বড়লেখায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা অজানাই রয়ে গেলো!
কুলাউড়া অফিস: বড়লেখা পৌর শহরের বারইগ্রামে এক কলেজ ছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশ লুকোচুরির আশ্রয় নিলো। মূল ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আত্মহত্যা প্ররোচণাকারীদের আড়াইল-ই করলো পুলিশ। বর্তমান অস্থায়ী থানা ভবনের অনতিদূরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও থানা পুলিশ কিছুই জানে না বলে জানায়। এ কারণে ঘটনাটি অজানাই থেকে গেলো স্থানীয় জনমনে।
আত্মহত্যার এ ঘটনাটি ঘটে ১০ অক্টোবর। বিষপানে আত্মহননকারী ছাত্রীর নাম সাদিয়া রহমান (২০)। সে বারইগ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। সে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সূত্র জানায়, অন্য ধর্মের জনৈক ছেলের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া-নেয়া চলছিলো কলেজছাত্রী সাদিয়া। বিয়ের বিষয়ে ১০ অক্টোবর দুপুরে এ নিয়ে মায়ের সাথে ঝগড়া হয়। পরিবার বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় অভিমানে বিষপানে আত্মহত্যা করে সে। কৌশলগত কারণে দ্রুত তাকে সিলেটে নেওয়ার পথে মারা যায় সাদিয়া।
এ বিষয়ে বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটি শুনেছেন। আর কিছু জানেন না। কিন্তু পরবর্তী করণীয় বিষয়ে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি পুলিশের পক্ষ থেকে। অভিযোগ রয়েছে, স্পিডমানির বিনিময়ে বিষয়টি এড়িয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে গিয়ে দেখেন-ওই মেয়েটির মা লাশ সামনে নিয়ে কান্নাকাটি করছেন। কিন্তু আত্মহত্যা কি-না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না! তবে সাদিয়ার পরিবার এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনাকে কিংবা আত্মহত্যা প্ররোচণায় অভিযুক্ত থাকলেও ভিন্নভাবে প্রকাশ করে। সাদিয়ার পরিবার এলাকায় ছড়ায় যে, সে (সাদিয়া) পেটের ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, একমাত্র নাততির এমন ঘটনার খবর ও তাকে কবরস্থানে দাফন শেষে বাড়িতে ফিরে আসার পথে পরদিন ১১ অক্টোবর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সাবেক প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক সজ্জাদ আলী।
মন্তব্য করুন