বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বটে!
এম মছব্বির আলী॥ নাক, কান, গলা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বটে ! তিনি এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), পিজিটি মেডিসিন ডিগ্রী আছে। তবে বিশেজ্ঞ ডাক্তার হতে যেসব ডিগ্রি প্রয়োজন তা না নিয়েই অবৈধ ভাবে নাক, কান, গলা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ’র পদবীর সাইনবোর্ড লাগিয়ে কুলাউড়া হাসপাতালের ভিতরে প্রাইভেট চেম্বার করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহা. মিজানুর রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে কর্মরত হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ইকবাল আহমদ বলেন নাক, কান ও গলা রোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ হতে এম এস, এমডি, ডিএলও এবং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ হতে এমডি, এফসিপিএস ডিগ্রি প্রয়োজন হয়। এই ডিগ্রি ছাড়া কোনভাবেই বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন না।
কিন্তু ডা. মোহা. মিজানুর রহমান কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে নিজের ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে হাসপাতালের ভিতর নিজ আবাসিক ভবনে প্রাইভেট চেম্বার বসিয়ে নাক, কান, গলা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ’র পদবীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত ৯ মে তাঁর চিকিৎসার অবহেলায় দেড় মাস বয়সী হামিদা বেগম নামে একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওইদিনই সকলের নজরে আসে বিশেষজ্ঞ পদবীর সাইনবোর্ডটি। পরে বিশেষজ্ঞ পদবী ব্যবহারের ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিগ্রি ছাড়া কেউ বিশেষজ্ঞ পদবী ব্যবহার করলে তিনি ভুয়া বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য হবেন।
মৌলভীবাজার জেলা সিভিল সার্জন সত্যকাম চক্রবর্তী বলেন, গত ৯ মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে তদন্তের জন্য আমি বুধবার দুপুরে কুলাউড়া হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। ডা. মিজানুরের বিশেষজ্ঞ পদবীর অবৈধ সাইনবোর্ডটি দেখে সেটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছি।
মন্তব্য করুন