ফ্রান্স প্রবাসী মৌলভীবাজার উদ্যোগে মেয়র প্রার্থী, ফজলুর রহমান এর সমর্থনে, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ফয়ছল মনসুর॥ মৌলভীবাজার পৌর সভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী, জননন্দিত বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান এর সমর্থনে,
ফ্রান্স প্রবাসী মৌলভীবাজার জেলাবাসীর উদ্যোগে গতকাল এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আকরাম খান এর সভাপতিত্বে এবং ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সেলিম ওয়াদা শেলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে জননন্দিত বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান ছাড়া ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স আওামীলীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম এ কাশেম. প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা দেলোয়ার হোসেন কয়েছ, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগ. সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমেরিকা প্রবাসী সোহান আহমদ টুটুল. ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মৌলভীবাজার জেলার সাবেক ছাত্রনেতা বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর. মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন রুহুেল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মাহমুদূর রহমান. লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা সুয়েব আফজাল. ও ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর যুবনেতা খায়রুল আলম লিংকন।
এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল তায়েফ, হাসান সিদ্দিকি, সাবেক ছাত্রনেতা এস এস চাঁন রহমান. ফ্রান্স যুবলীগ নেতা আজাদ উদ্দিন মিজানুর রহমান মিজান কামরুল হাসান সেলিম শাওন সহিক
ফ্রান্স ছাঃত্রলীগ নেতা আশরাফুর রহমান, ছাাত্রলীগ নেতা জাসাদুল ইসলাম ইমন শামীম আহমেদ, ইমরান আহমেদ দিলওয়ার হোসেন সহ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ এবং মৌলভীবাজার প্রবাসী নেতৃবৃন্দ। সভায় সকল বক্তারা বিগত দিনের মৌলভীবাজার পৌরসভার অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করে পৌরসভার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের বিকল্প নেই উল্লেখ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সূদুর প্রসারী পরিকল্পনাকারী জননেতা ফজলুর রহমান পুনরায় মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পর্যটন শহর হিসেবে মৌলভীবাজার পৌরসভাকে গড়ে তুলবেন এই আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন
এখানে উল্লেখ্য যে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মৌলভীবাজার পৌরসভা সারা জেলায় মধ্যে একটি আলাদা গুরুত্ব বহণ করে। তিন উপজেলায় নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় জেলা সদরের পৌরসভা নিয়ে জনমনে বাড়তি আগ্রহ দেখা দিয়েছে। পৌরসভা স্থাপিত হওয়ার পর থেকে নিজ কর্মগুণে যে কয়জন চেয়ারম্যান ও মেয়র নাগরিকদের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম তিনি। তাঁর হাত ধরেই পৌরসভা আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে। তাই বেশিরভাগ নাগরিকরাই মনে করেন বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের বিকল্প নাই।
গত পাঁচ বছরে রাস্তাঘাট প্রশস্থকরণ ও নির্মাণকাজ, কোদালী ছড়া, পৌর ঈদগাহ, সুপেয় পানি, প্রবীণাঙ্গন ইত্যাদি ক্ষেত্রে পৌরসভায় যে উন্নয়ন কাজ হয়েছে তা ধরে রাখতে ফজলুর রহমানের ধারাবাহিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন পৌর নাগরিকরা। অনেকেই মনে করেন, সৈয়দ মহসীন আলী, মাহমুদুর রহমান এদেরই প্রতিফলন ফজলুর রহমান। শহরকে সাজাতে আধুনিক করতে এই দুজনের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছেন তিনি।
শুধুমাত্র রাজনীতিবিদই নন তিনি। তাঁর সময়ে সবচেয়ে বেশি শোভাবর্ধন হয়েছে পৌর এলাকার। শহরের শোভাবর্ধনে তাঁর জুড়ি নেই একথাটি নিন্দুকেরাও স্বীকার করে থাকেন। সৌন্দর্যপ্রিয় এই মানুষটির হাত ধরে নির্মিত হয়েছে একটি প্রবীণাঙ্গন। সেবক মনের এই মানুষটির হাত ধরে ইতিমধ্যে নির্মিত এই প্রবীণাঙ্গণে এই সকাল বিকেল ফুল ফোটে, নবীন ও প্রবীনরা আরাম আয়েশে হাঁটাচলা করে থাকেন। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ বিনোদন খোঁজে পান। রয়েছে শারিরিক চর্চা কেন্দ্র। কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই এই প্রবীণাঙ্গণে লোকজন ইচ্ছেমতো আড্ডা দেন।
শহরবাসীর দু:খ ছিলো কোদালী ছড়া। যে ছড়ায় পানি নিষ্কাষণ হতোনা। কিন্তু এই ছড়াকে তিনি এখন নৌকা চলাচলের উপযুক্ত করেছেন। এখন সকাল বিকেল নিরবধি পানি চলে ছড়া দিয়ে। তাঁর হাত ধরেই ইতিমধ্যে ছড়াকে শহরবাসীর সকাল বিকেলের হাটাচলা ও বিনোদনের উপযুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শহর অংশ ছাড়াও ছড়ার গ্রাম এলাকায় কিভাবে উন্নয়ন করা যায় তাঁরও পরিকল্পনা তিনি করে রেখেছেন।
এই শহরের সংস্কৃতিমনাদের দিকেও তাঁর নজর অব্যাহত রয়েছে। তিনি মেয়র চত্বরে পৌরসভার পুকুর অংশে একটি মুক্তমঞ্চ করার পরিকল্পনা করেছেন। যার কাজ তিনি খুবই দ্রুতই শুরু করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সব বয়েসী মানুষের বিনোদনের জন্য তিনি চাঁদনীঘাট ব্রিজের পশ্চিমপাশ থেকে নদীর কোল ঘেঁষে একটি বিনোদন কেন্দ্র প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। অচিরেই সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও তাঁর পরিকল্পনায় আরও উন্নয়নকাজ রয়েছে। তিনি সেগুলো বাস্তবায়নে সদা তৎপর। এসব কাজের কারণে পৌরসভায় তাঁর বিকল্প নাই মনে করছেন ভোটারসহ আশেপাশের ইউনিয়ন ও জেলার মানুষ।
অনেকেই মনে করেন, তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়লাভ করার পেছনে মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্তমান মেয়র ফজলুর রহমানের দিক নির্দেশনা ও কৌশল কাজ করেছে। যার ফলে সেসব পৌরসভায় নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে আগামী ৩০ জানুয়ারী মৌলভীবাজার পৌরসভার নির্বাচনটি নিয়ে ভোটার ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ফজলুর রহমানের জয়লাভের ক্ষেত্রে বেশি আশাবাদী হয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনে যদি ফজলুর রহমান জয়লাভ করেন তাহলে মৌলভীবাজার জেলার পৌরসভাগুলোতে একটি ভারসাম্য আসবে এবং পৌরসভাগুলোতে ভবিষ্যত উন্নয়ন কাজ তরান্বিত হবে। বিগত পাঁচ বছরে মৌলভীবাজার পৌরসভায় যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে সেভাবে বাকী তিন পৌরসভায়ও কাজ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সাধারণ মানুষ।
ফজলুর রহমান শুধু মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়রই নন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি থেকে শুরু করে যুবলীগের সভাপতি হিসাবে ছিলেন যুবসমাজের অহংকার এবং বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর রয়েছে দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সারা জেলায় রয়েছে তাঁর অনুসারী বিশাল একটি কর্মীবাহিনী। এছাড়া গত পাঁচ বছরে তিনি মৌলভীবাজার পৌরসভার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়ন করে শুধু পৌর নাগরিক নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন।
নির্বাচন সন্নিকটে থাকায় দিনরাত চলছে তাঁর প্রচারণা। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠন দিনরাত তাঁর বিজয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উঠোন বৈঠক, সভা-সমাবেশ, লিফলেট বিতরণসহ তাঁর বিগত দিনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন বিশাল কর্মীবাহিনী। নির্বাচনী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই তিনিও। এসব প্রচারণার মাঝেও তিনি থেমে নেই। পৌর নাগরিকের যেকোন সমস্যা সমাধানে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেকোন নাগরিকের সমস্যার কথা শুনতে মোবাইল ফোন ধরছেন এবং সমস্যাগুলো সাথে সাথেই সমাধান করার ব্যবস্থা করছেন।
অনুষ্ঠানে পৌরসভার বর্তমান মেয়র জনাব ফজলুর রহমান মেয়র হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলে পৌরসভার নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করণে উনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন যাহা নিম্নরূপঃ
১.শান্তিবাগে বিউটিফিকেশন ও গাইডওয়াল নির্মান এবং ওয়াকওয়ে যাহা ফরেষ্ট রোড থেকে শুরু হয়ে জেলা পোস্ট অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
২.শহরের ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতা আনার লক্ষ্যে সাড়ে এগারো কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং ষ্টেশন নির্মানের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
৩.এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংকের ৯০% অর্থায়নে ১১কোটি ৯২লক্ষ ৮০হাজার টাকা ব্যয়ে পৌর এলাকার প্রায় ২০টি সড়কের উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
*বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য সেট্রাল রোড ও কদুরতউল্লা রোডে ৩কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরসিসি রোড ও ড্রেইন নির্মান
*সৈয়দ মোস্তফা আলী রোডের উন্নয়ন
*গীর্জা পাড়ার উভয় রাস্তার উন্নয়ন
*সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সাজ্জাদুর রহমান(পুতুল) সাহেবের বাড়ীর সামনের রাস্তা আরসিসি করন সহ উভয় পাশে ড্রেইন নির্মান।
*বেরি লেইককে সময়োপযোগী, ব্যবহারউপযোগী ও আধুনিকরনের উদ্দেশ্যে ডিজাইনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। জনাব ফজলুর রহমান আশা প্রকাশ করেন আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এই প্রকল্পটি দৃশ্যমান হবে।
৪.কুদালী ছড়ার উভয় পাশে গাইড ওয়াল, ওয়াকওয়ে, লাইটিং,বসার জায়গা সহ সিসি ক্যামেরা সুবিধা সুনিশ্চিত করন।
৫.কাশিণাথ রোডের দিঘির চারিপাশের চলমান গাইড ওয়ালের কাজ সমাপ্তি সহ মহিলারা যাতে সকাল বিকাল নিরাপদে হাটতে পারেন সেজন্য সিসি ক্যামেরার সুবিধা সহ ওয়াকওয়ে ও বসার জায়গা নির্মান। গোসলের সুবিধার জন্য সুন্দর দুটি ঘাটের সংযোজন।
৬. বরহাট ও ফরেষ্ট অফিস রোড এলাকার বস্তি/কলোনীতে বসবাসকারীদের গোসলের সুবিধার জন্য মনু নদীর তীরে দুটি উন্নত মানের ঘাট তৈরী।
৭.ঈদগাহের অসম্পূর্ণ কাজের সমাপ্তিকরন।
৮. উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মৌলভীবাজার বাসীর দীর্ঘ দিনের সমস্যা দূরীকরণে বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ ক্রমে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া এবং জেলায় সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার দাবী বাস্তবায়নে সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে তদবিরকে জোরদার করা।
৯. মনু নদীর উপর দিয়ে বরহাট ছাবিয়া সেতু নির্মানের দাবী বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
মেয়র ফজলুর রহমান সাহেব উপরোক্ত দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উনাকে ৩০ তারিখের নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য দল মত নির্বিশেষে পৌরবাসীকে অনুরোধ জানান। এবারকার মৌলভীবাজার পৌরসভার মোট ভোটার ৪৩৪৪৬ জন। পুরুষ ভোটার ২২৭৫০এবং মহিলা ভোটার ২০৬৯৬জন।
মন্তব্য করুন