বাংলাদেশ সমাচার এবং ডেঙ্গু মশার কাহিনী
সাদেক আহমেদ॥ কি লিখবো বাংলাদেশ সমাচার। মনে পড়ে আবার কি আমরা আর একটা দেশের কবলে পড়ে হয়ে যাচ্ছি নিঃশেষ। হায়রে আমার দেশ। চারিদিকে সীমান্তে সন্ত্রাষ খুন নেই কোন প্রতিবাদ। বড় থেকে ছোট সে কি বিড়ম্বনা। এখন বাংলাদেশ হারে হারে টের পাচ্ছে। যখন ভারত আমাদেরকে পুরোপুরি কব্জায় নিতে চায় এবং তাদের পছন্দ মতো লোক আমাদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন পদে তারাই বসিয়েছে তাই কেউ কোন প্রতিবাদ করে না। এ শরৎকালে মেঘমালা আকাশ দিয়ে উড়ে যায়, কত কথা বলে যায়। যথন কাশবনে দেখি ফুটেছে কাঁশফুল। সে কাশঁবনে বসে বুলবুলি, চডুঁই, শালিক, দোয়েল দেয় দুল। আর আমি ভাবি কোন ললনার কানের দুল আরা বাংলাদেশে ছোট হয়ে বেজে গেল গন্ডগোল। আমরা যেন চড়েছি নাগরদোলায়। একই চক্রে ঘুরে ফিরে একই যায়গায়। আমাদের গর্ব করার মত ছিল মানব সম্পদ, ছিল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী। অথচ পিলখানার নির্মম হত্যাকান্ডের পর আমাদের সশস্ত্র বাহিনী মৃত প্রায়। আজ আমাদের আন্তজার্তিক অঙ্গনে সশস্ত্র মান, সম্মান বোধ হয় কমে গেছে। কেহ আমাকে পিছন থেকে ডেকে ডেকে বলছে হে পথিক তুমি তো দাঁড়াও পথিক নিয়ে বই লিখেছিলে।
এবার একটু দাঁড়াও শুন হে কবি। কখনও কি একেছো মেঘমালা চেয়ে থাকে শরতের কাঁশবনে একই রং, একই অবয়ব। তুমি মনে হয় মনে মনে আকোঁ মেঘ ও কাশঁবনের সখ্যতা। আর কি আকঁবে ছবি আজ যে বাংলার জমিন রক্তে লাল। কখনও আকঁতে যেও না বলতে যেও না সশস্ত্র বাহিনীর মন মরা ছবি। যে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মান ছিল জাতীয় কবির ভাষায় বল বীর চির উন্নত মম শীর। আজ সেই উন্নত শীর কেন ভারতের কাছে অবনত। ওরা একদিকে বন্ধুত্বের কথা বলে মুদি ও বিজেপি অন্য দিকে আমাদের চাপাচ্ছে। সেই কাশ্মীর থেকে আসাম পর্যন্ত তাদের মাথায় কি চেপেছে একমাত্র আল্লাহ জানে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলেন কংগ্রেস ও ইন্দিরা গান্দী। আজ কেন গরম করছে মুদি তার মাথার চান্দি। কাশ্মীরীদের পক্ষে শিকরা হওয়া পর্যন্ত মুদির আচরনের নিন্দা জানাচ্ছি। আর পশ্চিম বঙ্গে আছেন মমতাময়ী দিদি মমতা ব্যার্নাজী। উনার যতটুকু করার ক্ষমতা আছেন সেভাবে বাংলাদেশ বা মুসলমানদের জন্য চিন্তা করেন এবং করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আজ কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে চীন শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশ কোন পক্ষে যাবে সে জন্য কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষমতায় এসেই বলেছিলেন দিল্লির সাথে সম্পর্ক তথাকথিত স্বামী-স্ত্রীর মত। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানতেন যে বাংলাদেশ ভারতের পক্ষে যাবে জানা সত্বেও তিনি ফোন করেছিলেন। কারন আমাদের ধর্মে আছে মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই। করাচিতে ২০ (বিশ) লক্ষ বাঙ্গালিকে থাকার জন্য জায়গা দিয়েছে পাকিস্তান। আর আসামে বাঙ্গালি কয়েক লক্ষ আসামি বাঙ্গালিকে ভারত বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন ফর্ন্দি আকঁছে। এ হলো বর্তমান সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির ফসল। আজ আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখীন বাংলাদেশ। তাই প্রবাসীরা ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ দেশের যে যেখানে আছে ভালো অবস্থায় আছেন। তারা একত্রিক হয়ে বাংলাদেশকে ভারতের কব্জা থেকে বের করতে বিশ্ব জনমত তৈরী করতে এগিয়ে আসতে যা যা করার দরকার তা করতে তার প্রস্তুত হতে হবে। ১৯৭১ সালে তারা তাই করেছিল। মাত্র কয়েকদিন আগে জন্মাষ্টমী গেল। সিলেটেও দেখলাম মহা দুমদামে রথযাত্রা ও কলা বিতরণ। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক যে শান্তি বিরাজ করছে তা বিশ্বের জন্য উপমা। বাংলাদেশ অর্জুন গাছের মতো অবস্থা। ঔষধী ফল তোলার পর ছালা বাকলও তুলে নিয়ে যায়। বাংলাদেশে তোমার গাছের মতো অবস্থা। ভারত বেচারা বাংলাদেশকে একা পেয়ে তার ছালা বাকল নিরাপত্তা খুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এটা তো বরদাস্ত করা যায় না। হে অর্জুন মন দিয়া শুন কেন বাংলাশের সব অজন বিসর্জন হয়ে যাচ্ছে। তুমি থামাও বাংলাদেশের প্রকৃতি আজ বিপন্ন। নেই জলাশয়, নেই নদী-খাল, তাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা কল্পে যে ব্যাঙ এর নিরাপদ আবাস ভূমি ছিল বাংলাদেশ। প্রকৃতি ধ্বংস হওয়ার যে ব্যাঙ এডিস মশা খেয়ে নির্মল করতো আজ ব্যাঙ কমে যাওয়ায় আজ এক এডিস মশা বৃদ্ধির কারনে ডেঙ্গু রোগের আবির্ভাব হয়েছে। তাই প্রকৃতিতে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন।
মন্তব্য করুন