বাঁধার মুখে শ্রীমঙ্গলে রেলের ভূমি উদ্ধারে ব্যর্থ অভিযান
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মুখে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেলের ভূমি উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। রেল বিভাগ কর্তৃক ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জমি উদ্ধারে মাঠে নামলেও কিছু টং দোকান ছাড়া বেশির ভাগ বেদখল জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করেই অভিযান শেষ করেছে।
১৭ অক্টোবর সোমবার পূর্ব নির্দ্ধারিত সময়ে সকালে রেলের এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তারা লোকবল নিয়ে শ্রীমঙ্গল রেল ষ্টেশন এলাকার অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এসময় রেল লাইন সংলগ্ন বেশ কিছু টং দোকান উচ্ছেদ করে। দুপুরে ভানুগাছ সড়কের সম্প্রতি দখল করা রেলের প্রায় সোয়া ৩ একর ভূমি উদ্ধারে অভিযানে নামলে মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সরি প্রকল্পের ব্যানারে স্থানীয় কতিপয় মুক্তিযোদ্ধা বাধা দেয়।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, রেল বিভাগের শ্রমিকরা বাঁধা উপেক্ষা করে মুক্তিযোদ্ধা কৃষি নার্সারী প্রকল্প উচ্ছেদ করতে সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেললে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাক-বিতন্ডা ও পরে ধন্তাধস্তি শুরু হয়। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানার ওসি মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় ভানুগাছ রোড ও রেলগেট এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা চলাকালে কতিপয় লোকজন দখলকৃত জমির প্রধান ফটকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। এঘটনায় স্থানীয় জনসাধারনের মধ্য প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাঁধার মুখে পড়ে রেল বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে লাল নিশানা লাগিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে চলে যায়।
মুক্তিযোদ্ধা মো. আসলাম বলেন, রেলের লোকজন উদ্দেশ্য মূলকভাবে আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে এসেছে। এসময় মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এখানকার ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা এই জমি লীজ নিয়ে কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। রেল বিভাগের উদ্যেশ্যমূলক এই উচ্ছেদ কর্মকান্ডে বিক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের বাঁধা দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিভাগীয় এস্টেট অফিসার এসএম রেজাউল করিম বলেন, আমরা উচ্ছেদ করতে এসে অবৈধ দখলদারদের বাঁধার মুখে পড়েছি। তবে রেলের বেদখল জমি উদ্ধার অভিযানের পরবর্তী কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বেদখল জমির সীমানা চিহ্নিত করে লাল ঝান্ডা লাগানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন