“প্রবীন তারকা রাজনীতিবিদ সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমদ এম.পি-র আফসোসঃ রাজনীতি এখন রাজনীতিবিদদের হাতে নেইঃ এত দিনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে॥
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ তোফায়েল আহমদ এম.পি। বাংলাদেশের প্রবীন তারকা রাজনীতিবিদ। উনসত্তোর সালের ছাত্র-গণ- অভ্যোত্থানের মহানায়ক। স্বাধীনতার সংঘটক। মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক। কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সভাপতি-ডাকসুর ভি.পি. ছিলেন। সত্তোর সালের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের জয় মাল্য নিয়ে জন রাজনীতিতে তার সরব উপস্থিতির কথা সগৌরবে ঘোষনা করেন। রেসকোর্স ময়দানের এক মহা সমাবেশ বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক-স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁ শার্দুল শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পক্ষ থেকে বঙ্গঁবন্ধু উপাধি তিনিই দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিব সম্ভাবনাময় তরুণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদকে প্রতিমন্ত্রীর মর্য্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব নিয়োগ করেছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে যুগোপযোগী নুতন ধারার রাজনীতি এবং বঙ্গঁবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসাবে রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অবদান ও প্রতিভার ছাপ রাখেন। পঁচাত্তোরের পনেরোই আগষ্ট কাল রাত্রিতে ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্ব-পরিবারের নির্মম ভাবে নিহত হলে বানিজ্য মন্ত্রী খন্দকার মুশতাক আহমদ তাঁর ভাষায় পনেরোই আগষ্টের সারথী হয়ে নির্লজ্জের মত মহামান্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ভার নিলে বঙ্গঁবন্ধুর মন্ত্রীসভার একাধিক মন্ত্রী খুনী খন্দকার মুশতাক আহমদ এর মন্ত্রী সভায় যোগ দিলেন, তিন বাহিনীর প্রধান পহপই করে বঙ্গঁ ভবন-রেডিও ষ্টেশনে গিয়ে খুনী মুশতাক সরকারকে সমর্থন জানালেও বঙ্গঁবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব-নির্লোভ ও নির্ভীক মুজিব সৈনিক রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ খুনী খন্দকার মুশতাক আহমদ ও
তাঁর সরকারকে সমর্থন জ্ঞাপন করেন নি, তাঁর সরকারে যোগ দেন নি। সম্ভাবনাময় তরুণ রাজনীতিবিদ জননেতা তোফায়েল আহমদ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী ঘরনার রাজনীতির কঠিন দুর্দিন এবং মহা অগ্নি পরিক্ষার দিনে-পরিক্ষা দিলেন-পাশ করলেন। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদ কারাগারে নীত হলেন, কারা যাতনা ভোগ করলেন, আওয়ামী লীগ পূনর্ঘটনে আত্ব নিয়োগ করলেন, বঙ্গঁবন্ধুর আজীবনের বন্ধু খুনী খন্দকার মুশতাক আহমদ এর ফাঁদে পা দেন নি, তার নব প্রতিষ্ঠিত ডেমক্রেটিক লীগ-ডি, এল, এ যোগ দেন নি। ক্ষমতা ও নিরাপদ জীবনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তোফায়েল আহমদ, মৃত্যো, নির্য্যাতন, অনিশ্চিত জীবনের পথ বেঁছে নিলেন। একজন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবে বিবেকবান দুরদর্শি রাজনীতিবিদ এর দায়িত্বই পালন করলেন।
সেনা সমর্থিত বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারামলে দেশের কতেক রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ীদের উপর গর্দিস-গজব নেমে আসে। দেশের দুই প্রধান দল, আওয়ামী লীগ-বিএনপি’র দুই প্রধান নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আটক হয়ে কারাগারে নীত হন, কারা যাতনা ভোগ করেন। দেশে তিন উদ্দিনের-ওয়ান ইলেভেনের ঝড়ো হাওয়ায় দেশীয় রাজনৈতিক অঙ্গঁন অগোছাল-তছনছ-হয়ে যায়। দেশীয় রাজনীতিতে বিভক্তি-বিভাজন-আস্থাহীনতা-বৃদ্ধি পেতে থাকে। ওয়ান ইলেভেনের ঝড়ো হাওয়া রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ এর গায়েও লাগে-এঁটে দেয় দলের সংস্কার পন্থীতকমা। ফলতঃ দুঃখও দূর্ভাগ্যজনক ভাবে তিনি দলীয় হাই কমান্ডের আস্থা হারান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়েন-তাঁর স্থান হয় অপেক্ষাকৃত গুরুত্ব হীন-উপদেষ্টা পরিষদে।
রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ তাঁর দলীয় সরকারামলে বানিজ্য মন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। দল ও সরকার উভয় দায়িত্ব পালন কালে তাঁর বিরুদ্ধে দূর্নীতি-চাঁদাবাজি-বানিজ্যায়ন-দূবৃত্তায়নের তেমন কোন অভিযোগ শুনা ও দেখা যায় নি। তিনি একজন শক্তিমান সংঘটক। সুবক্তাও।
সুবেশী তোফায়েল আহমদ একজন সুদর্শন, ব্যক্তিও বটেন। ষাট-সত্তোর দশকে তাঁর মাথা ভর্তি আফ্রিকান বব ষ্টাইলের কোকরানো গুয়ামেরী বাবরি চুলে তাঁকে দারুন মানাত- নায়ক রাজ্জাক-রাজ্জাক-লাগত। আমরা তাঁর ভক্ত, সমর্থক ও গুণ গ্রাহী ছিলাম।
বর্তমানে ক্ষমতায় না থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রবীন নেতা দেশের একজন প্রবীনতম রাজনীতিবিদ। দেশে সকল দলে মিলে যে কয়জন সার্বক্ষনিক রাজনীতিবিদ আছেন তিনি তাঁদের অন্যতম। শ্রেণি বিভক্ত ধনবাদি সমাজ ব্যবস্থায় দূর্নীতি-দূবৃত্তায়ন ও ভ্রষ্টারের জোয়ারের মাঝে একজন সার্বক্ষনিক রাজনীতিবিদ-নির্ভীক নির্লোভ ও পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক তোফায়েল আহমদ সেদিন দেশের প্রবীনতম রাজনীতিবিদ- ন্যাপ প্রধান অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ এর স্মরণ সভায় আত্ব প্রত্যায়ের সঙ্গেঁ সু-ষ্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করলেন- বল্লেন- দেশের রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের হাতে নেই।
রাষ্ট্র ও জনগনের কল্যানের জন্য রাজনীতি। রাজনীতি রাজারানীর নীতি নয়-জনগণ নীতির নামই রাজনীতি। রাজনৈতিক সচেতনতা ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া না থাকার কারনে ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর যুদ্ধে বাংলা বিহার উড়িস্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলা সাত চল্লিশ হাজার সৈন্য বাহিনী নিয়েও মাত্র তেত্রিশশত ইংরেজ বাহিনীর হাতে শোচনীয় ভাবে পরাজিত নির্মমভাবে নিহত হন। বাংলার স্বাধীনতা সূর্য্য চীর তরে অস্থমিত হয়। একশত নব্বই বৎসর ব্যাপী বৃটিশ বিরোধী স্বরাজ ও স্বাধীনতা আন্দোলন করেছেন বাংলা ও ভারত বাসী। জনগনের প্রয়োজনে গঠিত হয় নিখিল ভারত জাতীয় কংগ্রেস, নিখিল ভারত মুসলিম লীগ, জমিওতে ওলামায়ে হিন্দ এবং ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টি সমূহ। বৃটিশ বিতাড়ন এবং ভারতীয় আজাদী আন্দোলন একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ফল ও ফসল। পাকিস্তানের পঁচিশ বৎসর বাংলা ও বাঙ্গাঁলির কোন সুফল দেয় নি বিধায় সময়ের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের মহান
