বকেয়া টাকার দাবিতে কমলগঞ্জে এনটিসি’র ৫ চা বাগানে কর্মবিরতি
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ দৈনিক মজুরীর বকেয়া বেতনের বর্ধিত টাকার দাবিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) এর মালিকাধীন পাঁচ চা বাগানে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছে। ২৯ জুন বুধবার সকাল আটটা থেকে কমলগঞ্জের মাধবপুর, মদনমোহনপুর, পাত্রকলা, কুরমা ও চাম্পারায় চা বাগানে এ কর্মবিরতি পালন করে চা শ্রমিকরা। চা শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও মালিক প্রতিনিধি (বাংলাদেশ চা সংসদ) এর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী ৬৯ টাকা থেকে বেড়ে ৮৫ টাকা নির্ধারিত হয়। চুক্তিতে শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি ২০১৫ সালের জানুয়ারী থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। ঐ চুক্তি মোতাবেক সম্প্রতি সময়ে ডানকান বাদ্রার্সের বাগানগুলোও শ্রমিকদের বকেয়া বর্ধিত মজুরি প্রদান করে। কমলগঞ্জের এনটিসি’র মাধবপুর, মদনমোহনপুর,পাত্রকলা, কুরমা ও চাম্পারায় চা বাগানে সেপ্টেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত বেতন প্রদান করা হয়। বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৬ সনের জানুয়ারী পর্যন্ত চার মাসের দৈনিক বর্ধিত ১৬ টাকা হারে চা শ্রমিকদের প্রায় তিন হাজার টাকা বকেয়া প্রদান করা হয়নি। বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার কমলগঞ্জের এই পাঁচটি চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করে।
এনটিসি’র পাত্রখোলা চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি দেবাশীষ চক্রবর্তী শিপন বলেন, চা শ্রমিকদের বর্ধিত বকেয়া মজুরি এক মাসের ভেতরে রমজান মাসে ঈদের আগে দেয়ার কথা ছিল। সর্বশেষ মঙ্গলবার বকেয়া টাকা দেয়ার শেষ দিনে বিকাল পাঁচটায় ব্যবস্থাপক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করতে বাধ্য হয়। তিনি আরও বলেন, এই পাঁচ বাগানে কর্মবিরতি পালন চলাকালে পাঁচ বাগানের ব্যবস্থাপকরা ৪ জুলাই বকেয়া বর্ধিত মজুরি প্রদানের আশ্বাস দিলে দুপুরের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। তবে বুধবারের কাজটি বন্ধের যেকোন দিনে পুষিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে এনটিসি’র ডিজিএম মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আসলে চা বাগানে শ্রমিকদের দু’টি গ্রুপ হয়ে গেছে। ঈদের আগের শেষ পর্যায়ে ব্যাংকিং লেনদেন থাকায় এককালীন এতো টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ৪ জুলাই মৌলভীবাজার জেলা সদরের একটি ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে। সেই ব্যাংক শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করে ঐদিনই পাঁচ চা বাগানের শ্রমিকদের প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে চা শ্রমিকরা আশ্বস্থ হন এবং এ বিষয়ের নিরসন ঘটে।
মন্তব্য করুন