প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ড প্রদানে বড়লেখায় সিওরক্যাশ এজেন্টেদের বিরুদ্ধে চার্জের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ
আব্দুর রব॥ বড়লেখায় সিওরক্যাশ এজেন্টদের বিরুদ্ধে প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের স্টাইপেন্ডের টাকা প্রদানে চার্জ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা প্রদানে গণহারে মাথাপিছু ২০ টাকা করে কেটে নিয়েছে। রূপালী ব্যাংক থেকে বৃত্তির টাকা প্রাপ্তির মোবাইল ম্যাসেজ পেয়ে তা উত্তোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত অঙ্কের কম নিয়েই বাড়ি ফিরেছে। বৃত্তির সামান্য টাকা থেকে চার্জ কেটে রাখায় দরিদ্র শিক্ষার্থীরা চরম হতাশ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানালেন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে এজেন্টর একটি টাকাও কেটে নেয়ার কথা নয়।
জানা গেছে, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ও ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে সরকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রথা চালু করেছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রূপালী ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (সিওরক্যাশ) মাধ্যমে ৩ মাস অন্তর স্টাইপেন্ডের টাকা প্রদান করে। প্রাক প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রতি ৩ মাসে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পেয়ে থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শিক্ষার্থীদের স্ব মোবাইল নম্বরে এ টাকা প্রেরণ করে। রূপালী ব্যাংক সোমবার টাকা সেন্ড করার পর শিক্ষার্থীরা সিওরক্যাশ এজেন্টের নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চার্জের নামে ২০ টাকা কেটে রাখে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক আব্দুল জব্বার, দেলোয়ার হোসেন ও আব্দুল বাছিত জানান দক্ষিণভাগ বাজার ও শাহাবাজপুর বাজারের সিওরক্যাশ এজেন্ট ১০০ থেকে ৩০০ টাকা উত্তোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে চার্জের নামে গণহারে ২০ টাকা করে কেটে রেখেছে। যা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা শুনেছি এজেন্টের কমিশন ব্যাংক দিয়ে থাকে। কিন্তু তারা চার্জের নামে ২০ টাকা করে আদায় করেছে।
রূপালী ব্যাংক লিমিটেড আজিমগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মিন্টু দে জানান, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মোবাইল একাউন্টে উপ-বৃত্তির টাকা প্রেরণ করা হয়েছে। এজেন্ট একটি টাকাও কেটে রাখার কথা নয়। শিক্ষার্থীর নিকট থেকে কোন টাকা আদায় করে থাকলে তা প্রতারণা করেছে। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
মন্তব্য করুন