বৃক্ষ নিধন প্রতিরোধ ও জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটির ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দল কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া পরিদর্শন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ রেল চলাচল ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরের চলমান রেলপধের ধারের হাজার হাজার গাছ কাটার রেওয়ের প্রস্তাবনার প্রতিবাদে সরেজমিন পরিদর্শন করলেন “লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বৃক্ষ নিধন প্রতিরোধ ও জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটি”র ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার ১ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টায় কমিটির আহ্বায়ক জলি পাল ও সিপিবির সাধারন সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের টিম কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতরের রেলপথ এলাকা ঘুরে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যাণ বৃক্ষ নিধন প্রতিরোধ ও জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটির সদস্য কেন্দ্রীয় সিপিবি সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের জীব বৈচিত্র ভরপুর একমাত্র বন হচ্ছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। নিরাপদে ট্রেন চলাচল করুক তা সবাই কামনা করে। তবে আগে এ বনের পরিবেশ, জীব বৈচিত্র রক্ষা করে এক সাথে হাজার হাজার গাছ না কেটে যেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরাতন বড় গাছ সেগুলো কাটা যেতে পারে। বন বিভাগ ও রেল বিভাগের উভয় পক্ষের একত্রে সুষ্ঠুভাবে জরিপ করা উচিত। শুধু রেলপথের কথা ভেবে আর এক সাথে হাজার হাজার গাছ কেটে পুরো এ বনের অস্তিত্ব নষ্ট করা যাবে না।
সরকারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষা নিয়ে সুচিন্তিতভাবে ভাবা উচিত। এ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জাতীয় তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য কমরেড সৈয়দ আমিরুজ্জামান, লেখক- গবেষক আহমদ সিরাজ, সমীরন পাল, কাওছার ইকবাল, জাবেদ ভূঁইয়া প্রমুখ। কমিটির সদস্যরা বন পরিদর্শনকালে মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির হেডম্যান জিডিসন প্রধান সুচিয়াং-এর সাথে স্বাক্ষাৎ করে বনবাসীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্য প্রাণী) মিহির কুমার দে বলেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে পত্র পাঠিয়েছে সে আলোকে বোঝা যায় রেলপথের উভয় ধারের ৫০ ফুট(২৫+২৫) এলাকার গাছ কাট পড়ে। এত ছোট বড় মিলিয়ে গাছের পরিমাণ ২৫ হাজারের মত হয়। তিনি আরও বলেন, বন পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় রেলওয়ের এই প্রস্তাবনা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
মন্তব্য করুন