বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত সরকারী ত্রাণসহায়তা নেই- এম নাসের রহমান
স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘এই আওয়ামীলীগ নিশি রাতের সরকার ভোটচুরি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসে আছে। জনগনের ভোটে ওরা ক্ষমতায় আসেনি। সেজন্য জনগন বন্যার পানিতে ডুবলো না মরলো তাতে এদের কিছু যায় আসে না। কারণ এই আওয়ামীলীগ জনগনের ভোটে আর কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এটা ভালো করে জানে। এর জন্য তারা প্রশাসন ও পুলিশকে ব্যবহার করে এতদিন ক্ষমতায় আছে। আজকাল এটা সবাই বলাবলি করেন আওয়ামীলীগ পুলিশকে দিয়ে ক্ষমতায় আছে। আজ যদি পুলিশ বলে- আমরা নিরপেক্ষ- হয়ে গেলাম। তারপর দেখবেন বড় বড় একটা আওয়ামীলীগকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না’।
তিনি বলেন, এবারের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট, সুনামগঞ্জ,হবিগঞ্জসহ মৌলভীবাজার জেলার বানবাসীমানুষ যে কতকষ্টে আছে,এর জন্য কি তাদের কোন দায়বদ্ধতা আছে ?। এসব দুর্গত এলাকায় আজকে বিএনপি’র সমস্ত নেতাকর্মীরা ত্রান নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। আরও কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন খাদ্যসহায়তায় এগিয়ে এসেছে। অথচ এসব বন্যাদুর্গত এলাকায় পর্যাপ্ত সরকারী ত্রাণসহায়তা নেই, বন্যাকবলিত দু:খী মানুষদের পাশে নেই আওয়ামীলীগের এমপিরাও। তাদের নেতারা শুধু কিছু ত্রান দিয়ে দুর্গত মানুষদের ফটো তুলতে ব্যস্ত।
শনিবার ৯ জুলাই বিকেলে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের দুটি স্পটে উমরপুর,কান্দিগাঁও,সুড়িখালসহ বন্যাকবলিত বিভিন্ন গ্রামের দুর্গত ছয়শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার নতুন শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান এসব কথা বলেন।
নাসের রহমান বলেন,‘আওয়ামীলীগ দিবাস্বপ্ন দেখছে,তাদের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন হবে। এমন স্বপ্ন দেখে লাভ নেই,ওইদিন শেষ,আগামী নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। নির্বাচনের কিছুদিন আগে জনগণ তা দেখতে পাবে। তিনি আরও বলেন,দেশের জনগন ভোট দেয় বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আছে আওয়ামীলীগ। দেশের নির্বাচনের সিষ্টেমটাই এখন এরকম। যখন ভোট চুরির সবরাস্তা শেষ হয়ে গেছে, এখন নতুন আরেকটা নতুন সিস্টেম বের করেছে,এটা হল ইভিএম মেশিনে ভোট চুরি। এই মেশিনটা হল ভোট চুরির যন্ত্র। ক্ষমতারমোহে আচ্ছন্ন শেখ হাসিনা আগামী সংসদ নির্বাচন ৩০০ আসনে ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য বেশ উৎফুল্ল। নাসের বলেন, নির্বাচন ব্যালটে হবে না ইভিএমে হবে-এটা আওয়ামীলীগ ঠিক করার কে?।
নাসের বলেন,সম্প্রতি শেখ হাসিনা একটি বিদ্যুতকেন্দ্র উদ্বোধনকালে বলছিলেন,দেশে বিদ্যুত উৎপাদনে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ। এর আগেও তিনি গর্বভরে বলছিলেন,এখন দেশের মানুষের মাঝে ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং করানোর দরকার,আগে যে দেশে লোড শেডিং ছিল এটা মানুষকে বুঝানোর জন্য। তিনি যেমন ইচ্ছা করেছিলেন তেমন ফলও পেলেন। একথা বলার কয়েক মাসের মধ্যে এদেশে আবার লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। আর এখন তিনি বলছেন, এলপি গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। তাই লোড শেডিং করতে হচ্ছে। অথচ বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য কাতার থেকে আমরা বৈদেশিক মুদ্রায় এলপি গ্যাস কিনে আনি। অথচ যে এলপি গ্যাসের জন্য আজ আমাদের দেশের মানুষ বিদ্যুত পাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের কষ্টে আছে,প্রচন্ড দুর্ভোগে আছে। এই গ্যাস সরকার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গত মে ও জুন মাসে দুইবারে ১১৭ টন পাশ^বর্তী দেশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠিয়েছে।
ঈদ উপহার বিতরণকালে তাঁর সাথে ছিলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো.হেলু মিয়া, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বকসি মিছবাহউর রহমান, জেলা বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নুরুল ইসলাম সেলুন,প্রচার সম্পাদক মো. ইদ্রিছ আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন মাস্টার,সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী,সহ সাংগঠনিক আব্দুর রকিব মেম্বার,দপ্তর সম্পাদক এড রুপক দেব,উত্তরভাগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মো.কবির মিয়া,সেক্রেটারী শাহ আরব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মজনু মিয়া মেম্বার,মুন্সিবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আশিক মিয়া, রাজনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শেখ রুকন আহমেদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন