বড়লেখায় ত্রাণের চাল বন্টন করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন জনপ্রতিনিধিরা
আব্দুর রব॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুস্তদের মাঝে সরকারী ত্রাণের চাল বিতরণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা। তালিকা অনুযায়ী চাল বিতরণের শেষদিকে ৫-১০ জনের চালের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে মেম্বাররা মারাত্মক জটিলতার সম্মুখিন হচ্ছেন। তাদের দাবী খাদ্য গোদাম ৫০ কেজির বস্তায় গড়ে ২-৩ কেজি চাল ওজনে কম দেয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কেউ কেউ পকেটের টাকায় ঘাটতি পড়া চাল বাজার থেকে কিনে দিতে বাধ্য হন। তবে খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ আহমদ গোদাম থেকে চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সরেজমিনে হাকালুকি হাওর পাড়ের তালিমপুর ইউনিয়নে সোমবার জি.আর (সরকারী ত্রাণ) বরাদ্দের চাল বন্টন করতে দেখা গেছে। ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মুতলিব বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১০ দুস্তকে ১০ কেজি করে বিতরণের জন্য ২২ বস্তা চাল বরাদ্ধ পান। দুপুরে ১০৬ জনকে দেয়ার পর চাল শেষ হয়ে যায়। এ অবস্থায় অবশিষ্ট ৪জনকে বাজার থেকে চাল কিনে দেয়ার আশ্বাস দেন। ওয়ার্ড মেম্বার সাহিন আহমদ ৮০ নামের চাল পেয়ে বিতরণ শুরু করেন। ৭২জনকে দেয়ার পরই বরাদ্দের ১৬ বস্তা চাল শেষ হয়ে যায়। ঘাটতি পড়ায় তালিকার ৮ দুস্তকে তিনি চাল দিতে পারেননি। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে তিনি বাজার থেকে চাল কিনে তাদেরকে দেন। সুজানগর ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার মাসুক আহমদ জানান, ১০ কেজি করে ৭৫জনকে চাল বিতরণ করতে গিয়ে ১০জনের চাল ঘাটতি পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে তিনি চালের পরিবর্তে পকেট থেকে নগদ ৪ হাজার টাকা তাদের মধ্যে বন্টন করে পরিস্থিতির সামাল দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ চিত্র উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের।
সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা জানান, রিলিফের চাল বিতরণ করতে গিয়ে তারা নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। গোদামের কোন বস্তায় চালের সঠিক ওজন থাকছে না। অনেক সময় ৫০ কেজির বস্তায় ৪-৫ কেজির কম পাওয়া যাচ্ছে। এসমস্যার কথা অনেকবার ইউএনওকে জানিয়েছেন।
সরকারী খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ আহমদ চালের বস্তা ওজনে কম থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সন্দেহ হলে মেশিনে প্রতিটি বস্তা ওজন করে ডেলিভারী নিতে পারেন। প্রতিদিন মেশিন পরীক্ষা করা হয়। এখানে চালের বস্তার ওজন ৫০ কেজির কম হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন