“পৌর শিশু পার্ক :  ফুচকা বাজার থেকে ফুলের বাগান :ওয়েলডান : পৌর মেয়র ফজলুর রহমান ॥ ”

February 6, 2019,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ ত্রয়োদশ শতাব্দীর পিরানে পীর ইয়েমেনী বীর হযরত শাহ্ জালাল ইয়েমেনী (র:) র প্রিয়ও বিশ্বস্থ সহচর হযরত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা বোগদাদী শেরে-শওয়ার চাবুকমার (র: এর উজ্জল স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যভূমি মৌলভীবাজার শতাব্দীর গৌরবময় অতীত ঐতিহ্যে লালিত প্রাচীন ও সম্বৃদ্ধ জনপদ। টাউন কমিটি থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভা ও একটি ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। এই পৌর এলাকায় এই জালালী জমিনে চীর শয়ানে শায়িত পীরে কামেল হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা বোগদাদী (র:)। আরো অনেক গৌছ কুতুব ওলি আল্লাহর স্মৃতি ধন্য পূর্ণ্যভূমি মৌলভীবাজার শহর মনুনদীর তীরে অবস্থিত। বর্ষিজুড়ার পাহাড়, ফাটাবিল আর কোদালিছড়া বেষ্টিত মৌলভীবাজার পৌর এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরূপ লীলাভূমিও বটে। কোর্ট রোড এর মধ্যভাগে দৃষ্টি নন্দন বৃক্ষ রাজি বেষ্টিত মৌলভীবাজার পৌরভবন পশ্চিম মুখী হয়ে অবস্থিত। পৌর ভবনের সামনে আকর্ষনীয় আকার ও আকৃতির পৌর বাসির প্রিয় পৌর পুকুর এর অবস্থান। দখল-দূষনের বাংলাদেশে ব্যতিক্রম পৌর পুকুরটি। সব সরকার ও চেয়ারম্যান-মেয়রামলে পুকুরটি সগৌরবে টিকে আছে। এই পুকুর রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকল সাধুবাদের হকদার। পৌর পুকুরের পশ্চিমপাড় এবং কোর্ট রোড এর পুর্বাংশে লম্বা লম্বি ভাবে অবস্থিত খালি জায়গা আমাদের কালে সেই ষাটের দশকে শিশু পার্ক হিসাবে অভিহিত হত। দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান না থাকলেও বসার ব্যবস্থা এবং দোলনাও ছেরছেরী জাতীয় শিশু ক্রীড়া সামগ্রী ছিল। কথিত সেই শিশু পার্কের ঠিক মধ্যবর্ত্তী স্থানে একটি গোলাকৃতির পাকা ভিটা এবং মাথার উপর ঢালাই ছাদ ছিল। ফলতঃ ইতিপূর্বে স্থানটি ছাত্র গণজমায়েত ও জনসভার স্থান ছিল। দুঃখ ও দূর্ভাগ্যজনক ভাবে পৌর এলাকায় খোলা মেলা ভাবে গণজমায়েত দেন্দ্র নাগরিক সমাবেশ জনসভার স্থান নেই।

সেকালে আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ জমায়েত ও জন সভা হতে দেখেছি। স্থানটি এক বাক্যে মিউসিপ্যালিটি শিশু পার্ক হিসাবে সর্ব সাধারন্যে পরিচিত ছিল। আমার যৌবন সভা-সমাবেশও বলাবলির কালে এখানে আমি অনেক দিনমজায়েতে যোগ দিয়েছি ভাষণ বক্তৃতা দিয়েছি। আমার এখনও মনে আছে সিলেট বিভাগ আন্দোলন এর জমায়েত সমূহ এখানেই হত। এখানে আমার একটি দুঃখজনক স্মৃতিও জড়িয়ে আছে। আশির দশকে সামরিক স্বৈর শাসিক লে: জে: হুসেইন মোহাম্মদ এর্শাদ বিরোধী ছাত্র গণ আন্দোলনের সর্বদলীয় প্রতিবাদ সমাবেশের জমায়েত হয় এখানে। জমায়েত শেষে আমরা সামরিক আইন মানিনা-মানব না-শ্লোগান তুলে উত্তর মুখী হয়ে মিছিল শুরু করি। সর্বদলীয় বিশাল মিছিলকে মোকাবিল করতে সামরীক সরকার কতৃপক্ষ বি.ডি.আর. (বর্তমানে বি.জি.বি) নামান। মিছিলছত্র ভঙ্গে সামরীক এ্যকশনেযায় স্থানীয় প্রশাসন। অনেকেই দৌড়িয়ে পালিয়ে গেলেও আমি অফিসিয়াল পোষাক ব্লেক স্যুটেড থাকায় দৌড়ে পালিয়ে যাইনি। সম্মানজনক ভাবে গেপ্তারই হয়েছিলাম।

