বড়লেখায় খালের উপর গোয়ালঘর জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহান ২৫ পরিবার
আব্দুর রব॥ বড়লেখার কাঠালতলী গ্রামের একটি পরিবার পানি নিষ্কাশনের সরকারী খাল ভরাট করে গোয়াল ঘর নির্মাণ করেছে। এতে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট তীব্র জলাবদ্ধতায় গ্রামের ২৫ পরিবারের ৩ শতাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহান।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাঠালতলী রেল স্টেশনের পশ্চিম পাশ দিয়ে দক্ষিণমুখী শত বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের বহমান সরকরী খাল ভরাট করে গোয়ালঘর নির্মাণ করেছেন নুরুজ আলী, মোক্তার আলী, নিমার আলী গংরা। এতে ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে ২৫ পরিবারের দুই শতাধিক মানুষ। গত শনিবারের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় কাঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ১নং কাঠালতলী জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ ব্যাহত হয়। পানি জমায় নির্মাণাধীন মসজিদটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করলে নির্মাণাধীন মসজিদের নিচের মাটি নরম হয়ে বড়ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। এছাড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন অপর মসজিদও জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। আশপাশের মৎস্য হ্যাচারী পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।এতে হ্যাচারী মালিকরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।
পানি নিষ্কাশন বন্ধের ব্যাপারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজ উদ্দিন জানান, রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন দক্ষিনমুখী খাল দিয়ে এই এলাকার পানি ছেংছড়ি খালে পড়তো। এটা শত বৎসরের পুরনো পানি নিষ্কাশনের পথ। সম্প্রতি এলাকার স্বার্থলোভী একটি পরিবার তাদের বাড়ির সামনে হওয়ায় ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য খালটি ভরাট করেছে। এতে বৃষ্টি দিলেই রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, মসজিদ পানিতে তলিয়ে যায়। এলাকাবাসীর বাঁধা তারা তোয়াক্কা করেনি। এলাকার সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ লাঘব করতে হলে পানি নিষ্কাশনের খালটির পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
ভুক্তভোগী বুরহান উদ্দিন রানা, ময়নুল ইসলাম, ফারুক আহমেদসহ অনেকেই জানান, আমরা বিষয়টি মৌখিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারকে অবগত করেছি।
খাল ভরাট করে গোয়ালঘর নির্মাণকারী নুরুজ আলী গংরা জানান, তাদের ভরাটের কারণে নয়, অন্য জায়গা রুদ্ধ হওয়ায় এ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন