বাংলাদেশ বহি: বিশ্ব প্রেক্ষপট ও দুর্নীতি সমাচার
সাদেক আহমেদ॥ বাংলাদেশ নিয়ে লিখতে যেয়ে বহুদিন যাবত ভাবছি পত্রিকার পাতার কিছু একটা লিখি। আবার ভাবি লিখে কি হবে, তারা কানে তুলা দিয়া রেখেছে। তবে সাধারণ মাসুণ আপতত চুপ থাকলেও ভিতরে তাদের মনে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। হয়তো তাদের মন থেকে মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ চলে যাচ্ছে। এই সরকার সব কিছু বিপর্যয় ঘটিয়ে শেয়ার মার্কেট লুট, ব্যাংক লুট, ব্যবসা বাণিজ্য সব শেষ। ব্যাংক গুলো থেকে কি কারণে সাধারণ আমানতকারী টাকা তুলে নিয়ে ভেঙ্গে খাচ্ছে। কারণ ব্যাংকগুলোর মধ্যেও সরকারের চোখ পড়ে গছে। প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলতে ফিরতে ভাবে কখন ভাঙ্গা রাস্তায় পড়ে, কখন যে কার যায় জান,কখন যাবে মান সম্মান,পুলিশ ও সন্ত্রাসী এখন পাড়া মহল্লায় ঘুড়ে বেড়ায়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ বিশ্বে ২য় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ বলে জাহির করে। অথচ তাদের কারণে বাংলাদেশ আজ গণতন্ত্র বিদায় নিয়েছে। এই জায়গায় বাকশালতন্ত্র পুরোদমে চলছে। বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়। যেদেশে রয়েছে কোটি কোটি কর্মোদ্দম হাত। এ দেশতো হারবার নয়। তাই এদেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা ইউরোপ,আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডায় বা নিউজিল্যানন্ড, জাপানে গিয়ে তাদের মেধার মূল্যায়ন পাচ্ছে।
আমাদের দেশে শতকরা ৪৫ ভাগ চাকরী মেধাবীদের জন্য সংরক্ষিত। এদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মূদ্রা পাচার হয়ে গিয়েছিল। সদ্য এই খানে জমাকৃত সোনা হয়ে গেলে কালো ধাতু। আরও কত কিছু ঘঠেছে কি বলবেন ব্যাংকের মুখপাত্র সুভংকর সাহা। আরও আছেন এস কে সূর চৌধুরী। সেই হ্যামিলটনের বাঁশিওয়ালা এসে দেশে কি হওয়া উচিত ছিল কারা কারা ক্ষমতা নেওয়ার কি চুক্তি করেছে বা চুক্তি ভঙ্গন করেছে, দেশটাকে লুটে পুটে খাচ্ছে। এই জন্য হ্যামিলটনের বাঁশিওয়ালা এসে উল্টো সুরে বাঁশি বাজাবে। তখন সব ক্রিমিনালগুলো যারা দেশের মাটির সাথে বেঈমানী করে যাচ্ছে তাদের উল্টো বাশির সুরে টেনে নিয়ে আস্তা কুড়ে নিক্ষেপ করবে। আগে সিলেটে একটা কথা শুনতাম “জাগো সিলেট” আজ সমস্ত দেশবাসী তাদের মুখের ভাষা যারা কেড়ে নিয়েছে সত্য কথা বলার অধিকার, চলার অধিকার,একটু মহজ সরলভাবে মেধার মাধ্যমে চাকুরীর অধিকার তারা জেগে উঠছে। আজ বলতে বাধ্য হচ্ছি আমরা গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল যথাসময়ে দিয়ে যাই যদিও অনেক বেশি মূল্য বাড়িয়েছে। কিন্তু আমাদের গ্যাস বা বিদ্যুৎ কোন কিছুই ঠিকমত সরবরাহে ঘাটতি।
আজ পত্রিকায় পড়লাম, রেলওয়ে রাজশাহীতে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষ আম জনতা বিভিন্নভাবে গিয়ে কষ্ট করে হোটেল মোটেলে রাত্রি যাপন করে সকালে গিয়ে দেখে পরীক্ষা হবে না। অথচ তাদেরকে আগে জানানো হয়নি। আম জনতার এই হল অবস্থা। সরকারী কোনো জবাব দিহিতা নেই। সীমান্তে বেড়া অথচ তাদের দাদাদের কুট কৌশলের বেড়াজালে বাংলাদেশ তথা এই সরকারকে তারা ফেলেছে। যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের মত এই সরকার নাচে। সেই গানের কথা মনে হয়। দুঃখও লাগে যেমন, আমি নিজের মনে নিজে যেমন গোপনে ধরা পড়েছি।
আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের জি এম প্রকাশ চন্দ্র মল্লিকের কথা পত্রিকার পাতায় উঠেছে, তিনি নিজে কয়েকটা ব্যাংকের ঋণ খেলাপী। বগুড়ার জি এম থাকাকালীন তিনি তার সহকর্মীদের কাছ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা ঋণও নিয়েছেন। আজ মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতারন শিশু ও নারীদের হত্যার প্রেক্ষিতে দূর দেশ আমেরিকা মায়ানমারের নাগরিকদের জন্য শাস্তিস্বরূপ আমেরিকার ভিসা বা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ইউরোপ আমেরিকার কুটনৈতিক মিশনগুলো গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে জোর তাগাদা ও হুশিয়ারী দিচ্ছে। অথচ আমরা আমেরিকাকে গালি দেই। এই হলো বাংলাদেশ। প্রকৃত বন্ধু বাদ দিয়ে মরিচিকার পিছনে ঘুড়ছি। আজ মনে পড়ে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথা। তার যে শক্তি আছে এবং সাধারন জীবন যাপন করেন তার থেকেও শিক্ষা নেওয়া দরকার ছিল। পশ্চিম বঙ্গের সেই চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশের সিনেমা দিয়ে শেষ করি। সেখানে ডায়ালগ ছিল- রশি ধরে মার টান রাজা হবে খান খান। আজ নদি ফুলে ফেফে উঠছে কারণ নদীগুলে ড্রেজিং করা হয় নাই। বন্যা নিয়ন্ত্রণেও কোন পদক্ষেপ বা বাজেট নেই। উল্টো রথে চড়েছিল দেশ। দুর্ভাগ্য এদেশের অনুন্নোয়ন খাতে অর্থ্যাৎ হাজারো মুর্তি এদেশে বানানো হয়েছ । আল্লাহ এদেশের মঙ্গল করুন-আমিন।
মন্তব্য করুন