প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরে দেশের চা বাগান অধ্যুশিত শ্রীমঙ্গলে জ্বলে উঠেছে শিক্ষার আলো……..
বিকুল চক্রবতী॥ অবিশ্বাস্যভাবে পরিবর্তন এসেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষায়। আর তা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার বিশেষ নজরে এ এলাকার চা বাগান গুলোতে ৩৮টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে। কয়েক বছর আগেও যে ছেলে মেয়ের স্কুলের পরিবর্তে সময় কাটতো গো-চারণে কিংবা হাইল হাওরে খাল-বিলে আজ তারা বিদ্যাপিঠে। কয়দিন আগেও যখন এক শ্রেণীর নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত ছিলো অনিশ্চিত আজ তারা স্বপ্ন দেখছে দেশ গড়ার কারিগর হওয়ার। তিন দিকে পাহাড় আর একদিকে হাওর বেষ্টিত শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষার হার ছিলো অনেক নিচে। স্কুলগামী ছাত্রের চেয়ে ঝরে পড়ার হারই ছিলো বেশি। এর প্রধান কারণ ছিলো শ্রীমঙ্গলের ভু-খন্ডের ৫৫ ভাগই চা বাগান অধ্যুষিত অন্যদিকে হাওর পাড়ে বিশাল এক জনগোষ্ঠি বরাবরই ছিলো অবহেলিত। তাদের প্রধান অন্তরায় ছিল বিদ্যালয় সংকট, অনুন্নত রাস্তাঘাট। জেনারেশন বাই জেনারেশেনই ছিলো শিক্ষার আলো বঞ্চিত। সংগত কারনেই প্রত্যন্ত এলাকার একজন চা শ্রমিকের স্বপ্নের মধ্যেও ছিলো না তার ছেলে-মেয়ে স্কুলে পড়বে শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত হয়ে দেশ সেবায় নিয়োজিত হবে। আর হাওর পাড়ের একটি জেলে পরিবারের কর্তা ব্যাক্তির ধারণা ছিলো আমার ছেলে আমার চেয়ে আরও বেশি মাছ ধরায় পটু হবে। এ দুই শ্রেণীই ছেলে মেয়েরা শৈশব থেকেই বিদ্যালয়ের পরিবর্তে শিক্ষা নিতো চা বাগানের কাজ ও মাছ ধরার কাজের। এই অবস্থায় এ এলাকায় শিক্ষার হার বাড়বে ভাবাই যেতো না, এটাকে অসম্ভব বলেই ধরে নিয়েছিলেন এখানকার মানুষ। কিন্তু এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকার। কয়েক বছর আগে যখন এ উপজেলায় স্কুলগামী ছাত্রের সংখ্যা ছিলো প্রায় ৬০ ভাগ এখন স্কুলগামী ছাত্রের সংখ্যা প্রায় শতভাগ। আর এই বিশাল পরিবর্তন এসেছে বিগত ৫/৬ বছরে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১০ সালে শ্রীমঙ্গলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিলো ৬৬টি। আর ২০১৩- সালে এর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৮টি। কিছু বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণের পাশাপাশি শ্রীমঙ্গলের প্রত্যেকটি চা বাগানে একটি করে ও স্কুল বিহিন গ্রামে একটি করে সম্পুর্ণ নতুন স্কুল স্থাপন করে তা জাতীয়করণ করা হয়। আর সে সময় সরকারী শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩শ থেকে বেড়ে বর্তমানে সরকারী শিক্ষকের সংখ্যা ৭০৪ জন। এর ফলে শিক্ষার আওতায় এসেছে প্রায় ১০ হাজার ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।
উপজেলা শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এক জরিপে উঠে আসে ২০১০ সালে শ্রীমঙ্গলে ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা ছিলো ৮ হাজার ১৩ জন। যা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পেতো। ২০১০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩০ হাজারের নিচে আর বর্তমানে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ হাজারের উপরে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোশারফ হোসেন এর পরিবর্তনের মুল কারন হিসেবে জানান, বর্তমান সকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা নীতি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া। বাংলাদেশের ইতিহাসে একসাথে এতো বিদ্যালয় কোন সরকার জাতীয়করণ করতে পারেনি। আর ভবিষ্যতেও পারবেনা। জাতীয়করণকৃত ও রেজিষ্টার্ড বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ছাত্র ছাত্রীকে দেয়া হচ্ছে উপবৃত্তি। বছরের প্রথম দিনেই তাদের হাতে দেয়া হয় নতুন বই। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আলাদা কক্ষ, আলদা শিক্ষক, শিশুতোষ শিক্ষা উপকরণ দেয়া হয় প্রতিবছর। প্রতিটি বিদ্যালয়কে দৃষ্টি নন্দন করে রাখার জন্য প্রত্যেক বছরই ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। যার মাধ্যমে বিদ্যালয় রঙ্গিন করা, ফুল বাগান সৃষ্টি, শহীদ মিনার তৈরী ও পরিচর্যা করা হয়। । প্রতি ৩ বছরে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে মেরামতের জন্য একটি বরাদ্ধ দেয়া হয় ৫০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকা। এছাড়াও পরিচ্ছন্নতার জন্য গতবছর প্রত্যেক বিদ্যালয়ে দেয়া হয়েছে ৫ হাজার টাকা। প্রত্যেক বিদ্যালয়েই সরকার নিয়োগ দিয়েছে একজন নৈশ প্রহরী। শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে কয়েকটি মটর সাইকেল।