স্বাধীনতা আন্দোলন ও একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের ফল ও ফসল। সত্তোর সালের সাধারণ নির্বাচনে সমগ্র দেশ ও জাতি বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ নিরংকুশ সমর্থন জানালেও পাক ফৌজি প্রেসিডেন্ট জেনারেল এ.এম.ইয়াহিয়া খাঁন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে টাল বাহানা শুরু করতঃ আলোচনার নামে সময় কর্তন করতঃ পঁচিশ মার্চের কাল রাত্রিতে অপারেশন সার্চ লাইট- নামে নিরস্ত্র বাঙ্গাঁলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের নামে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শুরু হয় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের ফলও ফসল। পাকিস্তানী পঁচিশ বছরের শাসনামলে পাকিস্তানের প্রাষাদ যঢ়যন্ত্রী ক্ষমতা লিপ্সু কায়েমী স্বার্থ বাদীগোষ্ঠী এভডো, প্রডো, ডি.পি.আর জাতীয় কালা কানুন জারী করে রাজনৈতিক দল সমূহকে বিকশিত হতে দেয়নি। জাতির প্রয়োজনে চুয়ান্ন সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তিন নেতা-হক-সোহরাওয়ার্দী ভাষানীর নের্তৃত্বে যুক্তফ্রন্ট-গঠিত হলে বিজয় লাভ করলে ও ক্ষমতা ভোগ করতে পারেনি বাংলা ও বাঙ্গাঁলী । ৯২-ক ধারা জারী করে যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল করে কেন্দ্রীয় সরকার। একুশ-চুয়ান্নের পথ ধরে ধাপে ধাপে বাঙ্গাঁলী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে সংঘটিত করে তুলেন তরুণ নেতা বঙ্গঁ শার্দুল শেখ মুজিব। আওয়ামী লীগ এর দায়িত্বভার নিয়ে শেখ মুজিব চারনের বেশে সাড়া বাংলা ঘুরে বেড়ান বাঙ্গাঁলী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভিতকে মজবুদ করে তুলেন। ছেষট্টি সালে পূর্ণ প্রাদেশীক স্বায়ত্ত শাসনের দাবি সম্বলিত ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করলে বাঙ্গাঁলীর মুক্তি সনদ হিসাবে স্বীকৃতি পায়। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন আমলে বাঙ্গাঁলীর এই নব জাগরন ছিল বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ফল ও ফসল। ষাটের দশকের আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকেই আওয়ামী লীগের বঙ্গঁবন্ধুর আন্দোলন সংগ্রামকে সংগঠিত করতে হত। কারণ তখন বঙ্গঁবন্ধু সহ সকল নেতাই কারাগারে। একমাত্র নেত্রী আমিনা বেগমকেই আওয়ামী লীগের অন্ধকার অফিসে বাতি জ্বালাতে হয়। ষাটের দশকের ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ আন্দোলনের সংগ্রামে মূখ্য ভূমিকা রাখতেন। আমি ষাটের দশকের ছাত্রলীগ কর্মী-সংগঠক। বাষট্টি সালে মেট্টিক ক্যেন্ডিডেইট ছিলাম। আমরাই ছিলাম শেষ ব্যাচ। বাষট্টি সালে শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্র হত্যার বিচার চাই-বলে সেই যে মিছিলে যোগ দিয়েছিলাম-জীবন সায়াহ্ণে-এই পড়ন্ত বেলায় ভাঁঙ্গা পা ভগ্ন হৃদয় নিয়ে মিছিলে যেতে না পারলেও পরিপূর্ণ ভাবে মিছিলের মায়া পরিত্যাগ করতে পারিনি। মিছিলে আমি নিজেই শ্লোগান দিতাম। দূঃসাহস ও দীর্ঘদেহের কারণে আমার উচ্চ কন্ঠের শ্লোগান দৃশ্যমান ও আকর্ষিত হত। সেই সময়কার শ্লোগান গুলোর মধ্যে জয় বাংলা বীর বাঙ্গাঁলী অস্ত্রধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর, জেলের তালা ভাঙ্গব শেখ মুজিবকে আনব ই-ছিল প্রধান। আমি ঐ দশকের প্রথমে মৌলভীবাজার কলেজ শাখা অতঃপর মহকুমা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাহচর্য্য ও সংস্পর্শে যাবার সুযোগ লাভ করি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ভ্রাতৃবৎ ¯েœহ মমতা করতেন-এখনও করেন। সিরাজুল আলম খান, আশমরব, শাহজাহান সিরাজ প্রমূখের সঙ্গে এখনও আমার যোগাযোগ ও সম্পর্ক আছে। সেকালে কেডার-গড ফাদার প্রথা ছিল না, আমরা ছিলাম নেতাদের ওয়ার্কার, তারা ছিলেন আমাদের লিডার-এল্ডার ব্রাদার। সেকালে চাঁদাবাজী-ধান্দাবাজী ছিল না। দেখেছি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ চারআনা ছ’ আনায় পপুলার-আনোয়ারা রেস্টুরেন্টে ডাল ভাত খেয়েছেন। রিক্সা-বাসে যাতায়াত করতঃ সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। এ কালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজী করেন, ছ’ আনি লাঞ্চ-ডিনার নয় সোনার গাঁ সেরাটনে- পাঁচ তারকা হোটেলে ছ’হাজার টেকি প্যেকেট লাঞ্চ-ডিনার প্যেক আনান। রিক্সা বাস নয় কোটি টাকার প্রাডো-পাজেরো হাঁকান। সাম্প্রতিক কালে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি প্রশ্নবিদ্দ পদ বানিজ্য ও মনোনয়ন বানিজ্য ওপেন সিক্রেট। