ব্যাহত হচ্ছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া মৌলভীবাজারে বন্যায় ১৮৩ বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ২৯টি বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র
হোসাইন আহমদ॥ অতি বৃষ্টি এবং পাহাড়ী ঢলে মৌলীবাজারের বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলায় বন্যা ইতি মধ্যে স্থায়ী রূপ নিয়েছে। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছেন ওই তিন উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুয়। ঘর-বাড়ি, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্টান এবং রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জেলার ১৮৩টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গিয়ে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ২৯টি স্কুলে খোলা হয়েছে বন্যা কবলিত গ্রামের মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া ছেড়ে এখন জীবন রক্ষার সংগ্রামের নেমেছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, গতকাল পর্যন্ত বন্যায় মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলার ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে বড়লেখায় ৬০টি, কুলাউড়ায় ৪৪টি, জুড়ীতে ২০টি রাজনগরে ২৪টি ও সদর উপজেলায় ৪টি স্কুল তলিয়ে গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বড়লেখা, জুড়ী, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলার ২১ টি স্কুলে খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। এর মধ্যে বড়লেখায় ৭টি, কুলাউড়ায় ৫টি, রাজনগরে ২টি ও জুড়ীতে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। ওই উপজেলা গুলোর প্রায় অর্ধলক্ষাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, বন্যায় জেলার বড়খেলা উপজেলায় ২০টি, কুলাউড়ায় ৮টি ও জুড়ীতে ১৩ বিদ্যালয় তলিয়ে গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য জুড়ী উপজেলায় ৪টি, বড়লেখায় ২টি ও কুলাউড়ায় ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ওই ৩ উপজেলার ৪৯টি স্কুলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া এখন বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিন আলাপকালে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, বন্যায় আমাদের ঘর তলিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক গতিতে লেখাপড়া করতে পারছিনা। অন্যান্য এলাকার সহপাঠিদের চেয়ে লেখাপড়ায় অনেক পিছিয়ে আছি। ওই ইউনিয়নের এক অভিবাবক আলখাছুর রহমান বলেন, বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার কারণে ছাত্ররা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারছেনা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল আলিম বলেন, বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের বিল্ডিং এর অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে পানি বাড়লে এগুলোও তলিয়ে যাবে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হাওর পাড়ের মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে এবং তলিয়ে যাওয়া স্কুলের ছাত্রদের লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে।
মন্তব্য করুন