ফলোআপ-কুলাউড়ায় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তোলপাড় আরেক প্রধান শিক্ষক দু’ঘন্টা অবরুদ্ধ
এইচ ডি রুবেল॥ কুলাউড়া উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা আরেকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দু’ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। এদিকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা যায়, ২৫ জুলাই সোমবার সকাল প্রায় ১১ টায় অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন লোকজন বিষয়টি জেনে গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়ো হন। ২ ঘন্টা স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অফিসে আটকে রাখেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি মিথ্যা বলে অভিভাবকদের জানান। কিন্তু সচেতন অভিভাবকরা উপবৃত্তির চাহিদাপত্র ও উপবৃত্তি প্রদানের তালিকা দেখতে চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা দেখাতে ব্যর্থ হন। তিনি তা ব্যাংকে রয়েছে বলে জানান। ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আনফর আলী মধুর মধ্যস্থতায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ২৫ জুলাই সোমবার সকাল ১১ টায় বিষয়টি সুরাহা করার জন্য প্রধান শিক্ষককে সময় বেঁধে দেন। গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শওকতুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উপবৃত্তি বিতরণকারী অগ্রণী ব্যাংক সুত্র জানায়, গৌড়করণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫০ টাকা প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১শ টাকা বিতরণ করা হয়। উপবৃত্তির চাহিদার কপি প্রধান শিক্ষকের কাছে সংরক্ষিত থাকে। তারাই এর একটা কপি শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে ব্যাংকে পাঠায়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন। এদিকে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফ উল ইসলামের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। ২৫ জুলাই সোমবার কানাইটিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য কুলাউড়া উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষা অফিসার ও ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।
মন্তব্য করুন