এ ব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সরকার পরিচালিত অন্যান্য বিভাগের মতো প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রেও লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া। পুরো অফিসকে আনা হয়েছে ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের আওতায়, শ্রীমঙ্গলের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিষয়ে পাঠদান করানো হয় প্রজেক্টারের মাধ্যমে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশশেরুল ইসলাম জানান, শ্রীমঙ্গলের প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা খুবই ভালো। ঝরে পড়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে। শিক্ষকরাও খুব আন্তরিকতার সহিত ছাত্রদের পাঠদান করান। এর ফলাফল হিসেবে তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে এসেছে জাতীয় পর্যায়ের কৃতিত্ব। শ্রীমঙ্গল চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহর তরফদার এ বছর উপজেলা, জেলা ও বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে তার নাম যায়, একই ভাবে জাতীয় পর্যায়ে নাম যায় শ্রীমঙ্গল উত্তর ভাড়াউড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর আগে শ্রীমঙ্গল চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে।
এ ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শ্রীমঙ্গল মির্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অংক দৌড়ে প্রথম হয়। ভীমসি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে লোক সংগীতে ২য় স্থান লাভ করে। রামনগর মনিপুরি বস্তি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে দৌড় প্রতিযোগীতায় ২য় স্থান লাভ করেন। উত্তরশুর কুল চন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগীতায় ২য় স্থান লাভ করেন । পৌরসভা যোগেন্দ্র মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে স্মৃতি পরীক্ষায় ৩য় স্থানের অধিকারী হয়। পশ্চিম লৈয়ারকুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে লং জাম্প প্রতিযোগীতায় ৩য় পুরস্কার গ্রহণ করে। চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে সংগীতে প্রথম স্থান লাভ করে ও একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্র জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ৩য় স্থান লাভ করে। এ ছাড়াও ৩ বছরে শ্রীমঙ্গল চন্দ্রনাথ স্কুল ২৮টি শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
শ্রীমঙ্গল প্রাথমিক শিক্ষাঙ্গনের অর্জন এখানেই শেষ নয়। বিগত দুই বছর যাবৎ শ্রীমঙ্গল চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা শাপলা কাব প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্কার্ফ ও ওয়াগল পরিয়ে দেয়ার গৌরব অর্জন করে।
ঢাকা ও সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, একাধিক সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় শ্রীমঙ্গল প্রাথমিক শিক্ষক কালচারাল ক্লাব ও চন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শ্রীমঙ্গল চন্দ্রনাথ স্কুল গত বছর সারা দেশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়দের মধ্যে সমাপনী পরীক্ষায় ৩য় হয়।
শ্রীমঙ্গল প্রাথমিক স্কুলগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলগুলোতে লেগেছে বাহারী রং এর ছোঁয়া। পুরো বিদ্যালয়ে ভিতর বাহিরে দেয়ালে বিভিন্ন রং দিয়ে পেইন্ট করা হয়েছে। এর উপর অঙ্কন করা হয়েছে বিভিন্ন আল্পনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন মুনি ঋষিদের বাণী। স্কুলের সামনে রয়েছে মনোরম ফুলের বাগান ও শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি শহীদ মিনার।
প্রত্যেক বিদ্যালয়ে বর্ণিল সাজে সজ্জ্বিত আলাদা একটি কক্ষ রাখা হয়েছে প্রাক-প্রাথমিক শিশু শ্রেণীর ছাত্রের জন্য। সেখানে রাখা হয়েছে অর্ধশতাধিক শিশুতোষ শিক্ষা উপকরণ ও খেলার সামগ্রী। খেলাধুলা, গানে গানে, ছন্দে ছন্দে শিশুদের ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষিকা।
