বিটিআরআই’র বিলাসছড়া পরীক্ষণ খামারের গাছ তথ্য গোপন করে নিলামে বিক্রির অভিযোগ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গলস্থ বিটিআরআই’র বিলাসছড়া পরীক্ষণ খামারের গাছ তথ্য গোপন করে নিলামে বিক্রির অভিযোগ তুলে এ নিলাম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শেখ উপরু মিয়া মহালদার। ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে করে তিনি এ অভিযোগ করেন, এতে সরকারের কমপক্ষে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ উপরু মিয়া মহালদার বলেন, তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে লাইসেন্সধারী (লাইসেন্স নং- ১২৪২) মহালদার ব্যবসায়ী। সরকারি গাছ নিলামে বিক্রির আগে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিলামের তারিখের অন্তত ৫-৬ দিন আগে লাইসেন্সধারী মহালদারদের ফোন করে জানানো হয়। প্রত্যেক মহালদারের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বরসহ বন বিভাগের অফিসে রক্ষিত আছে। এছাড়া শহরের মাইকিং করে প্রচার করারও নিয়ম আছে। কিন্তু বিলাসছড়ার গাছ নিলামে বিক্রির আগে মহালদারদের জানানো হয়নি। বরং নিলাম ডাকের দিনে গাছগুলো ‘পঁচা’ নষ্ট বলে দাম হাকাতে নিলামে অংশগ্রহণকারীদের নিরুৎসাহিত করা হয়।
এতে তার সন্দেহ হলে তিনি সরেজমিনে গিয়ে দেখেন গাছগুলো ভাল। তিনি বলেন, গাছগুলোর মূল্য কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। অথচ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাজ্জাদুর রহমান নামের একজনের কাছে গাছগুলো ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
এতে সরকার কমপক্ষে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি গাছগুলো এখনো ১১ লাখ টাকায় ক্রয় করতে প্রস্তুত আছি। তার অভিযোগ এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কয়েকজন কথিত কাঠ ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের লোকজন জড়িত আছেন। বিটিআরআই’র কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীও এতে জড়িত থাকতে পারেন বলে তার সন্দেহ।
গাছের প্রকৃত তথ্য গোপন করে ডাকা এ নিলাম বাতিল করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুনরায় নিলাম ডাকার জন্য টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেছেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপরু মিয়া মহালদার আরো জানান, আগের নিলাম বাতিল করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুনরায় নিলাম ডাকার জন্য টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করলে একটি পক্ষ তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করছেন বলে জানান।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ী জানান,বিটিআরআই’র বিলাসছড়া পরীক্ষণ খামারের যে গাছগুলো নিলাম দেওয়া হচ্ছে তার বর্তমান বাজার মুল্যে কমপক্ষে ২৫/৩০ লক্ষ টাকা হবে বলে তারা জানান।
মন্তব্য করুন