ফুলতলা বশিরউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ঘোস বাণিজ্যে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসির মানববন্ধন
আব্দুর রব॥ জুড়ী উপজেলার ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুস বাণিজ্যে চূড়ান্ত নির্বাচিত প্রধান শিক্ষক প্রার্থী নজরুল ইসলামের নিয়োগ বাতিলের দাবীতে এলাকাবাসি, স্কুলের শিক্ষক অভিভাবকবৃন্দ ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল এগারোটায় স্কুলের প্রধান ফটকের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
শনিবার গনমাধ্যমে ‘জুড়ী ফুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হলে স্থানীয়ভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষোভ ও অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ এলাকাবাসি ও বিদ্যালয়ের শুভাকাংখিরা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ১৯৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলটির যতেষ্ট সুনাম রয়েছে। বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ কতিপয় সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলে স্কুলটিকে অনিয়ম-দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করে রেখেছেন। অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে অযোগ্য ও অদক্ষ এক ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটিতে ধ্বংসের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। গত ২৬ জুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে নিয়োগ পরীক্ষায় মারাত্মক জালিয়াতির অভিযোগ স্বত্ত্বেও কমিটির দুর্নীতিবাজরা তড়িগড়ি করে পরের দিন গত ২৭ জুন নিয়োগ অনুমোদন দিয়ে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে সরকারি ছুটির দিন গত ২৯ জুন শনিবার নিয়োগপত্র প্রদান করেন। যা নজিরবিহীন। বন্ধের দিন স্কুল খোলে তারা অসৎ উপায়ে নিয়োগ দেওয়া প্রার্থীকে নিয়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এসময় কমিটির শিক্ষানুরাগি সদস্য অফিসে ঢুকে প্রতিবাদ জানালে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুক আহমদ তার সাথে অসদাচরণ করে অফিস থেকে বের করে দেন।
মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, শিক্ষানুরাগি সদস্য নাজমুল আলম লিজন, প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমান অভিভাবক শাহিন আহমেদ, সাবেক ছাত্র ও বর্তমান ইউপি সদস্য স্বপন মল্লিক, প্রাক্তন ছাত্র ইফতিহার আহমদ মনি, হাসানুজ্জামান হাসাদ প্রমুখ।
এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুক আহমদ জানান, নিয়োগ বোর্ডে জেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা ছিলেন। নিয়োগ তার একার কোনো বিষয় ছিল না। নিয়োগ অত্যন্ত স্বচ্ছ হয়েছে। তবে তড়িঘড়ি করে যোগদানের বিষয়, পরীক্ষার খাতা টেম্পারিং ও কমিটির শিক্ষানুরাগি সদস্যের সাথে অসদাচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন না বলে জানান।
মন্তব্য করুন