স্বাধীনতা পূর্ব কালে মৌলভীবাজার টাউন কমিটির চেয়ারম্যান সাহেবদের মধ্যে সর্ব জনাব আব্দুল মজিদ খান, সৈয়দ সরফরাজ আলী, আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ আমার পরিচিত ও সম্পর্ক যুক্ত ছিলেন। তারা সকলেই ছিলেন পেশাদার মোক্তার। তখন দেশে ইধংরপ উবসড়পৎবপু-ইউ. ঝুংঃবস চাল ছিল। গনভোটে মেম্বার হতেন। আর এসব মেম্বার সাহেবান চেয়ারম্যান এম.পি.এ.এম.এন.এ পদে ভোট দিতেন। পাকিস্তানী আমলের সর্বশেষ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ছিলেন আলহাজ্ব এ.এইচ.এম.এ রশীদ। স্যুট-টাই-টুপি পরিহিত এই জনপ্রতিনিধি খুবই সহজ সরল বিনয়ী ছিলেন। লেখালেখিতে জড়িত থাকার কারনে তার সঙ্গেঁ আমার অতিরিক্ত সুসম্পর্ক ছিল, বয়ো: জৌষ্ট হিসাবে তিনি আমাকে খুবই ¯েœহ করতেন। আমার মনে পড়ছে সদ্য স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ও আমরা পৌরবাসি তাকে পৌর চেয়ারম্যান হিসাবে পেয়েছি। তখন শহরে কোন ডেকোরেটার্স কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কমিউনিটি সেন্টার ছিল না। বিশিষ্ট সমাজ সেবক- সাংস্কৃতিক সংঘটক সুলেখক শাহাবুদ্দিন আহমদ মরহুম রশীদ সাহেবেরই সু-সন্তান।

স্বাধীনতা উত্তর কালে সাজ্জাদুর রহমান পুতুল, সৈয়দ মহসীন আলী, আলহাজ্ব মাহমুদুর রহমান এবং ফয়জুল করিম ময়ূন মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান মেয়র হিসাবে সগৌরবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এরা সকলের সঙ্গেঁ আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক ছিল আছেও। ফয়জুল করিম ময়ূন ছাড়া বাকিরা এখন পরলোকে। আল্লাহ তাঁদের বেহেশত নসীব করুন। আমি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। ফয়জুল করিম ময়ূন দুই মেয়াদে পৌর মেয়র ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চার চলীয় জোট সরকারামলে এ জেলার কৃতি সন্তান, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অর্থনীতিবিদ এম.সাইফুর রহমান সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। একাধিক মেয়াদের পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজনও বিশ্বস্থ ছিলেন ফলতঃ পৌরসভায় দেশী বিদেশী প্রজেক্টও বরাদ্দ পেতে পৌর মেয়রকে বেগ পেতে হয় নি। আমি নিজেও মন্ত্রী মহোদয় এর ¯েœহভাজন এবং পৌর মেয়রের শ্রদ্ধাভাজন ছিলাম (বয়োঃ জ্যেষ্ট হিসাবে এখনও আছি) পৌরসভায় হাজার কোটি টাকার কাজ হলেও আমি তৎকালীন পৌর মেয়রের কাছে কোন কাজ চাইনি কিংবা কোন চাকরির তদবির করিনি। মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্তমান কর্মচঞ্চল ও কর্ম তৎপর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমানও আমার সঙ্গেঁ সামাজিক ভাবে সু-সম্পর্ক যুক্ত এবং আমার একজন প্রিয়জন একান্তই ¯েœহ ভাজন ও বটেন। যদিও মেয়র পদে তার পক্ষে আমার কোন ভূমিকা ছিল না বরং আমি ছিলাম তাঁর প্রতিপক্ষ মূল প্রতিদ্ধন্ধী ধানের শীসের হেভীওয়েট প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলার মোঃ অলিউর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। বয়সও বার্ধ্যক্য জনিত ব্যাধিও শারীরিক দূর্বলতার কারনে এই বয়সে নির্বাচনী মাঠ সবগরম করার বয়স আমার আর নেই, তবু ও ভোটের দিন সকাল সন্ধ্যা সার্বক্ষনিক ভাবে চীফ ইলেকশন এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। প্রতিদ্ধন্ধী প্রার্থী ও দল পৌর নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিলে আমিও নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান ও নবীন মেয়র পৌর পরিষদকে শুভেচ্ছা জানাই- সহযোগিতার আশ্বাসদেই।

