ফলো আপ: ২য় বিয়ের অনুমতি না দেয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম : অবশেষে তিন দিন পর থানায় মামলা গ্রহন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ ২য় বিয়ের অনুমতি না দেয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আধকানী গ্রামের ৪ সন্তানের জননীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অবশেষে তিন দিন পর অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে কমলগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ। রোববার ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটলে রাতেই কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এ বিষয়ে ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সহবিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।
২১ জুলাই বৃহস্পতিবার মামলার বাদী নির্যাতিতা ৪ সন্তানের জননী হাসনা বেগমের বাবা দিনমজুর বরকত আলী ও আত্মীয় আলম হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বিকেলে কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আজিজুর রহমান সরেজমিন তদন্ত করেছিলেন। তদন্ত সরেজমিন তদন্ত করে স্বাক্ষ্য গ্রহনের পরও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করেনি। এ বিষয়ে জেলার উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলা হলে পরবর্তীতে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করা হয়। আলাপকালে দিনমজুর বরকত আলী জানান, মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তার মেয়েকে টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র কিনে দিতে পারছেন না। ফলে তার সুচিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটেছে। প্রতিদিন ১৫০০ টাকার ইনজেকশন ও ঔষধপত্র প্রয়োজন হয়। অবশ্য মানবাধিকার কমিশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ হাসনা বেগমকে হাসপাতালে দেখতে এসে একদিনের ঔষধপত্র দিয়ে যান।
এ দিকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সহ সভাপতি আফজাল হোসেনের নের্তৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সরেজমিন তদন্ত শেষে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত জননীকে দেখতে যান। বৃহস্পতিবার বিকালে কমলগঞ্জ উপজেলা মহিলা পরিষদ এর একটি প্রতিনিধিদল আহত চিকিৎসাধীন গৃহবধূ হাসনা বেগমকে দেখতে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান।
মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন মামলা গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন সুষ্ঠু তদন্তক্রমে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মন্তব্য করুন