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ ও ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার দীর্ঘদিন যাবত বানিজ্যয়ান- দূবৃত্তায়ন এর বিরুদ্ধে অনবরত বলছেন- লিখছেন, কিন্তু কে শুনে কার কথা। ভ্রষ্টাচারের জোয়ারে কালোবাজারি ব্যাংক লুটেরা, চাঁন্দাবাজ-ধান্দাবাজ এর দল ক্যোসিনো কালচারে মাতোয়ারা নিরীহ নাগরিক দিশেহারা। এমন মহাক্রান্তি কালে মহান আল্লাহ, মহামান্য হাই কোর্ট, দুদুক এবং এলিট ফোর্স র্যাব-ই-ভরসা । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করলেও দূর্নীতিবাজ-রা এখনও বেপরোয়া। র্যাব এর ক্যেসিনো বিরোধি ঢাকা অভিযানে দেশ ও জাতি আনন্দিত। আশাবাদী- সুবাতাসের অপেক্ষায়। উসমানী উদ্যান মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্র ক্লাবে র্যাব এর অভিযানে জোয়ার আসর, বিদেশী মদ, নেতাদের ছবি জোয়ারিদের উপাসনা গৃহ মসজিদ-মন্দির দেখে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাাবে আমি ব্যতিত। একটি ক্রীড়া চক্রের এটাত ক্রীড়া কার্য্যক্রম নয়। সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী মোতাবেক এ দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, দেশের নব্বই শতাংশের অধিক মুসলমান, প্রায় নিরান্নব্বই ভাগ মানুষ, ধর্মানুরাগি-ধর্ম প্রাণ- এ দেশের রাজধানীতে জুয়ার আসর- মদ এর মেলা, নির্লজ্য নারীদের অশ্লীল আস্ফালন দুঃখ জনক রাজধানী ঢাকায় মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী র্যাব এর আন্তরিক অভিযানে দেশবাসী আশান্বিত-আশাবাদি। দূর্নীতি-দূবৃত্তায়নের দৃশ্য দেখে দেশ বাসী হতাশ।
দেশীয় রাজনীতির এই জটিল পঙ্কিল অবস্থার মাঝে রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ এর এমন কঠিন উচ্চারণ- সৎ সাহসেরই পরিচায়ক-দূঃ-সাহসী ঘোষনাও বটে। তাঁর এই উচ্চারণ মোতাবেক রাজনীতি এখন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ এর সদস্য তোফায়েল এর হাতে ও নেই, যা যে কোন মতেই কাম্য নয়।
রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ ষাট-সত্তোর দশকে আমার নেতা ছিলেন- এখন ও তিনি আমার অগ্রজ-মুরব্বি। আমাদের কালে গুরু মারা বিদ্যা ছিল না, এতদিন পর আমাকে তাঁর মনে থাকার-রাখার কথা নয়, তিনি আমার বয়োঃজ্যেষ্ট গুরু জন হিসাবে তাঁর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে-ধরম দেখব না ইলফি করব না, পরিহাস করে বলব না, একি কথা শুনি আজ মহ্ণরার মুখে-কিংবা মাইকেল মধুসুদন দত্তের কালজয়ী কাব্য গ্রহ্ণ-মেঘনাদবধ- এর অনুসরণ-অনুকরনে-এত দিনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে-”। একজন মাননীয় প্রতিমন্ত্রীসহ সর্বদলীয় রাজনৈতিক- জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এমন স্পষ্ট উচ্চারন ও সত্য কথনের জন্য তাঁকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁর স্বুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ূ ও কল্যান কামনা করি।
[ষাটের দশকের ছাত্রলীগ কর্মি। মুক্তিযোদ্ধা। কলামিষ্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]
মন্তব্য করুন