প্রাচীন ভারতের রাজপুত জাতি: রাজপুত রাজা ও রানী সেকাল থেকে এ কালের কথা ও কাহিনী 

June 29, 2017,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ বিশ^বিখ্যাত বৃটিশ ইতিহাসবিদ ভিনসেন্ট স্মিথ এর ভাষ্যানুসারে প্রাচীন ভারত বর্ষ একটি নৃ-তাত্বিক যাদুশালা। ভারতের ধন সম্পদ, অপরূপ প্রাকৃতিক নিসর্গ, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া ও জলবায়ু এবং ভারতবাসির মায়ায় বিমুগ্ধ হয়ে যুগে যুগে এদেশে এসছেন বিভিন্ন জাতি। উপজাতি। আরব-অনারব-মোঘল-পাঠান-আর্য্য-অনার্য্য-রাজপুত জাতি উপজাতির আগমন ও বসতি স্থাপনে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ হয়েছে। ভারতের ইতিহাস ঐতিহ্য মন্ডিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতে আগত জাতি সমূহের মধ্যে রাজপুতগন প্রাচীন ও বীরের জাতি। জাত যোদ্ধা রাজপুত গনের ভারত আগমন- রাজ্য শাসন এবং জাতিগত ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে গবেষক ও ইতিহাসবিদ দের মধ্যে মত পার্থক্য আছে। ইতিহাসবিদ লেখক গবেষকদের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও সকল মত পথের ভাষ্যানুসারে রাজপুত গন বীরের জাতি। জাত যোদ্ধা। অহংকারি। জাত্যাভিমানি। নিষ্টুর। উদ্দত। মুঘল স¤্রাজ্যের সোনালী অধ্যায় এর লেখক সাহদত হোসেন খান এর মতে- তাঁদের অধিকাংশ ছিল মধ্য এশিয়া থেকে ভারতে অভিবাসী প্রাচীন আইলা ও ইকসভার রাজ পরিবারের বংশধর। তবে গুহিলা চৌহান ও পারমাররা ছিল মূলত ব্রাহ্মন। রাজপুতদের পরবর্ত্তী প্রজন্ম আন্ত: বিয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের স্থানীয় জনগনের সঙ্গেঁ একাকার হয়ে যায়। ”

রাজপুত-সংস্কৃত-রাজ্যপুত্র- শব্দ থেকে আগত। সনাতনি ধর্ম্মগ্রন্থ প্রাচীন বেদ, রামায়ন এবং মহাভারতে রাজ্য পুত্র শব্দের অস্থিত্ব বিদ্যমান। চতুর্থ শতাব্দীর খ্যাতিমান পন্ডিত ও সংস্কৃত ব্যকরন বিদ -পানিনি- রাজ্য পুত্র শব্দ ব্যবহার করতেন বলে জানা যায়। সনাতনি ভগবান ও অবতার শ্রী শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃ সৃত বানী গীতা মতে- “চতুর বনং ময়া সৃষ্টং গুনকর্মায়ং- গুন বিভাজস্য”- মানুষের কর্মে পেশার ভিত্তিতে মানুষকে ১. ব্রাহ্মন, ২. ক্ষত্রিয়, ৩. বৈশ্য, ৪. শুদ্র এই চার ভাগে ভাগ করেছেন। একনম্বর অবস্থানে অবস্থিত ব্রাহ্মন সমাজের কাজ ধর্ম্ম, কর্ম্ম, পূজা, পার্বন পরিচালনা করা যুদ্ধ বিগ্রহ রাজ্য শাসন নয়। সনাতনী সমাজে যোদ্ধা ও শাসক শ্রেনীকে ক্ষত্রিয় বলা হয়। ক্ষত্রিয় দের থেকে রাজকীয় যোদ্ধাগনকে স্বতন্ত্র অবস্থানে স্থান ও সম্মান দেয়ার জন্য রাজ্য পুত্র ব্যবহৃত হত। ক্রমাগতভাতে রাজ্যপুত্র ব্যবহার ও বলার সুবিধার জন্য রাজ্যপুত্র রাজপুতে রূপান্তরিত হয়।

ড. ভি.এ. স্মিথের মতে- “রাজপুতরা একটি মিশ্র জাতি। তাঁদের কেউ কেউ গুরজর ও হুনদের মত বহিরাগত আক্রমণকারীদের পরবর্তী বংশধর এবং অন্যরা হলো গোন্দা ও ভায়ার মতো প্রাচীন গোত্র গুলির বংশ।” রাজপুত ক্ষত্রিয় হিসাবে বিবেচ্য যথা বুন্দেলা, চান্দেলা  রাঠোর ইত্যাদি।

রাজপুতগন অবশ্য নিজেদেরকে সগৌরবে সূর্য্যবংশী, চন্দ্রবংশী, অগ্নিবংশী এবং যুগবংশী হিসাবে পরিচয় দিয়ে গর্ব বোধ করেন।

প্রাচীনকালে রাজা প্রতাপসিং রাজস্থানে এসে বসতি স্থাপন করতঃ শতদ্রু নদীর তীরবর্তী স্থানে বাথিন্দায় দূর্গ নির্ম্মান করত: বাথিন্দাকেই রাজ্যের রাজধানী ঘোষনা দিয়ে রাজ্য বিস্তারে মনোনিবেশ করেন। প্রতাপ সিং পেশোয়ার পর্য্যন্ত দখল করে এক বিশাল স¤্রাজ্য স্থাপন করেন। দশম শতাব্দী পর্য্যন্ত রাজপুতগন সগৌরবে পাঞ্জাব শাসন করেন।

জাতযোদ্ধা, অসীম সাহসী, জাত্যাভিমানি রাজপুত জাতি প্রাচীন ভারতবর্ষের মধ্য যুগ পর্য্যন্ত একচ্ছত্র রাজশক্তি হিসাবে শান শওকত মান মর্য্যাদার সঙ্গেঁ রাজ্য শাসন করতে থাকেন। রাজপুত রাজ শক্তির মোকাবিলা করার জন্য মুসলিম জাতি ছাড়া কেহ ছিলেন না। ক্রমাগত মুসলিম অভিযানে রাজপুত রাজাগনের নির্বিবাদে রাজ্য শাসন প্রশ্নও হুমকির সম্মুখীন হয়। সপ্তম শতাব্দীতে মোহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয়ে রাজপুতগন শংকিত হন। স্বেচ্ছায় ধর্ম্মান্তরিত হতে থাকেন। দশম শতাব্দীতে গজনীর সুলতান মাহমুদ বারংবার সতেরো বার উত্তর পশ্চিমে ভারত আক্রমন করে রাজপুত রাজাগনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তছনছ করে দেন। ১১৯২ সালে গজনীর সুলতান শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ঘোরী দিল্লির সর্বশেষ রাজপুত রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহানকে পরাজিত করে মধ্য ভারতে মুসলিম শাসনের শুভ সূচনা করেন। রাজপুত রাজত্বের অবসান ঘটান।

প্রাচীন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছিল বরাবরই উর্ভর ভূমি। এই অঞ্চল ব্যাপী রাজপুতদের রাজ্য পাঠ-জনবসতি। ভারতবর্ষে বহিরাগত অভিযান কারি গন ভারতের উত্তর পূর্ব দিক দিয়ে ভারতে অভিযান চালাতেন। রাজপুতগনকে আরব, মোঙ্গঁল, মুঘল, তুর্কি, আফগান হামলার মুকাবিলা করতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গেঁ ষ্ট্যোনলি উলপার্ট তাঁর ঘবি ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ওহফরধ- তে বলেন -“ঞযব জধলঢ়ঁঃং বিৎব ঃযব াধহমঁধৎফ ড়ভ ঐরহফঁ ওহফরধ রহ ঃযব ভধপব ড়ভ ঃযব ওংষধসরপ ধহ ঝষধঁমযঃ”-   ইসলামী আগ্রাসনের মুখে রাজপুতরা ছিল হিন্দু ভারতে অগ্রবর্তী সারিতে।

ঝঃধহষু টষঢ়ধৎঃ এর মত একজন ইতিহাসবিদ এবং ঘবি ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ওহফরধ এর মত গ্রন্থ প্রসঙ্গেঁ মন্তব্য করা কঠিন, জটিল ও বিব্রতকর বিষয়। এই অভিযান আগ্রাসনকে ইসলামি আগ্রাসন না বলে মুসলিম অভিযান বলাই ভালো হত। কারন ইসলামি শাসন ও মুসলিম শাসন এক জিনিস নয়। ভারতবর্ষে কোন কালেই ইসলামী শাসন ছিলনা, মুসলিম শাসন ছিল।

