বৃটেনে করোনা ভাইরাসে খসরু মিয়া সহ ৫ জন বাঙালীর মৃত্যু : দেশে মৃতের সংখ্যা ৪২২ জন
মকিস মনসুর : পৃথিবীব্যাপি দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাসর সংখ্যা বােড়েই চলছে। করোণার আতংকে সারা পৃথিবী. রয়েছে উদ্বেগ,ও উৎকন্ঠায়. মেডিসিনের শহর সুইজারল্যান্ড অসহায়।প্রযুক্তির শহর জার্মানি নিরুপায়, মানবতার শহর ইতালি কাঁদছে। ক্ষমতার শহর আমেরিকা দিশেহারা। সারা দুনিয়ায় হাসপাতাল সমূহ ও রুগী ধারণ ক্ষমতার প্রায় বাহিরে চলে গেছে। দেশে দেশে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে অগণিত মানুষ! করোনা ভাইরাসে পৃথিবীব্যাপী আক্রান্ত সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৩৭২,০০০ এর ওপরে এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৬,৩০০. বৃটেনেই শুধু এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ৪২২ জন ও আক্রান্ত ৮ হাজার ১৭ জন.। বৃটেনের আজ ২৪ শে মার্চ সকাল ১০ ঘটিকায় রয়েল লণ্ডন হাসপাতালে লন্ডনের ওয়াইটচ্যাপল সবজি মার্কেটের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী খসরু মিয়া রয়েল লণ্ডন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।মরহুমের বাংলাদোশের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার শাহার পাড়া গ্রামে। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৪৯ বছর. মহাণ আল্লাহু যেনো উনাকে জান্নাতবাসী করেন এই দোয়া করার জন্য মনসুর মিডিয়ার পক্ষ থেকে সবাইকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে.
এদিকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করলে স্ব স্ব ধর্মীয় রীতিতে লাশ দাফনের পক্ষে বিলে মত দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। সম্প্রতি এ ধরনের একটি বিলে এ্যামেন্ডমেন্ট না আনার জন্য আবেদন করেন ব্রাডফোর্ডের এমপি নাজ শাহ। সোমবার পার্লামেন্ট এই বিলটি এ্যামেন্ডমেন্ট হয়নি। ফলে আগের নিয়মেই চলবে দাফনের রীতি। নাজ শাহ তার এক টুইট বার্তায় পার্লামেন্টের সকল এমপিদের এ জন্য ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য গত সোমবার পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয় ‘ইমার্জেন্সি করোনা ভাইরাস বিল ২০১৯-২১। প্রস্তাবিত বিলে বৃটেনের বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষ যার যার ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মরদেহ দাফন কাফনের অধিকার হারাবেন এমন আশংকা ছিলো । কি পদ্ধতিতে লাশ দাফন হবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার চলে যেতো স্থানীয় কাউন্সিলের উপর । কাউন্সিল চাইলে ধর্র্মীয় রীতি মেনে লাশ দাফনের অনুমতি দেবে অথবা লাশ জ্বালিয়েও ফেলতে পারতো । তবে মুসলমানদের লাশ জ্বালিয়ে ফেলার এমন প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে জোর ক্যাম্পেইন হয়েছে বৃটেনের মুসলিম কমিউনিটিতে। একটি অনলাইন পিটিশনেও দেড় লক্ষাধিক স্বাক্ষর ছাড়িয়েছিলো। অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বৃটেনে তিন সপ্তাহের জন্য জরুরি অবস্থা জারি দুই জনের বেশি চলাফেরা ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। লন্ডনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে। এ মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যে জন বাংলাদেশির প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস।উল্লেখ্য, লন্ডনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও এক বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে। এ মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাজ্যে ৫ জন বাংলাদেশির প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস। করোনায় রয়েল লন্ডন হাসপাতালে হাজি জমসেদ আলী (৮০) নামের একজন বাংলাদেশি মৃত্যু হয়।
তিনি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ছনগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ৬০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশির মৃত্যু ঘটে। তিনি ইতালি থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন ব্রিটেনে।
এরপর করোনার সঙ্গে আটদিন যুদ্ধ করেগত শুক্রবার ভোরে রয়েল লন্ডন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ৬৬ বছর বয়সী আরেক বাংলাদেশি। তিনি লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা ছিলেন।
এরপর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসাবে যুক্তরাজ্যে সফররত অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুর রহমান মাহমুদ (৭০)
মন্তব্য করুন