“বিশে ডিসেম্বর একাত্তোরঃ স্থানীয় শহীদ দিবস” স্মৃতি কথা: কিছু কথা

December 18, 2018,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ একাত্তোর সালের বিশে ডিসেম্বর, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরনে ঘরে ফেরা একদল বীর মুক্তিযোদ্ধার আকস্মিক ও অকাল মৃত্যু হলে দিবসটি স্থানীয় শহীদ দিবস হিসাবে যথা যোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বিশে ডিসেম্বরের সকল শহীদানের সম্মান ও স্মরনে স্থানীয় শহীদ দিবস হিসাবে উদ্যাপিত হয়।

একাত্তোর সালের বিশে ডিসেম্বর কুষাশা ঢাকা শীতের সকাল। ষোলই ডিসেম্বর পড়ন্ত বিকালে রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিও মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডার লেঃ জেঃ জগজিৎ সিং অরোরার কাছে হানাদার পাক বাহিনীর এতদাঞ্চলীয় অধিনায়ক লেঃ জেঃ এ. এ. কে. নিয়াজির নিঃ শর্ত আত্ব সমর্পনের মাধ্যমে নমাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। প্রিয়তম চীর কাংখিত স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধসপ্তাহের মধ্যেই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়স্থ মুক্তিযোদ্ধা ক্যেম্পে ভয়াবহ মাইন বিস্ফোরনের দূর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিন সিলেটের সীমান্তবর্ত্তী মহকুমা ঐতিহ্যবাহী মৌলভীবাজার। একাত্তোরের মহানমুক্তি যুদ্ধে কতেক চিহ্নিত কুলাঙ্গাঁর কলাবেরেটার রাজাকার ছাড়া মৌলভীবাজারের নেতা-জনতা-বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ বীরত্ব পূর্ণ ভূমিকা ও কৃতিত্ব পূর্ণ অবদান রাখেন।

বিশে ডিসেম্বর একাত্তোর সাল। শীতের কুয়াশা ডাকা সকাল। যুদ্ধ বিধ্বস্থ মহকুমা সদর পৌর শহরে তখন ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসেনি। আট ডিসেম্বর মৌলভীবাজার মুক্ত হলে বীরের বেশে প্রিয় শহরে ফিরে আসি। চার নম্বর সেক্টরে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মাঠের মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম।

আমাদের প্রজন্মের চরম সৌভাগ্য ও পরম পাওয়া এই যে, আমরা আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণের সুযোগ লাভ করি। ষাটের দশকের শুরুতে বাঙ্গাঁলির স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক ও রাষ্ট্র চিন্তক সিরাজুল আলম খান নিউক্লিয়ার্স গঠন করলে আমি তার কর্মিও সমর্থক ছিলাম। তার অনুগামী হিসাবে ঐ সময় ছাত্রলীগের মাধমে আমার ছাত্র রাজনীতিতে হাতে খড়ি প্রথমে কলেজ শাখা অতঃপর মহকুমা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হই। মুসলিম কোয়ার্টারস্থ বিশাল পৈত্রিক বাসা ছিল আমাদের অঘোষিত অফিস, মিটিং ও আড্ডার স্থল। তেইশে মার্চ একাত্তোরে পাকিস্থানের প্রজাতন্ত্র দিবসে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ দেশব্যাপী প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচী ঘোষনা করলে আমি তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে চৌমুহনা চত্বরে একটি সভার মাধ্যমে পাকিস্তানী পতাকা ও পাকিস্তানী জাতির জনক মিঃ জিন্নাহর ছবি পুড়িয়ে লাল সবুজের স্বাধীন বাংলার পতাকা এবং বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের আপোষহীন নেতা বঙ্গঁ বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি উড়িয়ে ছিলাম। ইত্যাদি ও ইত্যকার কারনে পাকিস্তানী সেনা গোয়েন্দা কতৃপক্ষ আমার কার্য্যক্রম ও ভূমিকায় না খোশও নারাজ ছিল। ফলতঃ পঁচিশে মার্চের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অপারেশন সার্চ লাইট নামে অঘোষিত যুদ্ধের প্রথম রাতেই আমার মুসলিম কোয়ার্টারস্থ বাস ভবন ঘেরাও করে, তছনছ করে, পরবর্তীতে লুটপাট চালায়। ঐ রাতে আমি একটি জরুরী রাজনৈতিক কাজে আমার প্রিয় বন্ধু আজিজুল হক ইকবালের গির্জা পাড়াস্থ বাসায় রাত্রি যাপন করি। তখন আমি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাস্টার্স ফাইন্যাল এর ছাত্র। ব্যাচলার লাইফ। পিছটান নেই যেখানেই রাত সেখানেই কাত। মহান মালিকের অপার মেহের বানীও পিতা-মাতার দোয়ায় পাক সেনাদের হাত থেকে রক্ষা পাই। পাক ফৌজ শহর ব্যাপী গুন্ডা মুজিব “কাঁহা হায়” বলে অনেক কেই হয়রানীও নির্যাতন করেছে। আমাকে শহর ময়হন্যে হয়ে খুঁজেছে।

আমার মুসলিম কোয়াটারস্ত পৈত্রিক বাসগৃহ লুট পাট ও মনুস্য বসবাস উপযোগী না থাকায় আমি আমার প্রিয় বন্ধু চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা শেখ আব্দুর রব এর পৈত্রিক বাস ভবন সৈয়দ শাহ মোস্তফা সড়কস্থ রসিদ বাদার্স-এ- অবস্থান করি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ভারতে আমাদের শরনার্থী জীবনের অবসান হলেও আমার শরনার্থী জীবনের শুরু হয়।

একাত্তোরের বিশে ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরস্থ সৈয়দ শাহ মোস্তফা সড়কে আমার প্রিয় বন্ধু শেখ আব্দুুর রব এর বাসগৃহ রসিদ ব্রাদার্স-এ-স্ব-বন্ধু ঘুমন্ত ছিলাম। দ্রিম-দ্রিম-ভম-ভম-গগন বিপারী আওয়াজে আমারও আব্দুর রব এর ঘুম ভেঙ্গেঁ যায়। ঘরের দরজা জানালা চনচন আওয়াজ করতে থাকে। আমার মনে হল এ আওয়াজ কামানের গুলা বর্ষন কিংবা জেট বিমানের আওয়াজ এর মত। আমি ভয়ে উত্তেজনায় নাস্তা পানি না খেয়ে পোষাক পরিধান করে দ্রুত ঘর থেকে বের হই। মিনিট কয়েক এর মধ্যে আমি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে এসে কিং কর্তব্য বিমুঢ়, নির্বাক, নিস্তব্দ হয়ে গেলাম। জীবন সায়াহ্ণে এস এই পড়ন্ত বেলায় সাত চল্লিশ বৎসর পর ও সেই ভয়াবহ দৃশ্য আমার স্মৃতিতে এখনও সমুজ্জল। সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবনের চাল বোমার আগাতে উড়ে গিয়ে স্কুলের মধ্য মাঠে। স্কুলের বাউন্ডারি ওয়ালের দক্ষিনাংশ ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে গেছে। স্কুল ক্যাম্প, রাস্তা ও মাঠে ছিন্ন ভিন্ন লাশ মানব দেহের ভগ্নাংশ। আর্তচিৎকার আরহাহাকার। কড়া গন্ধযুক্ত কালো ধোঁয়া উড়ছে। বাতাসে বারুদের গন্ধ। শীত ও বোমা ভিতি উপেক্ষা করে আহত জীবিতদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন সাধারন মানুষ। ইতিমধ্যে এই দুঃসংবাদ শহর ময় ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ঘরে ফেরা বীরদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমার আঘাতে বীর যোদ্ধাদের দেহ খন্ড-বিখন্ড হয়ে যায়। লাশ সনাক্ত করনই কঠিন হয়ে পড়ে। আমার এখনও মনে আছে সেই উদ্ধার কাজে রিকসা চালক ও শ্রমিক শ্রেণী খুবই আন্তরিক ভূমিকা পালন করেছিলেন।

মাইন বিষ্ফোরনে শহীদ যোদ্ধাদের দেহাবশেষ সংগ্রহ করতঃ আমরা খন্ডিতাংশ গুলি একত্রিত করে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এর পূর্ব দক্ষিনাংশে সমাহিত করি। হিন্দু মুসলমান এর মৃত দেহ গুলি সনাক্ত করনের অভাবে জানাজা-দাহ- ধর্মীয় শেষ কৃত্যানুষ্টান সম্ভব হয়নি। বিশে ডিসেম্বরের সেই শোকানুষ্টানে উপস্থিত সকলের নাম এত বছর পর আমার স্মরণ নাই। স্বল্প পরিসরে উল্লেখ করাও সম্ভব নয়। তবে সি.ইন.সি. স্পেশিয়াল ব্যাচ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা তৎকালীন এম.পি.এ.এবং স্বাধীন বাংলাদেশে একাধিক মেয়াদের সাংসদ জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অগ্রজ প্রতীম এম.আজিজুর রহমানের কথা সবিশেষ উল্লেখ যোগ্য। সি-ইন- সি স্পেশাল এর বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সমাজ কল্যান মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন একাধিক মেয়াদে মৌলভীবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। মরহুম মাহমুদুর রহমান ও ফয়জুল করিম ময়ূন মৌলভীবাজার পৌর সভার চেয়ারম্যান ছিলেন। পৌরসভার উদ্যোগে বিশে ডিসেম্বর শহীদ সমাধিতে তিনফুট উচ্চতা বিশিষ্ট সীমানা প্রাচীর এবং দুটি শহীদ মিনার তৈরী করা হয়। শহীদ সমাধি এলাকার পূর্বাংশের বিশাল শহীদ মিনারটি বি.এন.পি-র নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারামলে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান মরহুমের বলিষ্ট উদ্যোগ নেতৃত্বে স্থাপিত হয়। এই শহীদ মিনাারে জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের নাম খোদাই করা আছে। মধ্যাংশের শহীদ মিনারটি বিশে ডিসেম্বর মাইন বিস্ফোরনের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানও স্মরনে নির্মিত। এই শহীদ মিনারে তেইশজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম লেখা আছে। সৈয়দ মহসীন আলী মুক্তিযোদ্ধা অন্তপ্রাণ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক ছিলেন। আমার যৌবন কালে জেলা গোলাপ সমিতির মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে বৃক্ষায়ন ও পুষ্পায়নের একটি প্রকল্প ছিল। যা কম বেশি এখনও চালু আছে। আমি আমার দেখা বিবর্ন পৃথিবীকে বৃক্ষায়ন ও পুষ্পায়নের মাধ্যমে বর্নীল ও বর্ণাঢ্য করতে চাই। প্রকৃতিতে ভারসাম্য আনতে চাই। বৃক্ষরোপন ছুন্নত হিসাবে নবিজীর ছুন্নত পালন করতে চাই।

নব্বই দশকে সৈয়দ মহসীন আলীর পৌর চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালনকালে তাঁরই প্রধান আথিত্যে আমার পৌর হিত্যে বিশে ডিসেম্বরের শহীদ সমাধি সৌধ প্রাঙ্গঁনে একএতদ্ সংক্রান্ত সেমিনার ও বৃক্ষ রোপনের আয়োজন করি। এতদিনে গাছ গুলি বেড়ে উঠেছে। ফুলে ফলে ছায়া মায়ায় বুক আগলে বিশে ডিসেম্বরের শহীদানদেরকে রোদ বৃষ্টি ঝড় থেকে রক্ষা করছে। এই সমাধি এলাকায় চীরশয়ানে শায়িত আছেন শাহ মোস্তফা সড়কস্থ মরহুম তাহির বক্স সাহেবের পুত্র রহিম বক্স খোকা। বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকা বীরের বেশে দেশে ফিরে বিশাল পৈত্রিক বাসাবাড়িতে যাননি, সহ যোদ্ধাদেরকে সঙ্গঁ দেবার জন্য সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়স্থ মুক্তি বাহিনীর কেম্পে থেকে যান। আমতৈল এলাকাধীন গনক কানু হাত গনা কিংবা তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে দেখার জন্য এই কেম্পে এসেছিলেন প্রচন্ড মাইন বিষ্ফোরনে তাঁর প্রিয় সাইকেল সহ তিনিও চীরতরে হারিয়ে যান। ঠিক তেমনি সুলেমান কাজল পার্থদেরও ঘরে ফেরা হয়নি এখানে থেকে ছিলেন রয়ে গেলেন। শহীদ রহিম বক্স খোকা এখন এ প্রজন্মের কাছে একটি বিস্মৃত নাম। তাদের বাস গৃহের সম্মুখস্থ বানিজ্যিক ভবনের একটি দোকানের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খোকা ষ্টোর। তাঁর স্বজনগণই তাঁর স্মৃতিকে ধরে রেখেছেন আমরা নই। এই সমাধিস্থল সম্মুখস্থ শহীদ মিনারে অবশ্য শহীদ রহিম বক্স খোকার নাম আছে।