নবীন পৌর মেয়র শত ভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের ওয়াদাসহ ঘুষ, দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেন। ইতি মধ্যে মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান তাঁর কথায়, কাজে, চলাফেরা, বলায় সততা ও নিরপেক্ষতায় দলমত নির্বিশেষে সকল মহলের প্রশংসা-সমর্থন প্রাপ্ত হন। কাজগুলির মধ্যে ইদগার সংস্কার সম্প্রসারণ কোদালিছড়ার খনন কাজের মধুরেন সু-সমাপ্তি, দুষন, দখল, উচ্ছেদাভিযান, পৌর রাস্তা ঘাটের সংস্কার, পুন: নির্মাণ ও নির্মাণ ইত্যাদি। পৌর মেয়রের মানবিক নান্দনিক ও ব্যতিক্রমী কার্য্য ক্রম-নির্মানাধীন প্রকল্প-পৌর জনমিলন কেন্দ্র এলাকাধীন ওল্ড কেয়ার সেন্টার, পার্ক, পাঠাগার, শৌচাগার, প্রার্থনা কেন্দ্র, ক্যেফেটারিয়া এবং দৃষ্টি নন্দন ফুলের বাগানটি ষাটোর্ধ বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি নান্দনিক ও মানবিক আয়োজন। একজন কলামিষ্ট হিসাবে সাম্প্রতিক কালে গনদাবীর প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ-জনআকাঙ্খা মূলক প্রতিবেদন লিখি জনপ্রতিনিধিদের জনস্বার্থ মূলকগণ মুখী কর্মকান্ডের প্রশংসাও সমর্থন করতঃ উৎসাহ ও অনুপ্রেরনায় যুগাই, গণ বিরোধী কাজের জনস্বার্থে প্রতিবাদ করি, কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতঃ জনগনের মধ্যে জন সচেতনতা তৈরীর চেষ্টা চালাই। পৌর মেয়রের ওল্ড কেয়ারকে সমর্থন করে কলাম লিখি, প্রশংসিত হই, সামাজিক গনযোগাযোগ মাধ্যমে ও ইতিবাচক সাড়া পাই। অবশ্য হালকা ভাবে হাওয়ায় হাওয়ায় আমার কানে আসে আমি নাকি অর্থনৈতিক মূনাফা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় সাফাই গাইছি। আমি বিষয়টি আমলে নেই নি, গুরুত্ব দেই নি। পৌরসভা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসাবে শুধুমাত্র রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং নালানর্দমা পরিষ্কারই করাবেন না, নাগরিকদের চিত্তবিনোদন, জ্ঞানচর্চাও জ্ঞানার্জন, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা ও মেধার বিকাশে একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে প্রয়োজনীয় কাজ করবেন। একজন নগর পতি-কে বলা হয় নগর পিতা, সিটি ফীদার। কোনজন প্রতিনিধি এমন কি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে পর্যন্ত নেতা বলা হয় পিতা বলা হয় না। শুধুমাত্র একজন পৌর মেয়রকেই পৌর পিতা নগর পিতা বলা হয়।

নগরপতি-কে নগর পিতার স্থানে নেয়া অভিহিত করা একজন নগর পতির প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও সম্মান প্রদর্শন করারই নামান্তর।

মৌলভীবাজার টাউন কমিটি পৌরসভা চেয়ারম্যান মেয়রদের ইতিহাসে বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমানই সর্ব বয়োঃ কনিষ্ট, দি ইয়াংগেষ্ট ওয়ান। রাজনীতি গত ভাবে তিনি একজন কট্রর নির্ভীক মুজিব সৈনিক। ছাত্রলীগ এর নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী যুবলীগ নেতৃত্ব অতঃপর মুল দল আওয়ামী লীগের জেলা নেতৃত্বে।

