রিষ্টান পরিবার। রহস্যে ঘেরা এ নিখোঁজের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কুল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশও।
জানা গেছে, নারী নির্যাতনের দায়ে কারাগারে ছিলেন লন্ডনের ফরেষ্ট গেইট এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশী বংশোব্দুত সুমন কষ্টা (৩৬) । টানা ছয় সপ্তাহ কারাগারে ছিলেন সুমন। আর সুমন যেদিন জামিনে মুক্তি পান সেদিন থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ রয়েছেন সুমনের স্ত্রী সুরভী কষ্টা ( ২৫) আর এ দম্পতির দুই সন্তান। বড় মেয়ে স্কার্লেট কষ্টার বয়স সাত বছর আর ছেলে স্কার্লিওন বয়স তিন বছর। খোজ মিলছে না সুমনেরও। সুরভীর সন্তানসহ নিখোঁজের ঘটনায় সুমন জড়িত, এমন সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
১৭ মে মঙ্গলবার নিঁেখাজ সুরভী আর তার দু সন্তানের সন্ধানে পুলিশ জরুরী ভিত্তিতে ব্রিটেনজুড়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ৫ মে বৃহস্পতিবার নিখোজেঁর বিষয়ে পুলিশে রির্পোট করা হয়।
গৃহবধু সুরভী কষ্টার একজন আত্বীয় ইভিনিং ষ্টান্ডার্ডকে বলেছেন, সুরভীর দু সন্তান সহ নিখোঁজ হবার ঘটনা নিতান্তই অনভিপ্রেত এবং এ ঘটনায় তারা উদ্বিগ্ন। এর আগে কখনো এমন নিখোঁজের ঘটনা ঘটেনি। নিখোঁজ হবার এক সপ্তাহ আগে সুরভী আর তার দু সন্তানকে সর্বশেষ জনসমক্ষে দেখা গেছে। সুরভী কষ্টার একজন প্রতিবেশী জানিয়েছেন, সুরভী আর তার দু সন্তানকে গেল সপ্তাহে তিনি ছয়টি লাগেজ সহ তাদের ঘর ছেড়ে দেখেছেন তিনি।
একটি সুত্র জানিয়েছে, জামিনে মুক্তি পেয়ে স্ত্রী আর দু সন্তানের সাথে বসবাসে আগ্রহী ছিলেন না সুমন। এদিকে সুমনের পরিবারের সদস্যরা দাবী করেছেন, সুমন তার স্ত্রী সুরভী ও দু সন্তানসহ ফ্রান্সে অবস্থান করছেন। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে নি।
নারী নির্যাতন ও গুরুতর জখমের দায়ে পুলিশের হাতে আটক হওয়া সুমন ৬ সপ্তাহ জেল খেটে মুক্তি পেয়েই জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেন। তার জামিনের অন্যতম শর্ত ছিল পাসপোর্ট সারেন্ডার করা। নিখোঁজের পাশাপাশি জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়েও সুমনকে এখন হন্যে হয়ে খুজঁছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন