প্রচারণার অভাবে জমে ওঠেনি মৌলভীবাজারের বৃক্ষমেলা

August 9, 2016,

স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রচার-প্রচারণার অভাবে জমে উঠেনি সপ্তাহব্যাপী বনজ ও ফলদ মেলা। ৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী শুরু হওয়া এ মেলায় স্টল গুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। মেলায় কয়েকটি ষ্টল খালি পরে রয়েছে। সকল স্তরের মানুষের জন্য ১০ আগস্ট পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হলেও মেলায় নার্সারির মালিক ও ষ্টাফ ছাড়া দর্শনার্থীদের উপস্থিতি একেবারে নগন্য ছিল।
জানাযায়, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা বন বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে ফলদ ও বনজ বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাহাব উদ্দিন এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক নেছার আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আলম, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ পরিচালক মোঃ শাহজাহান, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কমিার দো।
মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, ৬টি স্টল মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে। বাকী ৫টি স্টল খালি অবস্থায় পড়ে আছে। প্রদর্শনীর জন্য বন বিভাগ ও কৃষি বিভাগের ২টি স্টল রয়েছে।

r
৭ আগষ্ট রবিবার  বিকাল সাড়ে ৪টায় বন ও কৃষি বিভাগের স্টল গুলো গুরে দেখায় যায় দ্বায়িত্বশীল কাউকে দেখা যায়নি। স্টলের দায়িত্বে বন বিভাগ রেখেছে নৌকার মাঝি রিপন চৌধুরীকে ও কৃষি বিভাগ রেখেছে পাবেল নামে এক জনকে। তারা স্টল প্রদর্শনে আসা দর্শনার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সন্তুষ্টজনক উত্তর দিতে পারছেন না এবং কোন পরামর্শ দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে মেলায় আশা ব্যবসায়ীদের দাবি, চারদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বৃক্ষপ্রমিদের তেমন আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না। বিকালে কয়েকজন দর্শনার্থী এলেও সকালে মেলার মাঠ শূন্য থাকে। নার্সারি মালিক কালাম আহমদ জানান আয়োজকরা প্রচারণা না করায় ৭-৮ আগষ্ট আমরা নিজেরা চাঁদা তুলে শহরে মাইকিং করেছি। মনে হয় আয়োজকদের কোন দায়-দায়িত্ব নেই। প্রতি বছর আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করে মেলায় আনা হয়। গত বছর লোকসান হওয়ায় এই বছর অনেক নার্সারী ব্যবসায়ীরা আসেননি।
আলম নার্সারী মালিক রমজান আলী খান জানান, এখানে প্রতিদিন ১/২ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারিনা। অথচ আমাদের নার্সারিতে প্রতিদিন প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে এবং মেলা থেকে অনেক বেশি চারা বিক্রি করা যায়।  শ্রমিক ও নিজের প্রতিদিনের খরচ সহ আমাদের লোকশান গুনতে হয়। এ অবস্থা থাকলে আগামীতে আর কেউ মেলায় আসবেনা। একই ধরনের মন্তব্য করেন ফাহিমা নার্সারী, গ্রীন নার্সারী, মুহিদ নার্সারী ও সবুজ বাংলা নার্সারী সত্বাধীকারীগন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com