এ সময় বেশ কয়েকজন অভিভাবক এ প্রতিবেদককে জানান, তাদের ছেলে মেয়ে বিদ্যালয়ে আসার জন্য উদগ্রীব থাকে। অভিভাবক তৈরী হওয়ার আগেই ছেলে মেয়েরা স্কুলে আসার জন্য তৈরী হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে তারা জানান, বিদ্যালয়ে রয়েছে তাদের নানান খেলার সামগ্রী। খেলার ছলে তাদের শেখানো হয় লেখাপড়া। তারা বলেন, পাল্টে গেছে স্কুলের দৃশ্যপটও, হয়েছে নান্দনিক। এখন বিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালেই অন্যরকম এক ভালোবাসার জন্ম হয়।
শ্রীমঙ্গল সিংহবীজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কান্তি তালুকদার জানান, শিশু ক্লাস ছাড়াও অনান্য ক্লাসের ছাত্ররাও নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নিয়মিত উপস্থিতিতে শতভাগ উপবৃত্তি নির্ধারিত হয় এবং প্রজেক্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল ক্লাস হওয়াতে ছাত্ররা ক্লাসের প্রতি বেশী আগ্রহী হয়।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল নোয়াগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অনিমা রানী দেবী বলেন, তার বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করতে গিয়ে সরকারী বরাদ্দের পাশাপাশি তিনি নিজের বেতন থেকে ২০ হাজার টাকা, সকল সহকারী শিক্ষক ১০ হাজার টাকা ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে আরও কিছু টাকা নিয়ে অতিরিক্ত ৬২ হাজার টাকা খরচ করে বিদ্যালয়ের দৃষ্টি নন্দনের কাজ শেষ করেছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল সিংহবীজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভুমিদাতা নুরুল ইসলাম খান জানান, চোখের সামনে তিন প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থা দেখেছেন। নিজে পড়েছেন, ছেলে মেয়েদের পড়িয়েছেন এখন নাতি-নাতনি পড়ছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যেভাবে শিক্ষাঙ্গনকে আলোর দিকে নিয়ে এসেছেন তা অতীতের সকল ইতিহাসকে হার মানায়। এ সময় তিনি তার প্রধান শিক্ষকের একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্কুল করার পরও তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা প্রতি মাসেই ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুর্বল ছাত্রদের ব্যপারে অভিভাবকদের অবহিত করে আরও যতœ নিতে বলেন, বিদ্যালয়ে না গেলে কেন গেলো না – তার খোঁজ নেন। আর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার আগে প্রত্যেক ছাত্রের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে প্রেরণা দান করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন আরো জানান, দেশের অন্য যে কোন উপজেলার চেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শিক্ষার চিত্র অনেক ভালো। ২০১৬ সালে শ্রীমঙ্গলে প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষায় পাসের হার ছিলো ৯৯.২৯%। তবে তিনি এর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জানান তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয় স্থাপন, ভুমি জটিলতা ও নতুন ভবন পাওয়া গেছেএবং খুব শ্রীঘ্রই বিদ্যালয়গুলোতে মিডডে মিল এর ব্যবস্থা করবেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব জানান, শ্রীমঙ্গল শিক্ষা ব্যবস্থার এ ইতিবাচক চিত্র ধরে রাখতে শিক্ষা বিভাগ, অভিভাবক, উপজেলা প্রশাসন ও সূধী সমাজ সবাইকে আরো উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।
এ ব্যাপারে জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি জানান, তার এলাকা শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তিনি এলাকার অন্যান্য উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি নিজেও অ- বৈতনিক শিক্ষকতা করেছি। আর যারা অ-বৈতনিক শিক্ষকতা করেন তারা আন্তরিক উপলব্দি থেকেই তা করেন থাকেন। তিনিও মনে প্রাণে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি হোক তা চান। এ জন্য তিনি প্রত্যেকটি চা বাগানে একটি করে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। ৩৬ টি নতুন বিদ্যালয় স্থাপনে ভুমি জটিলতা নিরসনে কাজ করেছেন। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দিয়েছেন খেলার সামগ্রী। প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও এমন কোন উচ্চ বিদ্যালয় পাওয়া যাবেনা যে বিদ্যালয়ের ভবন তিনি এনে দেননি। প্রত্যেকটি গ্রামীন বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য রাস্তা, ব্রীজ কালভাট নির্মান করে দিয়েছেন। তার মতে, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের এ যুগান্তকারী উন্নতি একটা সময় শ্রীমঙ্গল উপজেলার উন্নয়নের হাতিয়ার হবে।
মন্তব্য করুন