বড়লেখায় দেড়কোটি টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার মারুফ ২ দিনের রিমান্ডে
বড়লেখা প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখার কেরামতনগর চা বাগানসহ বিভিন্ন জনের নিকট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে গ্রেফতার হিসাবরক্ষক মারুফের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজারের মামলায় গ্রেফতার মারুফকে ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট হাসান জামানের আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৮ ফ্রেব্রুয়ারী ঢাকার শাহবাগ পুলিশের সহযোগিতায় সিআইডি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মারুফ কুলাউড়া উপজেলার পৃত্থিমপাশা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের আব্দুল হাই মাস্টারের ছেলে।
জানা গেছে, মারুফ আহমদ (৪৫) বড়লেখার কেরামতনগর ও কুমারসাইল চা বাগানের একাউন্টেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিল। চা বাগানের দু’টি ব্যাংকের পৃথক ৫ একাউন্টের চেকবই, হিসাব-নিকাশ ছাড়াও ভুসম্পত্তির যাবতীয় কাগজপত্র তার কাছে সংরক্ষিত ছিল। ১২ জানুয়ারি বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে হঠাৎ সে উধাও হয়। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়ায় বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান ১৬ জানুয়ারি বড়লেখা থানায় জিডি করেন। পরদিন ৫টি ব্যাংক হিসাবের স্টেটমেন্ট সংগ্রহের পর ১ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। এছাড়া বাগানের আরও ২০/২৫ লাখ টাকা গড়মিল থাকার বিষয় নিশ্চিত হয়ে ১৮ জানুয়ারী জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান মারুফসহ ৩জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি সিআইডি পুলিশে স্থানান্তরিত হয়। আত্মগোপনের প্রায় দেড়মাস পর ২৮ ফেব্রুয়ারী ঢাকার শাহবাগ পুলিশের সহায়তায় মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে চা বাগানে দীর্ঘদিন চাকুরীর সুবাধে মারুফ স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবির সাথে সুসম্পর্ক ও বিশ্বস্ততা গড়ে তুলে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাগানের সমস্যা তুলে ধরে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে সে আরো প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঋণ নেয়। নিখোঁজ হওয়ায় তার প্রতারণার ঘটনাগুলো ফাঁস হতে থাকে।
বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়েল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল চন্দ্র দত্ত অর্থ প্রতারণা মামলায় মারুফ আহমদের ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
মন্তব্য করুন