বর্ষ বিদায় ও নববর্ষ বরণে পর্যটক নেই মাধবকুবর্ষ বিদায় ও নববর্ষ বরণে পর্যটক নেই মাধবকুন্ডে ব্যবসা বাণিজ্যে ধস
আবদুর রব॥ ইংরেজি ২০১৬ সালকে বিদায় জানাতে ও ২০১৭ সালকে বরণ করতে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারী দেশের অন্যতম ইকোপার্ক ও প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুন্ডে পর্যটক সমাগম ঘটেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় ৫-৬ ভাগও পর্যটকের আগমন না ঘটায় পিকনিক স্পটকে ঘিরে মাধবকু-ে গড়ে উঠা ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমে আসে।
১৫ বছরে মাধবকুন্ডে এমন ধস নামতে দেখা যায়নি বলে ব্যবসায়ীরা দাবী করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রের দাবী অব্যাহত পর্যটক হয়রানীর প্রভাবেই এবার নববর্ষ কিংরা থার্টি ফাষ্ট ডিসেম্বর পালনে ভ্রমন পিপাসুরা মাধবকুন্ডে-কে বেছে নেয়নি।
সরেজমিনে বছর যেখানে তিল ধারনের জায়গা খোঁজে পাওয়া যায়নি সেখানে এবার অধিকাংশ স্থান প্রায় ফাঁকা থাকতে দেখা গেছে। মাধবকুন্ডে বর্ষবরণে ১ জানুয়ারী রোববার পর্যটকের তেমন দেখা মিলেনি।
ইকোপার্কের গেইট ইজারাদার মমিন উদ্দিন জানান, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারী মাধবকু-ে ২০ হাজারেরও বেশি পর্যটক সমাগম ঘটে। এবার এদু’দিনে ২ হাজার পর্যটকও আসেননি। হোটেল ব্যবসায়ী ইমরান আহমদ জানান, মাধবকু- জলপ্রপাতকে ঘিরে ১০টি হোটেলসহ দুই শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বছরে ৬-৭ দিনের ব্যবসার ওপর সারা বছরের ব্যবসা নির্ভরশীল। এরমধ্যে ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারী অন্যতম। কিন্তু এবার এ দু’দিনে আশানরুপ পর্যটক না আসায় ব্যবসায়ীদের মাঠে মরার অবস্থা হয়েছে। ব্যবসায়ী এনাম আহমদ জানান মাধবকু-ে গত ১৫ বছরে এমন পর্যটক মন্দা অবস্থা দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, স্থানীয় কতিপয় আসাধু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী মাধবকু-ে আগত পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানী করে থাকে। আগত পর্যটকরা গাড়ি পার্কিং ইজারাদারের কর্মচারী, হোটেল ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীর দুর্ব্যবহার, হামলা, মারধর ও লুটপাটের শিকার হন। অনেক পর্যটক মাধবকু- বেড়াতে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে ফিরেছেন। বিশেষ করে দুর দুরান্তের নারী পর্যটকরা নানা হুমকির সম্মুখিন হন। দীর্ঘদিনের পর্যটক হয়রানীর প্রভাবে এবার মাধবকুন্ডে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভ্রমন পিপাসুরা ভিড় জমাননি। পর্যটক হয়রানীর ব্যাপারে প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা কঠোর না হলে মাধবকুন্ডের প্রতি পর্যটকরা স্থায়ীভাবে নিরুৎসাহী হবেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, রোববার সরকারী অফিস আদালত খোলা এবং বই উৎসব থাকায় নববর্ষে মাধবকুন্ডে পর্যটক শুন্য ছিল। তবে থার্টি ফাষ্ট ডিসেম্বর বন্ধের দিনেও পর্যটক শূন্য থাকার বিষয়টির হিসেব তিনি নিজেই মিলাতে পারেননি।
মন্তব্য করুন