বড়লেখায় জন্ডিস পরীক্ষার দুই রকম রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড়
আবদুর রব॥ বড়লেখায় সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নিউ সেবা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার আধঘন্টার ব্যবধানে এক রোগীর জন্ডিস পরীক্ষার দুই ধরনের রিপোর্ট দেয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুই ডায়গনস্টিক সেন্টারই তাদের রিপোর্ট সঠিক দাবী করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ায় আসলে কোনটি সঠিক এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অদক্ষ, অযোগ্য ও ভুয়া মেডিক্যাল টেকনলজিস্ট দিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালানোর অভিযোগে রয়েছে। গত বছর সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক্স-রে টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে এক নারী রোগিকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়।
জানা গেছে, পৌরশহরের গাজীটেকা এলাকার সুনাম উদ্দিনের ছেলে কাওছার আহমদ ১১ জানুয়ারী বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছ’টায় জন্ডিস পরীক্ষা করতে নিউ সেবা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার যান। মেডিকেল প্যাথলজিষ্ট পংকজ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত রিপোর্টে বিলিরোবিনের পরিমান ৬.২০ উল্লেখ করে তাকে রিপোর্ট ডেলিভারী করা হয়।
জনৈক চিকিৎসক কাওছারের শারীরিক অবস্থা আর রিপোর্ট দেখে সন্দেহ হলে রাতেই তাকে একই পরীক্ষার জন্য শহরের সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠান। মেডিক্যাল টেকনলজিস্ট রুহুল আহমদ স্বাক্ষরিত রিপোর্টে বিলিরোবিনের পরিমান ১.৪ উল্লেখ থাকায় রোগী নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি তিনি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, হারুনুর রশীদ বাদশা, আলী আহমদ প্রমূখকে অবহিত করেন। একই রোগীর প্রায় একই সময়ে জন্ডিসের মত একটি জটিল রোগের ব্যাপক ব্যবধানের রিপোর্টের বিষয় জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে তোলপাড় শুরু হয়। অনেকেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরীক্ষা-নীরিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এব্যাপারে সুরমা ডায়গনস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অলিদ আহমদ, তার সেন্টারের দেয়া রিপোর্ট সঠিক দাবী করে বলেন, এ রোগীর বিলিরোবিন পরীক্ষা প্যাথলজিস্ট খছরুজ্জামান করেছে। তবে রিপোর্টের নিচে রুহুল আহমদ নামে মেডিক্যাল টেকনলজিস্টের নাম থাকতে দেখা গেছে।
নিউ সেবা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের পরিচালক হিমাংশু শেখর দাস জানান, এ রোগির বিলিরোবিন ৬.২০ এনালাইসিস রিপোর্ট সঠিক। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন সুরমা ডায়াগনস্টিক সেন্টার যদি ১.৪ উল্লেখ করে থাকে তবে তা ভুল।
জন্ডিস পরীক্ষাকারী কাওছার আহমদ জানান, একই সময়ে দুইটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে প্রায় সাড়ে ৪ এর ব্যবধান থাকায় তিনি নিজেও আতংকিত। এধরনের ভুল রিপোর্ট দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো কত রোগির যে সর্বনাশ করেছে তা তারাই জানে। তিনি ভুল বিপোর্ট প্রদানকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
মন্তব্য করুন