দিল্লি সালতানাতের মহাপরাক্রমশালী শক্তিমান শাসক ও বীর যোদ্ধা সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির সাড়াসী ও উপর্যুপুরি আক্রমনের সম্মুখীন হন ভারতীয় বীর রাজপুত জাতি। সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি ১৩০১ সালে রন থম্বোর, ১৩০৩ সালে চিতোর, ১৩০৫ সালে মান্দু এবং সম্পদশালী হিন্দু রাজ্যদেব গিরি অভিযান করতঃ বিজয়ী হলে রাজপুতদের মধ্যে ভিতির সঞ্চার হয়। ১৫২৬ সালে পানি পথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লি সালতানাতের লোদী বংশীয় শেষ শাসক ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করে তুর্কী বীর বাবর ভারতে মুঘল স¤্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। মুঘলদের রাজপুত নীতি ছিল ভিন্ন ধর্মি ও ব্যাতিক্রমি। শক্তি নয় সমঝোতা ও সম্প্রিতির মাধ্যমে রাজ্য শাসনের নীতি গ্রহন করেন ভারতের মুঘল সম্রাট গন। এ ব্যাপারে মুঘল স¤্রাট আকবর অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। বীর যোদ্ধা আকবর আত্বীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করেন রাজপুতগনকে। অনেক রাজপুত রাজকন্যা মুঘলহেরেমে মহারানী হিসাবে মুঘল হেরেমকেই শুধু আলোকিত করেন নি রাজ্য শাসনেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছেন। আকবর নিজে রাজপুত রাজকন্যা বিয়ে করেছেন। পুত্র স¤্রাট জাহাঙ্গীঁরকেও রাজপুত রাজ কন্যার সঙ্গেঁ বিয়ে দিয়েছেন। রাজপুত রাজা মানসিং ছিলেন স¤্রাট আকবর এর পরমাত্বীয় বিশ^স্থ বন্ধু ও যোগ্য সেনাপতি।

ক্রমাগত মুঘল-মুসলিম অভিযান এবং শিখ-মারাঠা জাতির উত্থানে ক্রমশ শক্তিশালী রাজপুত জাতির শক্তি লোপ পেতে থাকে। আত্বহনন এর মত অমানবিক পাশবিক ও পৈশাচিক কর্ম্মকান্ড ‘সাকা’ ও ‘জোয়াহার’ ও রাজপুত জাতিকে বাঁচিয়ে-টিকিয়ে রাখতে পারেনি। জাত্যাভিমানী ও জেদী রাজপুত পুরুষদের আত্বহনন সাকা এবং মহিলাদের আত্বহনন জোয়াহার নামে অভিহিত হত। রাজপুত গন জেদী এবং মুসলিম বিদ্বেসি হলেও বিজয়ী মুসলিম শাসকগন ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়ীক, পরধর্ম সহিষ্ণু এবং সংবেদনশীল। সেই দ্বাদশ শতাব্দিতে দিল্লির শেষ রাজপুত রাজা পৃথ্বিরাজ চৌহানের তিনলক্ষাধিক সেনাবাহিনীকে হারিয়ে গজনীর সুলতান মোহাম্মদ ঘোরী এবং দিল্লীর দাস বংশীয় প্রথম শাসক কুতুব উদ্দিন আইবেকের নমনীয় মনোভাব ও ধর্মীয় সহানুভূতি ও সহনশীলতার প্রমান মেলে – “হিমু দি হিন্দু হিরো অব মেডাইবেল ইন্ডিয়া-য়-” “এযড়ৎর পড়হঃরহঁবফ ঃযব ভরমঁৎবং ড়ভ ঃযব মড়ফফবং খধশংসর ড়হ যরং পড়রহং, কঁঃঁনঁফফরহ অরনবশ ধষষড়বিফ ঃযব জধলঢ়ঁঃ ঢ়ৎরহপবংং ড় ৎঁষব ড়াবৎ ফবষযর, ধলসরৎ ধহফ মধিষরধৎ বাবহ ধভঃবৎ ঃড় পড়হয়ঁবংঃ ড়ভ ঃযড়ংব ৎবমরড়হং-”

