বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বদরুল মনসুর॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০অক্টোবর মঙ্গলবার শেখ রাসেল মেমোরিয়াল এসোসিয়েশন ইউকের আয়োজনে “শেখ রাসেল ও আজকের শিশু শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে এক দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এন এল টুয়েন্টি ফোর এর অন্যতম উপস্থাপক যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম ইমন এর উপস্থাপনায় এন এল টুয়েন্টি ফোর অনলাইন টিভির জনপ্রত্যাশায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায়
প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরিফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেখ রাসেল মেমোরিয়াল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও যুক্তরাজ্য ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর. সাউথ লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নজমুল,ও শেখ রাসেল মেমোরিয়াল এসোসিয়েশন এর সেক্রেটারি জেনারেল শহিদুর রহমান.।
বক্তারা বলেন ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর রাসেলের জন্ম। কিন্তু তাঁর জীবন শেষ হয়ে যায়, একটি ফুল কুড়িতেই শেষ হয়ে যায়, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তাঁকে নির্মমভাবে চিরবিদায় নিতে হয়।’
এ ধরনের নৃশংস ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের জন্য একটি ভবিষ্যত রচনায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। এই স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে পৌঁছাবে এবং প্রতিটি শিশু লেখাপড়া শিখে আগামী দিনে এদেশের কর্ণধার হবে, সুন্দরভাবে বাঁচবে সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন।
বক্তারা আরও বলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলকে নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন, তার গৃহশিক্ষক বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী গীতালি চক্রবর্তী এক ইন্টারভিউতে বলেছেন বয়সে অনেক ছোট হলেও শেখ রাসেলের হৃদয়-মন ছিল অনেক বড়। মানুষের উপকার করার জন্য সে যেন সবসময় এক পায়েই দাঁড়িয়ে থাকতো। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল গভীর ভালোবাসা। শুধুু তাই নয়, তার শিশু সূলভ সব আচরণ বা কর্মকান্ডের মধ্যে কেবলই সরলতাই নয়, আদর্শিক ও দার্শনিক একটা ভাবও ছিল। কোন বিষয়ে কঠিন অবস্থানে থাকলেও যুক্তি দিয়ে তাকে টলানো যেত।
এখানে উল্লেখ্য যে ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ঢাকার বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির বাড়িতে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর) জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অন্য সকলের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে অন্য সবার সঙ্গে না ফেরার দেশে চলে যেতে হয় শেখ রাসেলকে।।
মন্তব্য করুন