বেধড়ক পিটুনিতে মারা গেল অজগর
রাজনগর প্রতিনিধি॥ ধান খেতের আড়ালে লুকিয়ে ছিল এতো দিন। গ্রাম্য এলাকায় লোকানোর জন্য হয়তো এর চেয়ে নিরাপদ জায়গা খুজে পাঁয়নি অজগরটি। আশ্রয় নিয়েছিল ধান খেতের আড়ালে। সেখানেই ইঁদুর, ব্যাঙ আর পোকামাকড় খেয়েই বেঁচে ছিল এতোদিন। কিন্তু আতঙ্কিত মানুষের বেধড়ক পিটুনিতে জীবন গেল সাপটির। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ক্ষেমসহ¯্র গ্রামের ধান ক্ষেতে ১১ ফুট লম্বা এ অজগর সাপটি পেয়ে পিঠিয়ে হত্যা করে ওই এলাকার লোকজন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ক্ষেমসহ¯্র গ্রামের ছড়াউন্দের মাঠে ধান কাটতে যান ওই গ্রামের বর্গাচাষী মালিক মিয়া ও উত্তম অর্জুন। কিছু সময় ধান কাটার পর হঠাৎ সাপের ফোঁসফোঁসানি শব্দ শুনতে পান। এতে তাদের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়। শব্দ খুঁজতে মালিক মিয়া এগিয়ে যান। এমন সময় একটি অজগর সাপ দেখে ভয়ে দৌড়ে সেখান থেকে সড়ে যান। তার চিৎকারে এগিয়ে আসেন আশেপাশের জমিতে ধান কাটার শ্রমিক। পরে সবাই মিলে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে সাপটি। এ খবর পার্শ^বর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ভীড় করে সাপটি দেখার জন্য।
ক্ষেমসহ¯্র গ্রামের উৎপল কান্তি অর্জুন বলেন, ধানে কাটতে গিয়ে একটি অজগর দেখতে পান স্থানীয় এক কৃষক। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে।
লোকজন ধারণা করছেন, অতিবৃষ্টির সময় হয়তো সাপটি পাহাড়ি এলাকা থেকে ঢলের সেঙ্গ ভেসে এসে প্রাণ বাঁচাতে ধান ক্ষেতে আশ্রয় নিয়েছিল।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জার ইমান উদ্দীন বলেন, অজগর সাপ অনেকসময় খাদ্যের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে। নয়তো বর্ষণের সময় পাহাড়ি ঢলে ভেসে এসে থাকতে পারে। মানুষজনদের সচেতন করা প্রয়োজন। অজগর সাপ মানুষের ক্ষতি করেনা।
মন্তব্য করুন