রাজপুত জাতি প্রসঙ্গেঁ সাধারন্যে স্বচ্ছ ধারনা নেই। এই রহস্যময় বীরের জাতির মধ্যে হিন্দু, মুসলমান, শিখও আছেন। একটি তথমতে ১৯৩১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী উপমহাদেশে হিন্দু রাজপুত ছিলেন ৮৬ লক্ষ, মুসলিম রাজপুত ২১ লক্ষ এবং শিখ রাজপুতের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার।

সম্ভ্রান্ত সম্মানিত ও জাত্যাভিমানী জাতি রাজপুতগন মুঘল আমলে যেমনি অভিযানের সম্মুখীন হয়েছেন ঠিক তেমনি সুযোগ সুবিধাও পেয়েছেন। মুঘল সস¤্রাটগন মুসলিম রাজপুতগনকে নবাব, খান, মালিক, চৌধুরী, মির্জা, ইত্যাদি সম্মান সূচক খেতাব দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন। যুগবংশী ধর্ম্মান্তরিত মুসলিম রাজপুতগন পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশে বসবাস করতেন। এরা নামের শেষে জানজুয়া পদবী ধারন করতেন। পাক সেনা প্রধান আসিফ নেওয়াজ জানজুয়া একজন মুসলিম রাজপুত। একাত্তোরের নরঘাতক জেনারেল টিক্কা খান, চট্টগ্রামে কর্মরত অষ্টম বেঙ্গঁল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আব্দুর রশিদ জানজুয়া ছিলেন মুসলিম রাজপুত। অষ্টম বেঙ্গঁল রেজিমেন্টের সেকেন্ড ইন কমান্ড তৎকালীন মেজর জিয়া উর রহমান (পরে মেজর জেনারেল। মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এই চট্টগ্রামেই একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে শহীদ) মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ঘোষনা দিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্ন করতঃ কর্নেল জানজুয়াকে গ্রেফতার করেন।

পাকিস্তানী মুসলিম রাজপুত সেনাকর্ম কর্তাগন একাত্তোরের মহান মুক্তি যুদ্ধের সময় যুদ্ধের নিয়ম নীতি, কায়দা, কানুন, পরিহার করে বাঙ্গাঁলি গন হত্যায় মেতে উঠেছিলেন। হীন মন্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন।

রাজপুত রাজ্য, রাজপুত রাজা-রানী কিংবা মেবারের মহারানা প্রতাপসিং, রাজা মানসিং এখন স্থান নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। রাজপুতদের দেশপ্রেম বীরত্ব, ত্যাগ, তিতিক্ষা, যুদ্ধ বিগ্রহের, সাকা, জোয়াহার এর অমর কাহিনী নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক ইতিহাস। নির্মিত হয়েছে একাধিক বিখ্যাত চলচিত্র। মোঘলে আজম, যোধা আকবর, আকবর দি গ্রেট উপমহাদেশীয় চলচিত্রের ঐতিহাসিক সংযোজন। রাজপুত রানী পদ্বাবতির রূপগুনের অপরূপ কথা ও কাহিনী এখনও উপমহাদেশীয় পাঠক কূলকে আবেগে আপ্লুত করে, চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে। হলিউড, বলিউড খ্যাত বিখ্যাত চিত্রনায়িকা দিপীকা পাডুকনকে নিয়ে নির্ম্মিত হচ্ছে মহারানী পদ্বাবতীর কর্ম্ম ও জীবনদর্শন সংক্রান্ত ছায়াচিত্র। ইতিহাস ঐতিহ্য সচেতন ভারতীয় পাঠক-দর্শক রাজপুত মহারানী পদ্বাবতীকে অবমূল্যায়ন-ইতহাস বিকৃতি বিবেচনায় ফুঁসে উঠেছেন। পদ্বাবতীর সুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন। ইতিহাস ঐতিহ্য সচেতন ভারতীয় জনতার এই ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রীতি শিক্ষনীয় বটে।

রাজপুত রাজা নাই, রানী নাই, আছে শুধু কথা ও কাহিনী। এই কথা ও কাহিনী বেঁচে থাকবে-টিকে থাকবে অনাদি অনন্ত কাল। লোকান্তরিত রাজপুতগনের বিদেহী আত্বার শান্তি, সদগতি, মাগফিরাত কামনা করছি।

লেখক : মুজিবুর রহমান মুজিব ষাটের দশকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র। সত্তোর দশকে ইতিহাসের কলেজ শিক্ষক। সিনিওর এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। মুক্তিযোদ্ধা।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com