বিশে ডিসেম্বরের শহীদ স্মরনে স্থানীয় রাজনৈতিকদল সমূহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, অনুষ্ঠানদির আয়োজন করেন। আমি তাদের সম্মান ও স্মরনে একটি স্মৃতি চারন মূলক রচনা লিখি, মিডিয়াতে সাক্ষাতকার দেই-কথাবলি-কতেক দাবী জানাই।

এলাকাটি বর্তমানে অরক্ষিত। দিনের বেলা বেকার, ভবঘুরে, বাউন্ডেল, জোয়াড়ী, নেশাখোরদের অবাধ আড্ডা স্থল। রাতের বেলা নিশি কন্যাদের অবাধ আনা গুনা, অসামাজিক কার্য্য কলাপ ও উদ্ভিন্ন উল্লাসে মেতে উঠা, এলাকাটি এখন গণ পেসাব-পায়খানার স্থান। মনে হয় শহীদদেরকে দেখার জন্য কোথাও কেউ নেই। ইতিপূর্বে আমি আমাদের জেলা ইউনিট কমান্ড এবং উপজেলা ইউনিট কমান্ডকে বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু অবস্থার কোন উন্নতি হয় নি। বর্তমানে আমাদের নির্বাচিত ইউনিট কমান্ড নেই। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত। জেলা প্রশাসক সাহেব পদাধিকার বেল জেলার এবং ইউ.এন.ও সাহেব গণ উপজেলার কমান্ডার এর দায়িত্বে আছেন। এমন বিব্রতকর কাজটি তাদের পক্ষে সার্বক্ষনিক ভাবে দেকভাল করা সহজ নয়। বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৌলভীবাজার তোফায়েল ইসলাম সাহেব একজন কর্ম চঞ্চল কর্ম তৎপর কাজের মানুষ, তাঁর কাছে বিনীত দাবী শহীদ সমাধি এলাকায় মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে আইনী অভিযান চালিয়ে এলাকাটির পবিত্রতা রক্ষা করতে পারেন। পুলিশ সুপার শাহজালাল সাহেব একজন জানবাজ পুলিশ কর্মকর্তা। বিগত দিনে ফতেপুর জঙ্গীঁ দমনে অবিযান চালিয়ে জীবন বাজি রেখে সাফল্য অর্জন করতঃ সর্ব মহলে কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছেন। সমাধি স্তম্ভ এলাকায় পুলিশি অভিযান বৃদ্ধি এবং আইন অমান্যকারীদেরকে আইনের আওতায় এনে মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে অধিকতর সমুন্নত রাখতে পারেন। শহীদানদের রুহ ও আত্বার প্রতি সম্মান প্রদর্শনও হতে পারে। পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান দায়িত্বভার নিয়ে দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে পৌর নাগরিকদের মতামত পরামর্শ নিয়ে বহু ব্যতিক্রমী জটিল কাজ সম্পাদন করতঃ পৌর বাসির প্রশংসা প্রাপ্ত হয়েছেন। পৌর মেয়রের কাছে জোর দাবী এই এলাকাটিকে সংবক্ষিত করতঃ স্থায়ী বৈদ্যোতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করন এবং স্থায়ী ভাবে নৈশপ্রহরীর ব্যবস্থা করে শহীদানদের আত্বার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন। কাজের মানুষ মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান এর জন্য এ এমন কঠিন কাজ নয়।

বিশে ডিসেম্বরে মাইন বিষ্ফোরনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রুহ ও আত্বার মাগফিরাত ও সদগতি কামনা করছি। মহান মালিক তাদের বেহেশ্ত নসীব করুন এই মোনাজাত করছি।

[একাত্তোরের মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র এডভোকেট, হাইকোর্ট, সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসকøাব কলামিষ্ট]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com