বয়সে নবীন এবং নিখাদ ও কট্রর মুজিব সৈনিক হলেও পৌর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দলমত নির্বশেষে দল নিরপেক্ষ ভাবে দলীয় সংকীর্নতার উর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের ঘোষনা দেন। ধানের শীসের প্রার্থী এবং দলগত ভাবে বি.এন.পি. পৌর নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিলে, কোন আইনী আশ্রয় না নিলে আমাদের নবনির্বাচিত পৌর মেয়রকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে পৌর উন্নয়ন নাগরিক স্বার্থে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেই। পৌর প্রাঙ্গনস্থ চিলড্রেন্স পার্ক বিগত মেয়রামলে ছিল ফুচকা বাজার। পার্ক কিংবা চিত্ত বিনোদনের কোন অবকাশ ছিল না এখানে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কোর্ট রোড জবর দখল করে চেয়ার পাতা হয়, ফুচকা চটপটির রমরমা মুখরোচক খাবারের দোকান বসে। দোকান সমূহের খাবারের মান স্বাস্থ্য সম্মত নয়, ধূলাবালি, মশা-মাছি, পোকা, মাকড়ের উপদ্রবও প্রাধান্য। রাতের ফুচকা বাজারটি বিপুল সংখ্যক তরুন তরুনীর আনন্দ উচ্ছাসও কল-কাললিতে বেশরাত পর্য্যন্ত সরগরম থাকত। কোর্ট রোডের পশ্চিমাংশে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পূর্ব দক্ষিনাংশে তিনটি শহীদ মিনার অবস্থিত। মধ্যবর্ত্তী স্থানের শহীদ মিনারটি একাত্তোর সালের বিশে ডিসেম্বর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরনের তেইশ জন শহীদ স্মরনে এখানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি অবস্থিত। অরক্ষিত এলাকাটি দিনের বেলা ভব ঘুরে বাউন্ডেল জুয়াড়ী নেশাখোর আর সন্ধ্যানামার সাথে সাথে ভ্রাম্যমান বার বনিতাদের দখলে চলে যায়। অন্ধকারও নির্জন এলাকাটি  মুলমূত্র ত্যাগ এবং নিশি কন্যাদের অসামাজিক কার্য্য কলাপ এর নিরিবিলিও নিরাপদ স্থান। রাতের খাবার দাবার আহার গ্রহনে ফুচকাবাজার এর ক্রেতা বিক্রেতা একাকার হয়ে ফুচকা বাজারের সাথে একাকার হয়ে যেত। শহুরে সুশীল সমাজ ফুচকা বাজারের সান্ধ্যও নৈশাকালীন পরিবেশ নিয়ে উদ্ভেগ প্রকাশ করতে থাকেন।

বর্তমানে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমানে এ ব্যাপারে পরিবেশ রক্ষা ও শিশু পার্কের মান উন্নয়নে একজন প্রবীন পৌর নাগরিক হিসাবে আমার মতামত ও সহযোগিতা চাইলে আমি নিঃশর্ত সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করি। সম্প্রতি পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান ফুচকাবাজার অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল ও শহরের গন্য মান্য নাগরিকদের উপস্থিতিতে পৌর শিশু পার্ক ও ফুলের বাগান এর শুভ উদ্ভোধনী ঘোষনা করেন। ফুসকা বাজার এর পরিবর্তে এককালীন মিউনিসিপাল চিলড্রেন্স পার্কটি এখন ঝকঝকে ঝলমলে ফুল বাগান। কমলা, হলুদ রং এর বাহারি গাঁদা ফুলের সৌরভে সুশোভিত এই পার্কটি। পৌর বাসির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী পূর্ণ হল। আমরা সবার আগে শিশু শ্লোগান দিলে ও আগামী দিনের নাগরিক শিশুদের প্রতি যথাযথ যতœবান নই। বর্তমান সমাজে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং নৈতিকতার ক্রমোনবনতি জনিত কারনে শিশু শ্রম, শিশু নির্যাতন, শিশু ধর্ষন ক্রমাগত চলছে। এই অবক্ষয় অবনতির মাঝে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান এর এই মহতি-মানবিক-হৃদয় ভিত্তিক কায্যক্রমটি প্রশংসনীয়। এই কার্য্যক্রমে পৌর বাসির অকুন্ঠ সমর্থন আছে। থাকবে। এই দৃষ্টি নন্দন আয়োজনের দেক ভাল করা – মায়া মমতার দায়িত্ব পৌর নাগরিকদের। এমন আয়োজনের জন্য পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান এবং তার পরিষদকে অফুরান আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

[ প্রবীন পৌর নাগরিক ও আইনজীবী। মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসকøাব।]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com