প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ট রাজনগরের জনজীবন আক্রান্ত বৃদ্ধ ও শিশু, বিপাকে দরিদ্র কৃষক শ্রমিক
শংকর দুলাল দেব॥ সপ্তাহ ব্যাপী প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ট রাজনগরের জনজীবন। শীতের প্রকোপ কমার সাথে সাথে হঠাৎ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। মাত্রাতিরিক্ত এ গরমে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃদ্ধ এবং শিশুরা ডায়রিয়া সহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিকে বৈরী এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পরেছেন দরিদ্র কৃষককুল সহ শ্রমজীবিরা। প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যেই কৃষকদের উৎপাদিত স্বপ্নের ব্যুরো ফসল ঘরে তুলতে প্রাণপন চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই ঘরের বাইরে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।
রাজনগরের বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায়, হঠাৎ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার শষ্য ভান্ডার খ্যাত কাউয়াদীঘি হাওর সহ উজানে ব্যুরো ধান কর্তনরত প্রায় ২৬ হাজার দরিদ্র কৃষক এবং একাজে নিয়োজিত শ্রমিক শ্রেণির মানুষ সহ বিভিন্ন এলাকার বৃদ্ধ ও শিশুরা সমস্যায় রয়েছেন। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ডায়রিয়া, জ্বর, নিমোনিয়া, সর্দি-কাশি জনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিপর্যস্ত এ পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে তেমন রোগী ভর্তি না হলেও বহির্বিভাগে ডাক্তারদের পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানাযায়। চলমান তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে কিংবা বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে অনেকেই আশংকা করছেন। এদিকে শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময়ে মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণতার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় চরম অন্তরায় সৃষ্টি হয়েছে। ধ্বস নেমেছে ব্যবসায়-বানিজ্যেও। সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন অফিসের অফিসিয়াল কাজকর্মে চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানাযায়, ২৫ এপ্রিল তারিখে মৌলভীবাজার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং গত এক সপ্তাহের গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আরো কয়েকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি অথবা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মে মাসের প্রথম থেকে তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সৈয়দ শাহরিয়ার মাহমুদ জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি জনিত কারণে এবার কিছু ডায়রিয়া,জ¦র, সর্দি-কাশি’র রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং তারা উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে ভ্যাক্সিনেশনের কারনে এবার নিমোনিয়ার প্রকোপ তেমন নাই। সবাই চিকিৎসা পাচ্ছে। এতে চিন্তার কোন কারণ নাই। তবে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানুষকে সচেতন করতে উপজেলার সর্বত্র লিপলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন