পৌর শহর অন্ধকারে লেম্পপোস্ট থাকলেও জ্বলে না আলো

February 25, 2018,

ওমর ফারুক নাঈম॥ সারি সারি লেম্পপোস্ট। কাষ্টদ- খুঁটিগুলো। মৌলভীবাজার পৌর এলাকার পথচারীররা যাতে নিব্বেগ্নে চলাচল করতে পারেন সে জন্যই এই লেম্পপোষ্ট গুলো বসানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর লেম্পপোষ্ট গুলোতে আলো জ্বলার কথা। কিন্তু যখন সন্ধ্যা হয়ে অন্ধকার নেমে আসে তখন আর লেম্প পোস্ট গুলোয় আলো জ্বলল না। লেম্প পোষ্ট গুলোর একেকটির একেক দশা। কোনটার খুঁটি ভেঙ্গে গেছে আবার কোনটায় বাল্ব নেই। মৌলভীবাজার পৌর শহরের ঢাকা-সিলেট সড়কের লেম্পপোস্টগুলোর এমন দশা। সড়কটির সদর উপজেলা, বড়হাট, কুসুমবাগ, বাজার পয়েন্ট, বেরির পাড়, দর্জির মহল, শ্রীমঙ্গর রোড, কুদালীপুল এলাকার কয়েকবছর ধরে লেম্পপোষ্ট থেকে জ্বলেনি আলো। মৌলভীবাজার পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়কে লেম্প পোষ্ট থাকলেও জ্বলে না আলো। আর রাতের ঘন আধারে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতাও। নাগরিকদের দাবি কর্তৃপক্ষের গাফিলতী করণেই অন্ধকারচ্ছন্ন থাকে শহর। শুধু এই সড়কগুলো নয়। মৌলভীবাজার পৌরসভার বেশঅর্ধেক এলাকার রাস্তা রাতে থাকে অন্ধকারে। এসব এলাকার কোথাও লেম্প থাকলেও তা একবারেই অচল। কোথাও আবার বাতি নেই। কোথাও আলো জ্বলে নিভে। অধিকাংশ এলাকায় আলোর খোঁটি অনেক দূর দূর। পৌর শহরের এলাকার এই বেহাল দশা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের শ্যামলী এলাকার অনেক রোডে লেম্পপোষ্ট নেই।

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের পিছন থেকে বর্ষিজোড়া এলাকা পর্যন্ত পুরোটা জুড়ে থাকে অন্ধকার। লেম্পপোস্ট থাকলেও তার কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। সোনাপুর এলাকার লেম্পপোস্টগুলো ভাঙাচুরা ও অকার্যকর দেখা যায়। অধিকাংশ বৈদ্যুতিক খোঁটিতে এখনও পুরাতন মডেলের লাইটগুলো লাগানো রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বাল্বহীন লেম্পপোস্ট। শ্রীমঙ্গল রোডে থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত পুর এলাকা থাকে অন্ধকারচ্ছন্ন। রঘুনন্দনপুর ও জগন্নাথপুর জগন্নাথপুর এলাকায়ও নেই লেম্পপোস্টের কার্যকারিতা। শহরের প্রাণকেন্দ্র শাহ মোস্তফা রোডেও সন্ধার পর কোন সড়ক বাতি জ্বলে না।পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা হচ্ছে এম সাইফুর রহমান রোড এবং সেন্টাল রোড। কিন্তু সন্ধা যখন নামে তখন এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কোন লেম্পপোস্টে আলো জ্বলে না।

এছাড়াও পৌর এলাকা সৈয়ারপুর, গীর্জাপাড়া, বনানী, টিলাবাড়ী, বড়বাড়ী, চুবড়া, কলিমাবাদ, মুসলিম কোয়ার্টার, শান্তিবাগ, গুলবাগ, বড়হাট, সুলতানপুর এলাকার অধিকাংশ লাইট অচল ও একএকটি লেম্পপোস্টগুলো দূরত্ব অবস্থানে রয়েছে।মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্র হাসান আহমদ বলেন, সন্ধার পর কলেজ থেকে বর্ষিজোড়া পর্যন্ত এই্ এলাকা অন্ধকার থাকে। এসময় এখানে অপরাধিরা জড়োহয়ে নানা অপকর্ম করে। ৪নং ওয়ার্ডের এক ছাত্রনেতা বলেন, আমাদের এলাকায় লাইট নেই বললেই চলে। প্রায় খুটিতেই লাইট নাই। জগন্নাথপুর এলাকার কলেজ ছাত্র রুহিন আহমদ বলেন, বাস স্টান্ড থেকে ওয়াপদা পয়েন্ট পর্যন্ত লাইট লাগানো থাকলেও তা আজ প্রায় ৮ বছর ধরে জ্বালানো হয়না। কলিমাবাদ এলাকার মুবিন বলেন, প্রায় সময় লাইটগুলো নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু পৌরসভা যথা সময়ে তা ঠিক করে না। রঘুনন্দনপুর এলাকারবাসী বলেন, আমাদের এলাকার লাইট জ্বলে না বললেই চলে। যেন আমরা অন্ধকার জ্বগতেই থাকি। এবিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার প্রকৌশলী আবুল হোসাইণন খান বলেন, বর্তমানে ৯০শতাংশ লাইটিং এর আওতায় আনা হয়েছে। পুরো পৌর এলাকা এলইডি লাইটের আওতায় আনতে একটি প্রজেক্ট গস্খহণ করা হয়েছে। প্রজেক্টটি পাস হলে কাজ শুরু হবে। আর সিলেট রোডের লেম্পপোস্টগুলো অকার্যকর হয়ে পড়েছে। আর এই লাইটগুলো ব্যবহার অনেক ব্যয়বহুল। এগুলো সংস্কারের মাধ্যমে সচলের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com