প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ বড়লেখায় ৮ শিক্ষার্থীর পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ বড়লেখার কামিলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ পালের স্বেচ্ছাচারিতায় ৫ম শ্রেণীর ৮ শিক্ষার্থীর পিইসি (প্রাইমারী অ্যাডুকেশন সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন সরকার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে নানামূখি উদ্যোগ নিচ্ছে অথচ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া একটি এলাকায় ঝরে পড়া ত্বরান্বিত করছেন।
জানা গেছে, স্কুলের ৫ম শ্রেণীতে নিয়মিত ২৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তারা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ১ম সাময়িক ও আগষ্টে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নিয়মিতভাবে পড়াশুনা করছে। জুন মাসের (পিইসি পরীক্ষার্থী) মধ্যে এসব শিক্ষার্থীদের তথ্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ পাল ৮ জুন ২৩ শিক্ষার্থীর স্থলে ডি.আর ফরমে মাত্র ১৫ শিক্ষার্থীর নাম প্রেরণ করেন। প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতায় অপর ৮ শিক্ষার্থীর পিইসি (প্রাইমারী শিক্ষা সমাপনী) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকেই বলছেন সরকার শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে নানামূখি উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পড়া দরিদ্র এ এলাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার দিকে টেলে দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিভাবক রুমি বেগম, জবলু মিয়া ও করিম উদ্দিন জানান, সারা বছর সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে দিচ্ছি, কোচিং করাচ্ছি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার জন্য নাকি। এরজন্য দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে তারা শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ পাল জানান, ২৩ শিক্ষার্থীর ৮জন তুলনামুলক দুর্বল হওয়ায় তিনি সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের তালিকায় তাদের নাম প্রেরণ করেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন জানান, ৫ম শ্রেণীর ৮ শিক্ষার্থীর নাম বাদ দিয়ে তালিকা প্রেরণের কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ পালকে শোকজ করা হয়েছে। প্রায় ১ মাস পূর্বে উপজেলার পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের নামের তালিকা উর্ধতন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। এখন জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি ব্যতিত বাদ পড়া এসব শিক্ষার্থীকে অর্ন্তভুক্ত করার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন