বইপড়া প্রতিযোগিতায় দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান জুড়ী সরকারি কলেজ

সাইফুল ইসলাম সুমন : আলোকিত মানুষ চাই” এই স্লোগানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রর উদ্যোগে বইপড়া উৎসব প্রতিযোগিতায় সমগ্র দেশে সেরাপাঠক মর্যাদায় শীর্ষ প্রতিষ্ঠান মনোনীত হয়েছেন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ। পাশাপাশি দেশ সেরা সংগঠকের পুরস্কার লাভ করেন তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের বাংলা প্রভাষক মোঃ শিব্বির আহমদ। এ উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের যৌথ আয়োজনে কলেজ মিলনায়তনে “আনন্দ উৎসব” উদযাপন করা হয়েছে। আনন্দ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর।
তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং ইংরেজি প্রভাষক মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠক ও কলেজের বাংলা প্রভাষক মোঃ শিব্বির আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মোয়াজ্জিন হোসেন, নাছরিন পপি, হিরন্ময় দেব, নিকেশ চন্দ্র দাস, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, প্রভাষক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, বদরুল ইসলাম, আব্দুল রব্বানী, মোঃ লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ ওয়ারিছ উদ্দীন, মোঃ তফজ্জুল হোসেন, ফেমিনা ফারাহ জামান, পুলক চন্দ, মোঃ আমিনুজ্জামান বখশ, মোঃ খলিলুর রহমান, জুড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন, জুড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য হারিস মোহাম্মদ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অদিতি দেব, ফাতেমা শাহীন পুষ্পা, নুসরাত জাহান ও আমেনা জান্নাত জিমু।
স্বাগত বক্তব্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠক ও প্রভাষক মোঃ শিব্বির আহমদ বলেন, আজ তার বক্তব্যের দিন নয়; আজ ধন্যবাদ জ্ঞাপন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ আর দায় স্বীকার করার দিন। তিনি আরো বলেন, জুড়ী শব্দের সাথে তার প্রথম পরিচিতি ঘটে অত্র কলেজের একজন শিক্ষার্থী সারা বাংলাদেশে প্রথম হওয়াতে। সেই প্রথম হওয়া গল্প দিয়ে তিনি শুরু করেন, কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া, কলেজের বিতর্ক দলকে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে মেন্টর এর দায়িত্ব পালনসহ আজকে সমগ্র বাংলাদেশে সেরাপাঠক মর্যাদায় প্রথম হওয়া দেশসেরা সংগঠক হওয়ার ইতিবৃত্ত তার বক্তব্যে সংক্ষেপে উঠে আসে। উঠে আসে তার দায়বদ্ধতাও। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাবেক অধ্যক্ষ অরুণচদ্র দাশ, মরহুম এম এ মোমিত আসুক চেয়ারম্যান ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহিদুল ইসলাম সাহেবের প্রতি। তিনি বলেন, এ অর্জন তার সকল সহকর্মীবৃন্দের। তাদের সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ তাকে কাজে প্রাণিত করেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাবলু সূত্রধর বলেন, বই পড়ার মজা যদি একবার কেউ পেয়ে যায় তবে সে বই পড়বেই। তাকে সেখান থেকে কেউ ফেরাতে পারবে না। বাক্যের সাথে বাক্যের যে সংযোগ তা এক একবার উপলব্ধি করতে পারলে জীবনের রং বদলে যাবে। তার নিজের ছাত্র জীবনের অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করলেন। জানালেন বইয়ের পিডিএফ পড়া তার অভ্যাস ছিল। প্রচুর পিডিএফ কালেকশন ছিল তার। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার প্রতি উৎসাহ দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
মন্তব্য করুন