বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদ শ্রীমঙ্গলে ওপেন হাউজডেতে সিলেটের ডিআইজি
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওপেন হাউজ ডে ও মতবিনিময় সভা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের সিলেট বিভাগীয় ডিআইজি মোঃ কামরুল হাসান।
শ্রীমঙ্গল থানা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৪ আগষ্ট বৃহম্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শ্রীমঙ্গল থানা ক্যাম্পাসে শ্রীমঙ্গল উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,ব্যবসায়ী,সাংবাদিক ,রাজনৈতিক নেতা ও পরিবহন শ্রমিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ওপেন এ হাউজ ডে ও মতবিনিমিয় সভার।
উক্ত ওপেন হাউজ ডে ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি মোঃ কামরুল হাসান বলেন, পূর্বে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা ছিল জনসংখ্যা এখন মাদক এবং বর্তমানে প্রধান সমস্যা হচ্ছে জঙ্গিবাদ এর থেকে মুক্তি পেতে হলে পুলিশের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
মতবিনিময় সভায় মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন) মোহাম্মদ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান রনধীর কুমার দেব, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম।
সভায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, সাংবাদিক, শিক্ষক , ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিভিন্ন পেশার ও শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহনে পুলিশের কার্যক্রম ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ে উম্মুক্ত আলোচনা হয়।
এসময় মুক্ত আলোচনায় মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান বলেন, থানা সদর থেকে মির্জাপুর ইউনিয়ন প্রায় ৩০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। তাই সেখানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন জরুরী।
আশিদ্রোন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহর বর্ধন বলেন কোর্ট থেকে অনেক সময় অনেক মামলা নিস্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতে পাঠানো হয়। তাই সমাজের অনেক ছোট খাটো বিষয়ে মামলা না নিয়ে গ্রাম্য আদালতে পাঠালে জনগন দূর্ভোগ ও আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবেন।
শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউছুব আলী বলেন, মাদকদ্রব্য ও ইভটিজিং নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে আরোও জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বলেন, শহরের ষ্টেশন রোডের রাস্তার জন্য জনগণের অনেক কষ্ট হচ্ছে, তাই অতিসত্বর রাস্তাটি মেরামত করার জন্য উপজেলার চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ট্রাক লড়ীর সভাপতি শাহজাহান অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও হাইওয়ে পুলিশ গাড়ী চালকদের হয়রানী ও চাঁদা আদায় করছে। এব্যাপারে তিনি ডিআইজি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েক মাস পূর্বে বিকাশ এজেন্টের বিশ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়। এক লক্ষ টাকা উদ্ধার ও একজন আসামী গ্রেহফতার হলেও বাকী আসামী ও টাকা উদ্ধার হচ্ছে না কেন?
ডিআইজি সভায় উত্তাপিত দাবী দাওয়া বিষয়ে আলোচনা করেন এবং প্রতিটি ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর এখন থেকে নিয়মিত বিট পুলিশিংএর দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে জানান। এ সময় ডিআইজি বৃত্তবান নাগরিকদের দৃষ্টি আর্কশন করে কয়েকজনে মিলে একটি গাড়ি সহায়তার আহবান জানান।
মন্তব্য করুন