পূর্ণ মন্ত্রী হলেন টানা ৭ম বারের নির্বাচিত এমপি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ
স্টাফ রিপোর্টার॥ ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৩৮ মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে দুই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে টানা ৭ম বারের মতো জয়লাভ করে পূর্ণ মন্ত্রী হলেন উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ। তিনি সিলেট বিভাগের প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা, সাবেক চিফ হুইপ, বীর মুক্তিযোদ্ধা। শেখ হাসিনার আস্থাভাজন এই নেতা বিজয়ী হওয়ার পরই তার সমর্থকরা, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল এলাকাবাসী ও মৌলভীবাজার জেলার সচেতন মানুষজন তাকে পূর্ণমন্ত্রীর দাবী ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিভিন্ন আড্ডায়ও তারা এই মত ব্যক্ত করেছেন।
উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ১৯৯১ সালে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে তিনি এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ, ২০০১- ২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ২০০৯- ২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ম সংসদের তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২০১৮-২০২৩ পর্যন্ত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির পালন করছেন। এছাড়া তিনি সংসদ কমিটি, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি স¤পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলেরও তিনি সদস্য ছিলেন। এবার তাকে সরকারের পূর্ণ মন্ত্রী করার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজার জেলাবাসী উৎফুল্ল।
জানা যায়, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ এ দুটি উপজেলা নিয়ে মৌলভীবাজার-৪ আসন গঠিত। সিলেট বিভাগের বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদকে উন্নয়নের রুপকার হিসেবে বলেন স্থানীয়রা। তিনি মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এলাকায় ব্যাপক বিদ্যুতায়নের কাজ করেন। সবশেষে নিজ নির্বাচনী এলাকার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এনেছেন। ২০১৮ সালে তিনি কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের কমলগঞ্জ গণ মহাবিদ্যালয় এবং কমলগঞ্জ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। দুই উপজেলার দলীয় নেতাকর্মী, সুধীমহল ও সাধারণ ভোটাররা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপিকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
দীর্ঘ ৩০ বছরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে তার অবদান। ১৯৯১ সালের প্রথম নির্বাচনে উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী প্রয়াত এম, সাইফুর রহমানের সাথে মৌলভীবাজার-৪ আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। তখন এম, সাইফুর রহমানের জামানত বাজেয়াপ্ত হলে আলোচনায় সরব হয়ে উঠেন প্রবীন এ পার্লামেন্টারিয়ান। এলাকায় জনপ্রিয় এ নেতাকে সাধারণ মানুষ বারবার নির্বাচিত করেছেন। সাধারণ মানুষ অনেকদিন পর তাকে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে পেয়েছেন।
উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ^ বিদ্যালয় স্থাপন, পর্যটন খ্যাতে উন্নয়ন সহ মৌলভীবাজার জেলাকে উন্নয়নে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। তার এই
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দুই উপজেলায় আব্দুস শহীদের (নৌকা) মোট প্রাপ্ত ভোট ২ লক্ষ ১২ হাজার ৪৯১। আর বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আবদুল মহিত হাসামী (মোমবাতি) প্রাপ্ত ভোট ৫ হাজার ৩৯০। ২ লক্ষ ৭ হাজার ১০১ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন